সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল : জলদূষণ প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 7th Geography Question and Answer

Last Updated:

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল : জলদূষণ প্রশ্ন উত্তর | WBBSE Class 7th Geography Question and Answer

জলদূষণ  সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Geography Question and Answer : জলদূষণ  সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Geography Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই West Bengal WBBSE Class 7th Geography Question and Answer, Suggestion, Notes | সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর জলদূষণ  থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Very Short, Short, Descriptive Question and Answer) গুলি আগামী West Bengal Class 7th Seventh VII Geography Examination – পশ্চিমবঙ্গ সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট। সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষা তে এই সাজেশন বা কোশ্চেন জলদূষণ  সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Geography Question and Answer গুলো আসার সম্ভাবনা খুব বেশি। Class 7 Geography Question and Answer

1. ফ্লুরাইড হল একধরনের

[A] উপকারী গ্যাস

[B] নিষ্ক্রিয় গ্যাস

[C] ক্ষতিকর লবণ

[D] উপকারী শৈবাল

উত্তর:- [C] ক্ষতিকর লবণ

2. ইউট্রোফিকেশনের ফলে জলাশয়ে

[A] আগাছা কমে

[B] পুষ্টিমৌলের জোগান বাড়ে

[C] অক্সিজেনের জোগান বাড়ে

[D] অক্সিজেনের চাহিদা কমে

উত্তর:- [B] পুষ্টিমৌলের জোগান বাড়ে

3. জলে নির্দিষ্ট পরিমাণে

[A] পারদ

[B] ক্যাডমিয়াম

[C] ক্লোরিন মিশিয়ে দিলে দূষিত জলের জীবাণু নষ্ট হয়

[D] কনোটাও নয়

উত্তর:- [C] ক্লোরিন মিশিয়ে দিলে দূষিত জলের জীবাণু নষ্ট হয়

4. পৃথিবীর মোট জলের

[A] 97

[B] 5

[C] 85

[D] 3 ভাগ স্বাদুজল

উত্তর:- [D] 3 ভাগ স্বাদুজল

5. আউচআউচ রোগ হয়

[A] পারদ

[B] ক্যাডমিয়াম

[C] আর্সেনিক

[D] সিসা দূষণের প্রভাবে

উত্তর:- [B] ক্যাডমিয়াম

6. জলদূষণ সবচেয়ে বেশি পরিমাণ ঘটে

[A] আকরিক শিল্পে

[B] কাগজ ও চর্ম শিল্পে

[C] ইলেকট্রনিকস শিল্পে

[D] ইলেকট্রিক শিল্পে

উত্তর:- [B] কাগজ চর্ম শিল্পে

7. ভূগর্ভের অতিরিক্ত জল তুলে নেওয়ার ফলে পানীয় জলে যে পদার্থের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় বলে মনে করা হচ্ছে, তা হল

[A] পারদ

[B] ক্লোরাইড

[C] আর্সেনিক

[D] ক্যাডমিয়াম

উত্তর:- [C] আর্সেনিক

8. মানবদেহে অস্থিক্ষয় হয় যে রোগের প্রকোপে, তা হল

[A] ব্ল্যাকফুট

[B] মিনামাটা

[C] ইতাই-ইতাই

[D] ফ্লরোসিস

উত্তর:- [C] ইতাইইতাই

9. ব্ল্যাকফুট রোগ

[A] আর্সেনিক

[B] ফ্লুরোসিস

[C] ক্যাডমিয়াম

[D] ইউট্রোফিকেশনের কারণে ঘটে

উত্তর:- [A] আর্সেনিক

10. ভারতের আর্সেনিকের সমস্যা বেশি

[A] পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারে

[B] উত্তরপ্রদেশ ও কেরলে

[C] মহারাষ্ট্র ও তামিলনাড়তে

[D] গোয়া ও কর্ণাটকে

উত্তর:- [A] পশ্চিমবঙ্গ বিহারে

11. সবচেয়ে বেশি পরিমাণে জলের তাপীয় দূষণ ঘটায়

[A] তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র

[B] চর্যশিল্পে

[C] কাগজ শিল্পে

[D] প্লাস্টিক শিল্পে

উত্তর:- [A] তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র

12. ফ্লুরাইড হল একধরনের

[A] উপকারী গ্যাস

[B] নিষ্ক্রিয় গ্যাস

[C] ক্ষতিকর লবণ

[D] উপকারী শৈবাল

উত্তর:- [C] ক্ষতিকর লবণ

13. আউচআউচ রোগ হয়

[A] পারদ

[B] ক্যাডমিয়াম

[C] আর্সেনিক

[D] সিসা দূষণের প্রভাবে

উত্তর:- [B] ক্যাডমিয়াম

14. নর্দমার জল নিষ্কাশনে সবচেয়ে বেশি বাধা সৃষ্টি করে

[A] কাগজ

[B] কাদা

[C] প্লাস্টিক

[D] নুড়ি

উত্তর:- Ans. C

15. কলেরা হল

[A] বায়ুবাহিত রোগ

[B] মৃত্তিকাবাহিত রোগ

[C] জলবাহিত রোগ

[D] কোনোটিই নয়

উত্তর:- [C] জলবাহিত রোগ

16. নদী, দিঘি বা পুকুরে অজস্র প্রতিমা বিসর্জনের কারণে

[A] জলে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যেতে পারে

[B] মাছ মারা যেতে পারে

[C] অক্সিজেনের পরিমাণ হ্রাস ঘটে ও মাছ মারা যেতে পারে

[D] কোনোটিই নয়

উত্তর:- [C] অক্সিজেনের পরিমাণ হ্রাস ঘটে মাছ মারা যেতে পারে

17. ভূগর্ভের অতিরিক্ত জল তুলে নেওয়ার ফলে পানীয় জলে যে পদার্থের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় বলে মনে করা হচ্ছে, তা হল

[A] পারদ

[B] ক্লোরাইড

[C] আর্সেনিক

[D] ক্যাডমিয়াম

উত্তর:- [C] আর্সেনিক

18. জলে নির্দিষ্ট পরিমাণে

[A] পারদ

[B] ক্যাডমিয়াম

[C] ক্লোরিন মিশিয়ে দিলে দূষিত জলের জীবাণু নষ্ট হয়

[D] কনোটাও নয়

উত্তর:- [C] ক্লোরিন মিশিয়ে দিলে দূষিত জলের জীবাণু নষ্ট হয়

19. পৃথিবীর মোট জলের

[A] 97

[B] 5

[C] 85

[D] 3 ভাগ স্বাদুজল

উত্তর:- [D] 3 ভাগ স্বাদুজল

20. জলে নির্দিষ্ট পরিমাণে

[A] পারদ

[B] ক্যাডমিয়াম

[C] ক্লোরিন মিশিয়ে দিলে দূষিত জলের জীবাণু নষ্ট হয়

[D] কনোটাও নয়

উত্তর:- [C] ক্লোরিন মিশিয়ে দিলে দূষিত জলের জীবাণু নষ্ট হয়

21. কলেরা হল

[A] বায়ুবাহিত রোগ

[B] মৃত্তিকাবাহিত রোগ

[C] জলবাহিত রোগ

[D] কোনোটিই নয়

উত্তর:- [C] জলবাহিত রোগ

22. জলের তাপীয় দূষণে পরিবর্তন ঘটে

[A] জলের রাসায়নিক ধর্মের

[B] জলে অক্সিজেনের পরিমাণের

[C] প্রাণীর সংখ্যার

[D] উদ্ভিদের সংখ্যার

উত্তর:- [B] জলে অক্সিজেনের পরিমাণের

23. মানবদেহে অস্থিক্ষয় হয় যে রোগের প্রকোপে, তা হল

[A] ব্ল্যাকফুট

[B] মিনামাটা

[C] ইতাই-ইতাই

[D] ফ্লরোসিস

উত্তর:- [C] ইতাইইতাই

24. আউচআউচ রোগ হয়

[A] পারদ

[B] ক্যাডমিয়াম

[C] আর্সেনিক

[D] সিসা দূষণের প্রভাবে

উত্তর:- [B] ক্যাডমিয়াম

25. দাঁত খরখরে অমসৃণ হয় যে রোগের মাধ্যমে, তা হল

[A] ক্লোরোসিস

[B] ফ্লরোসিস

[C] আর্সেনিকোসিস

[D] ইতাই-ইতাই

উত্তর:- [B] ফ্লরোসিস

26. যে ধাতুকপা বেশিমাত্রায় জলদূষণ ঘটায়, সেটি হল

[A] সিসা ও পারদ

[B] অ্যালুমিনিয়াম ও সোডিয়াম

[C] লোহা ও তামা

[D] জিংক ও ম্যাঙ্গানিজ

উত্তর:- [A] সিসা পারদ

27. খনিজ তেল জলদূষণ ঘটায় প্রধানত—

[A] জলের ওপর আস্তরণ তৈরি করে

[B] জলে অক্সিজেন সরবরাহ করে

[C] জলের রাসায়নিক ধর্ম পরিবর্তন করে

[D] জলের তাপীয় পরিবর্তন ঘটিয়ে

উত্তর:- [A] জলের ওপর আস্তরণ তৈরি করে

28. ভারতের আর্সেনিকের সমস্যা বেশি

[A] পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারে

[B] উত্তরপ্রদেশ ও কেরলে

[C] মহারাষ্ট্র ও তামিলনাড়তে

[D] গোয়া ও কর্ণাটকে

উত্তর:- [A] পশ্চিমবঙ্গ বিহারে

29. আউচআউচ রোগ হয়

[A] পারদ

[B] ক্যাডমিয়াম

[C] আর্সেনিক

[D] সিসা দূষণের প্রভাবে

উত্তর:- [B] ক্যাডমিয়াম

30. পশ্চিমবঙ্গে সর্বাধিক আর্সেনিকের প্রভাব দেখা যায়

[A] বীরভূমে

[B] নদিয়ায়

[C] জলপাইগুড়িতে

[D] পূর্ব মেদিনীপুরে

উত্তর:- [B] নদিয়ায়

31. জলদূষণ সবচেয়ে বেশি পরিমাণ ঘটে

[A] আকরিক শিল্পে

[B] কাগজ ও চর্ম শিল্পে

[C] ইলেকট্রনিকস শিল্পে

[D] ইলেকট্রিক শিল্পে

উত্তর:- [B] কাগজ চর্ম শিল্পে

32. একটি বিষাক্ত ভারী ধাতু হল

[A] তামা

[B] পারদ

[C] লোহা

[D] জিংক

উত্তর:- [B] পারদ

33. যে ধাতুকপা বেশিমাত্রায় জলদূষণ ঘটায়, সেটি হল

[A] সিসা ও পারদ

[B] অ্যালুমিনিয়াম ও সোডিয়াম

[C] লোহা ও তামা

[D] জিংক ও ম্যাঙ্গানিজ

উত্তর:- [A] সিসা পারদ

34. ইউট্রোফিকেশনের ফলে জলাশয়ে

[A] আগাছা কমে

[B] পুষ্টিমৌলের জোগান বাড়ে

[C] অক্সিজেনের জোগান বাড়ে

[D] অক্সিজেনের চাহিদা কমে

উত্তর:- [B] পুষ্টিমৌলের জোগান বাড়ে

35. পৃথিবীর জল দ্বারা আবৃত অংশের পরিমাণ

[A] 13%

[B] 43%

[C] 71%

[D] 90%

উত্তর:- [C] 71%

36. কলেরা হল

[A] বায়ুবাহিত রোগ

[B] মৃত্তিকাবাহিত রোগ

[C] জলবাহিত রোগ

[D] কোনোটিই নয়

উত্তর:- [C] জলবাহিত রোগ

37. নদী হ্রদের স্বাদু জলের উৎস

[A] 1%

[B] 2%

[C] 5%

[D] 29%

উত্তর:- [A] 1%

38. একটি বিষাক্ত ভারী ধাতু হল

[A] তামা

[B] পারদ

[C] লোহা

[D] জিংক

উত্তর:- [B] পারদ

39. পৃথিবীর জল দ্বারা আবৃত অংশের পরিমাণ

[A] 13%

[B] 43%

[C] 71%

[D] 90%

উত্তর:- [C] 71%

40. নর্দমার জল নিষ্কাশনে সবচেয়ে বেশি বাধা সৃষ্টি করে

[A] কাগজ

[B] কাদা

[C] প্লাস্টিক

[D] নুড়ি

উত্তর:- [C] প্লাস্টিক

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন: জলদূষণ  সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর Class 7 Geography Suggestion | West Bengal WBBSE Class Seventh VII (Class 7th) Geography Question and Answer Suggestion

1. ভূমধ্যসাগরীয় উদ্ভিদ উঘ্নমরু অঞ্চলের উদ্ভিদের বর্ণনা দাও।

উত্তর:- আফ্রিকার একেবারে উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণপশ্চিম অংশে ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু দেখা যায়। এই অঞ্চলে গ্রীষ্মকাল বৃষ্টিহীন ও শীতকালে বৃষ্টিপাত হয়। সারা বছরে 50-100 সেমি বৃষ্টিপাত হয়। এখানে জলপাই, ওক, আখরোট, ডুমুর, কর্ক প্রভৃতি গাছ ও কমলালেবু, আঙুর প্রভৃতি ফলের বাগান দেখা যায়। এই অঞ্চলের গাছগুলির পাতায় নরম মোমের আস্তরণ দেখা যায়। গরমকালে জলের সন্ধানে গাছের মূলগুলি মাটির অনেক গভীরে চলে যায়।সাহারা, কালাহারি, নামিব প্রভৃতি মরুভূমিগুলিতে বৃষ্টি প্রায় হয় না বললেই চলে। দিনের তাপমাত্রা প্রবল তুলনায় রাতের তাপমাত্রা অনেক কম। এই অঞ্চলে সাধারণত কাঁটা গাছ, ঘাস ও ঝোপ-ঝাড় দেখা যায়। এই গাছগুলি নিজের শরীরে নানাভাবে জল ধরে রাখার ফলে অতি গরমেও এরা বেঁচে থাকে। মরুভূমির মধ্যে মরুদ্যানগুলির ধারে ক্যাকটাস, ফণীমনসা, বাবলা, খেজুর ও তাল জাতীয় গাছের সারি দেখা যায়।

2. মৌসুমি পর্ণমোচী অরণ্য চিনদেশীয় জলবায়ু অঞ্চলের বর্ণনা দাও।

উত্তর:- [i] আফ্রিকার পূর্বে মোজাম্বিক, তানজানিয়া, কেনিয়া, সোমালিয়া প্রভৃতি দেশের পূর্ব উপকূলে ও মাদাগাস্কার দ্বীপে গরমে বৃষ্টি হয় ও শীতকালে আবহাওয়া শুষ্ক থাকে। কোনো ঋতুতেই তাপমাত্রা বেশি হয় না। এই অঞ্চলে মৌসুমি পর্ণমোচী অরণ্যের সৃষ্টি হয়েছে। এখানে শাল ও বাঁশ গাছের বনজঙ্গল দেখা যায়। এই অঞ্চলে জলের অভাবে শীতকালে গাছের পাতা ঝরে যায়। এছাড়াও এখানে সেগুন, গামার, চন্দন ও বেশি বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলে মেহগনি, আয়রন উড়, রোজ উড প্রভৃতি বৃক্ষ দেখা যায়। [ii] আফ্রিকার দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল অঞ্চলে গরমকালে বেশ গরম ও বৃষ্টি হয়। চিনদেশের পূর্বাংশে এইরকম জলবায়ু দেখা যায় বলে এর নাম চিনদেশীয় জলবায়ু। এখানে পাতাঝরা গাছ দেখা যায়। ওক গাছও বেশি চোখে পড়ে।

3. কোন রাসায়নিক জলের জীবাণু নষ্ট করতে সাহায্য করে?

উত্তর নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্লোরিন।

4. জলকে জীবাণু মুক্ত করতে কত ডিগ্রি উষ্ণতায় কত সময় ফোটানো উচিত?

উত্তর 100 ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতায় 10 মিনিট ফোটালেই জলের বেশির ভাগ জীবাণু নষ্ট হয়ে যায়।

5. জল দূষণ প্রতিরোধের উপায়?

উত্তর জল দূষণ নিয়ন্ত্রণ করার উপায় গুলি হল – ক] জলে নোংরা আবর্জনা ফেলা, কাপড় কাঁচা, গরু মোষ স্নান করা বন্ধ করতে হবে। খ] চাষের খেতে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার করা যাবে না। গ] শহর, কারখানার দূষিত জল পরিশোধন করে তারপর নদী, সমুদ্রে ফেলা উচিত। ঘ] বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলির উত্তপ্ত জল ঠান্ডা করে তার পর নদী, সমুদ্রে ফেলতে হবে। ঙ] সর্ব পরি সাধারণ মানুষ কে সচেতন করে, জলের অপচয় বন্ধ করতে হবে।

6. জল দূষণের কারণ লেখ?

উত্তর নানা রকম মানবিক কার্য কলাপের ফলে জল দূষিত হয়ে থাকে। যেমন – ক] শিল্প কারখানা – বড়ো শিল্প কারখানা গুলি থেকে নির্গত জলে প্রচুর দূষিত পদার্থ মিশে থাকে, যা সরাসরি জলাশয়ে ফেলা হয় বলে জল দূষিত হয়। খ] গৃৃহস্থালি – গৃহস্থালির অবশিষ্ট জিনিস পত্র, নোংরা আবর্জনা, নোংরা জল প্রভৃতি পার্শ্ববর্তী পুকুর বা অন্যান্য জলাশয়ে ফেলার ফলে জল দূষিত হয়। গ] কৃষি ক্ষেত্র – কৃষি কাজে ব্যবহৃত প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক সার, কীটনাশক, আগাছা নাশক প্রভৃতি বৃষ্টির জলে ধুয়ে নিকটবর্তী জলাশয়ে মিশে জল কে দূষিত করে। এছাড়া এই গুলি ভৌম জলে প্রবেশ করে ভৌম জলকেও দূষিত করে। ঘ] খনিজ তেল – অনেক সময় তেল বহনকারী ট্যাঙ্কার গুলি থেকে বিভিন্ন কারণে প্রচুর তেল সমুদ্রে জলে পরে বিস্তৃর্ন অঞ্চলের জলকে দূষিত করে দেয়। ঙ] তাপীয় দূষণ – বিভিন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলি থেকে উত্তপ্ত গরম জলকে ঠান্ডা না করেই নদীতে ফেলে দেওয়া হয় বলে, সেই উত্তপ্ত জলের সংস্পর্শে এসে প্রচুর জলজ জীব মারা যায় ও জল দূষিত হয়।

7. মাটি দূষণ কাকে বলে?

উত্তরমাটিতে বিভিন্ন রকম দূষিত পদার্থের মিশ্রণ জনিত কারণে মাটির উর্বরতা শক্তি ও গুন মান হ্রাস পেলে তাকে মাটি দূষণ বলে।

8. মাটি দূষণের কারণ কি?

উত্তর জনসংখ্যা অত্যাধিক বৃদ্ধি মাটি দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ। নিম্নলিখিত কারণ গুলির জন্য মাটি দূষিত হয়ে থাকে। ক] নগরায়ণ – বর্ধিত মানুষের বাসস্থানের জোগান দেওয়া র জন্য প্রচুর পরিমাণে বৃক্ষ চ্ছেদণ করা হচ্ছে। যার ফলে মৃত্তিকা ক্ষয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা মাটির গুণমান হ্রাস এর অন্যতম প্রধান কারণ। খ] কৃষিকাজ – প্রচুর পরিমাণ জন সংখ্যার খাদ্যের চাহিদা মেটাতে কৃষি জমিতে অনেক বেশি পরিমাণে রাসায়নিক সার, কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। যা মাটি দূষণের প্রধান কারন। গ] শিল্প কারখানা – শিল্প কারখানার দূষিত বর্জ্য পদার্থ গুলি পরিশোধন না করেই যেখানে সেখানে ফেলার ফলে মাটি দূষিত হয়। ঘ] গৃৃহস্থলি – বাড়ির ব্যবহৃত পলিথিন, প্লাস্টিক, হাসপাতালের আবর্জনা, মল মূত্র প্রভৃতি কারণেও মাটি দূষিত হয়। ঙ] বিভিন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলির বিষাক্ত পদার্থ দ্বারা মাটি দূষণ ঘটে।

9. ভারতের ভূপাল গ্যাস দুর্ঘটনা কত সালে হয়েছিল?

উত্তর 1984 সালে

10. ইউক্রেনের চার্নবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কত সালে বিস্ফোরণ ঘটে?

উত্তর 1986 সালে

11. জল দূষণ কাকে বলে?

উত্তর জলে বিভিন্ন অবাঞ্ছিত রাসায়নিক ও জৈব পদার্থ, ক্ষতিকারক জীবাণু মিশে জল যখন মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে গেলে এবং বিভিন্ন জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে পড়লে, তাকে জলদূষণ বলে।

12. জলদূষণের ফলে মানুষের শরীরে কোন কোন রোগ দেখা যায়?

উত্তর জলদূষণের ফলে মানুষের শরীরে কলেরা, আমাশয়, জন্ডিস, আন্ত্রিক, টাইফয়েড, পোলিও প্রভৃতি রোগ হয়ে থাকে।

13. পৃথিবীর মোট জলের কত শতাংশ সমুদ্রের জল?

উত্তর পৃথিবীর মোট জলের প্রায় 97 ভাগই সমুদ্রের জল।

14. পৃথিবীতে স্বাদু জলের পরিমাণ কত?

উত্তর মাত্র 3 শতাংশ

15. জলের কোন দূষণের ফলে মিনামাটা রোগ হয়?

উত্তর পারদ দূষণের ফলে।

16. ইউট্রোফিকেশন কি?

উত্তর জমিতে ব্যবহৃত সার বৃষ্টির জলের মাধ্যমে বা সাবান ও ডিটারজেন্টের ফসফেট মিশ্রিত জল পুকুরে গিয়ে মিশলে জলে পুষ্টি মৌলের পরিমাণ বেড়ে যায় বলে, যার ফলে আগাছা, শৈবাল ও কচুরি পানার পরিমাণ অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যায়। ফলে জলে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ হ্রাস পায় বলে প্রচুর মাছ ও জলজ প্রাণী মারা যায়, একে ইউট্রোফিকেশন বলে।

17. পশ্চিমবঙ্গের কোন কোন জেলায় জলে আর্সেনিক পাওয়া যায়?

উত্তর পশ্চিমবঙ্গের মালদা, নদিয়া, হুগলি, হাওড়া, বর্ধমান, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার মাটির নিচের জলে অনেক বেশি মাত্রায় আর্সেনিক পাওয়া যায়।

18. ব্ল্যাক ফুট ব্যাধি কি?

উত্তর অনেক দিন ধরে আর্সেনিক মিশ্রিত জল পান করার ফলে হাতের চেটো ও পায়ের তলায় যে কালো কালো ক্ষত হয়। তাকে ব্ল্যাক ফুট ব্যাধি বলে।

19. জলের ফ্লুরাইড দূষণের ফলে কোন রোগ হয়?

উত্তর ফ্লুরো সিস

20. জলের ক্যাডমিয়াম দূষণের ফলে কোন অসুখ হয়?

উত্তর ইতাই – ইতাই অসুখ

21. সাহারা মরুভূমির পূর্বদিকে কী আছে?

উত্তর:- সাহারা মরুভূমির পূর্বদিকে আছে লোহিত সাগর।

22. সাহারা মরুভূমির উচ্চতম স্থান কী?

উত্তর:- সাহারা মরুভূমির উচ্চতম স্থান আহার ও টিবেস্টি মালভূমি।

23. আর্গ কী?

উত্তর:- সাহারা মরুভূমি অঞ্চলে বালির স্তূপ জমা হয়ে ছোটো পাহাড়ের মতো তৈরি করে একে আর্গ বলে।

24. হামাদা কী?

উত্তর:- সাহারার যেসব অঞ্চলে শক্ত পাথরে ভরা, বালির অস্তিত্ব চোখেই পড়ে না এমন ভূমিকে হামাদা বলে।

25. খামসিন কী?

উত্তর:- গরমকালে সাহারা মরুভূমি থেকে একপ্রকার গরম ও শুকনো বাতাস বয়ে যায়। একে স্থানীয় ভাষায় খামসিন বলে।

26. হারমাটান কী?

উত্তর:- গিনি উপকূল অঞ্চলে শুকনো বাতাস খামসিনকে হারমাটান বলা হয়।

27. রেগ কী?

উত্তর:- সাহারায় যেসব অঞ্চলে বালির সাথে পাথরের টুকরো একত্রে মিশে থাকে তাকে রেগ বলে।

28. ক্যারাভ্যান কী?

উত্তর:- উট সাহারার অধিবাসীদের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম। মরুভূমিতে দল বেঁধে যখন উট চলে তখন সেই উটের দলকে ক্যারাভ্যান বলে।

29. তুয়ারেগ কাদের বলা হয় ?

উত্তর:- সাহারার একশ্রেণির অধিবাসীদের তুয়ারেগ বলে। এই তুয়ারেগ জাতির মানুষেরা বর্তমানে বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ নির্দেশক হিসেবে কাজ করে।

30. সাহারায় কয়েকটি মরূদ্যানের নাম লেখো।

উত্তর:- সাহারা মরুভূমিতে অবস্থিত কয়েকটি মরূদ্যান হল কুফরা, সিউয়া, টিমিমন, খারজাইয়া, বাহারিয়া।

31. সাহারা মরু অঞ্চলে কোথায় সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা দেখা যায় ?

উত্তর:- ত্রিপোলির দক্ষিণে লিবিয়ার আল আজিজিয়ায় সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা দেখা যায়।

32. সাইমুম কাকে বলে ?

উত্তর:- সাহারা মরুভূমিতে গরমকালে দিনের বেলায় কখনো কখনো প্রবল বালির ঝড় হতে দেখা যায়। একে স্থানীয় ভাষায় সাইমুম বলা হয়।

⬛ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :তিটা প্রশ্নের মান -2/3

33. সাহারা মরুভূমির অবস্থান, সীমা আয়তন বলো।

উত্তর:- সাহারা মরুভূমি 10° উত্তর থেকে 35° উত্তর অক্ষরেখা এবং 25° পূর্ব থেকে 37° পূর্ব দ্রাঘিমা রেখায় অবস্থিত। সাহারা মরুভূমি আফ্রিকা মহাদেশের উত্তর ভাগে অবস্থিত এবং পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর, পূর্বে লোহিত সাগর, উত্তরে আটলাস পর্বত ও ভূমধ্যসাগর এবং দক্ষিণে নাইজার উপত্যকা অবস্থিত। সাহারা মরুভূমি আয়তনে প্রায় 63 লক্ষ বর্গকিলোমিটার, পূর্ব-পশ্চিমে প্রায় 5000 কিলোমিটার এবং উত্তর-দক্ষিণে প্রায় 2000 কিলোমিটার। সংযুক্ত আরব সাধারণতন্ত্র, লিবিয়া, চাদ, সুদান, নাইজার, আলজিরিয়া, মালি, মাউরিটানিয়া, মরক্কো প্রভৃতি রাষ্ট্রের অধিকাংশ স্থান জুড়ে মরু অঞ্চল অবস্থিত।

34. সাহারা অঞ্চলের জলবায়ুর বিবরণ দাও।

উত্তর:- দিনেরবেলা সাহারা মরুভূমি অঞ্চল ভীষণ গরম। বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকে না। তাপমাত্রা মাঝে মাঝে 58° সে. পর্যন্ত হয়ে যায়। গরমকালে এখানে একরকম গরম ও শুকনো বাতাস বয়ে যায় একে খামসিন বলা হয়। গরমকালে দিনের বেলায় কখনো কখনো প্রবল বালির ঝড় হতেও দেখা যায়। স্থানীয় ভাষায় একে সাইমুম বলা হয়। এখানে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য অত্যন্ত বেশি। রাতে এখানে বেশ ঠান্ডা, তাপমাত্রা তখন 4° সে. নেমে যায়।

36. ওয়াদি কাকে বলে ?

উত্তর:-। সাহারা মরুভূমি অঞ্চলের অধিকাংশ নদী আটলাস পর্বত ও মধ্যভাগের উঁচু ভূমি থেকে উৎপত্তি হয়েছে। জলের অভাবে নদীগুলি অত্যন্ত সরু আকারের এবং বৃষ্টির অভাবে অধিকাংশ নদী শুকিয়ে গেছে। ওয়াদ্রা এই অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য নদী। স্থানীয় ভাষায় এখানকার নদীখাতগুলিকে ওয়াদি বলে।

37. সাহারা মরুভূমির স্বাভাবিক উদ্ভিদ কৃষি সম্বন্ধে আলোচনা করো।

উত্তর:- উদ্ভিদ : সাহারা মরুভূমিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম ও জমি বালুকাময় হওয়ায় এখানে স্বাভাবিক উদ্ভিদ বিশেষ জন্মায় না। ছোটো ছোটো কাঁটাগাছ, ক্যাকটাস, বাবলা প্রভৃতি গাছ বিক্ষিপ্তভাবে মরুভূমিতে দেখা যায়। মরূদ্যানের আশেপাশে ঘাস, খেজুর প্রভৃতি জন্মাতে দেখা যায়। এখানে গাছগুলির শিকড় জলের সন্ধানে মাটির গভীর অংশ পর্যন্ত প্রবেশ করে।

কৃষি : জলের অভাবে ও অনুর্বর মাটির জন্য সাহারা অঞ্চলে কৃষিকার্য প্রায় অসম্ভব। মরুদ্যানে সামান্য জলের জোগানে ভুট্টা, জোয়ার, বাজরা, তরমুজ, আখ প্রভৃতি চাষ হয়। এছাড়া এখানে প্রচুর খেজুর চাষ হয়।

38. যাযাবরদের সম্বন্ধে যা জানো লেখো।

উত্তর:- মরুভূমিতে বিশেষ এক ধরনের জাতি দেখা যায়, যারা উট নিয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় জল ও খাবারের সন্ধানে ঘুরে বেড়ায় এদের যাযাবর বলে। এরা সাধারণত উটের দল, ঘোড়া, ছাগল নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। পশুর দুধ ও মাংস এদের প্রধান খাদ্য। এরা মরূদ্যানের ধারে চাষবাসও করে। বর্তমানে এরা বিভিন্ন শহরে স্থায়ীভাবে বসবাসও করছে। কেউ কেউ এখন খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন কেন্দ্রগুলিতে কাজও করছে।

39. উটকে মরুভূমির জাহাজ বলে কেন?

উত্তর:- মরুভূমিতে পরিবহণের অন্যতম মাধ্যম হল উট। উট অনেকদিন খাদ্য ও জল ছাড়াই বাঁচতে পারে। আবার মরু ঝড়ের পূর্বাভাসও দিতে পারে। তপ্ত বালির ঝড় সহ্য করতে পারে। তাই উটকে মরুভূমির জাহাজ বলে।

40. সাহারা মরুভূমি সৃষ্টির কারণ কী?

উত্তর:- সাহারা উত্তর-পূর্ব আয়ন বায়ুর অন্তর্গত। ভারত মহাসাগর থেকে আসা উত্তর-পূর্ব আয়ন বায়ু পূর্ব উপকূলের পর্বতমালায় বাধাপ্রাপ্ত হয় ফলে সাহারায় প্রবেশ করতে পারে না। এই কারণে সাহারায় বৃষ্টি হয় না। আবার পশ্চিমা বায়ু আটলাসে বাধাপ্রাপ্ত হয় ফলে বৃষ্টি হয় না। এসব কারণে এখানে মরুভূমির সৃষ্টি হয়েছে।

⬛ রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর:তিটা প্রশ্নের মান -5/7

41. সাহারা মরুভূমির ভূমিরূপের বর্ণনা দাও।

উত্তর:- সাহারা মরু অঞ্চলের ভূ-প্রকৃতি বৈচিত্র্যময়। ভূপ্রকৃতির দিক থেকে এটি একটি মালভূমি। সাহারায় বেশ কয়েকটি উচ্চভূমি দেখা যায়। তাদের মধ্যে প্রাচীন শিলা দ্বারা গঠিত ও বহুদিন ধরে ক্ষয় পাওয়া আহামার ও টিবেস্টি মালভূমি প্রধান। কান্ডারা, সিওয়া এই অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য নীচু স্থান। এই অঞ্চলে অর্ধচন্দ্রাকৃতি এবং তির্যক বালিয়াড়ি দেখা যায়। এখানে বালির স্তূপ জড়ো হয়ে যে ছোটো পাহাড়ের মতো তৈরি করে তাকে আর্গ বলে। প্রস্তরময় মরু অঞ্চলকে হামাদা বলে। পাথর নুড়ি বালিপূর্ণ ভূমিকে বলে রেগ। সাহারার বেশির ভাগ নদীগুলিই শুকনো। এই শুকনো নদীর খাতগুলিকে বলা হয় ওয়াদি। এই অঞ্চলে মাঝে মাঝে জলের হ্রদ ও মরুদ্যান দেখা যায়।

42. সাহারা অঞ্চলের খনিজ সম্পদের বিবরণ দাও।

উত্তর:- সাহারা অঞ্চলে খনিজ সম্পদের পরিমাণ কম। তাদের মধ্যে খনিজ তেল প্রধান। আলজিরিয়া এবং লিবিয়ায় প্রচুর খনিজ তেল পাওয়া যায়। এ ছাড়া প্রাকৃতিক গ্যাস, লবণ, আকরিক লোহা, ম্যাঙ্গানিজ, তামা, কয়লা প্রভৃতি সাহারার বিভিন্ন স্থানে পাওয়া যায়। প্রতিকূল পরিবেশ, অত্যধিক গরম, পরিবহণ ব্যবস্থার অভাব, খনিজ সম্পদ উত্তোলনের প্রধান বাধা। বিভিন্ন পশুপালক যাযাবরেরা এখন খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন কেন্দ্রগুলিতে কাজ করে। খনি অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য বিমানবন্দরও তৈরি করা হয়েছে।

43. সময়ের সাথে সাথে সাহারা মরুভূমি অঞ্চলে কী কী পরিবর্তন এসেছে তা আলোচনা করো।

উত্তর:- পৃথিবীর বৃহত্তম উয় মরুভূমি হল আফ্রিকার সাহারা মরুভূমি। পাথুরে পাহাড়, ধূ-ধূ বালির প্রান্তর, মরুদ্যান, মাঝে মাঝে কাঁটাগাছ আর উটের পাল নিয়ে হেঁটে চলা যাযাবরের দল। এই হল সাহারা মরুভূমির জীবনকথা। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সাহারা পাল্টাচ্ছে। জায়গায় জায়গায় ঘাস লাগানো হয়েছে। বর্তমানে পাকা রাস্তা তৈরি হয়েছে। পুরনো উট চলা রাস্তার উপর দিয়ে চলে গেছে চওড়া পাকা রাস্তা, তৈরি হয়েছে উঁচু বাড়ি, মসজিদ উটের বদলে ট্রাকের দ্বারা ব্যবসা-বাণিজ্য হচ্ছে। খনি অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য তৈরি হয়েছে বিমানবন্দর। সাহারার তুয়ারেগ জাতিরা এখন বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ নির্দেশক হিসেবে কাজ করে। বিভিন্ন পশুপালক যাযাবরেরা এখন স্থায়ীভাবে শহরে বাস করে। কেউ কেউ খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন কেন্দ্রগুলিতে কাজ করে। একসময় জলবায়ুগত পরিবর্তনের ফলে সাহারা শুষ্ক, বৃষ্টিহীন অঞ্চলে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু এখন আবার সাহারায় বৃষ্টি বাড়ছে, সবুজও বাড়ছে। কৃষিজমি দেখা যাচ্ছে। জলবায়ুর এই পরিবর্তন হয়তো ভবিষ্যতে সাহারাকে আবার শস্যশ্যামল করে তুলবে।

44. সাহারা মরুভূমি অঞ্চলের জলবায়ুর বিবরণ দাও

উত্তর:- সাহারা মরুভূমি অঞ্চলের জলবায়ু শুষ্ক এবং চরম প্রকৃতির। এখানে উয়তা মাঝে মাঝে এত বেশি হয় যে বৃষ্টি মাটিতে পড়ার আগেই বাষ্পীভূত হয়ে যায়। দিনে যেমন গরম রাতে তেমনি ঠান্ডা। গ্রীষ্মে যেমন গরম পড়ে শীতে তেমনি ঠান্ডা। সুতরাং শীত-গ্রীষ্মের তারতম্য দেখা যায়। গ্রীষ্মকালে কোনো কোনো স্থানের উন্নতা 58° সে. হয়ে যায়। আবার শীতকালে 79–8° সে. নেমে যায়। এখানে গ্রীষ্মকালে একপ্রকার উয় বায়ুপ্রবাহ হয়, স্থানীয় ভাষায় একে খামসিন বলে। আবার দিনের বেলায় একরকম প্রবল বালির ঝড় বয় একে সাইমুম বলে। বৃষ্টিপাত এখানে হয় না বললেই চলে। বার্ষিক বৃষ্টিপাতের গড় 20° 30° সেন্টিমিটার। সাহারা মরুভূমির কিছু কিছু জায়গায় 4-5 বছর বৃষ্টি একদম হয় না। সাহারা উত্তর-পূর্ব আয়ন বায়ুর অন্তর্গত। ভারত মহাসাগর থেকে আসা উত্তর-পূর্ব আয়ন বায়ু পূর্ব উপকূলের পর্বতমালায় বাধাপ্রাপ্ত হয় ফলে সাহারায় প্রবেশ করতে পারে না। এই কারণে সাহারায় বৃষ্টি হয় না। আবার পশ্চিমা বায়ু আটলাস পর্বতে বাধাপ্রাপ্ত হয় ফলে বৃষ্টি হয় না। এইসব কারণে এখানে মরুভূমির সৃষ্টি হয়েছে।

45. সাহারা মরুভূমির ভূপ্রকৃতি আলোচনা করো।

উত্তর:- সাহারা মরুভূমি এক বালুকারাশিপূর্ণ, শিলাময় বিশাল নিম্ন মালভূমি অঞ্চল। এখানে স্থানে স্থানে উচ্চ পর্বতভূমি যেমন দেখা যায়, তেমনি নিম্নভূমিও আছে। ভূপ্রকৃতির গঠন অনুযায়ী সাহারা মরুভূমিকে চার ভাগে ভাগ করা হয়; যথা— [i] বালি ও শিলাযুক্ত মরু অঞ্চল, [ii] মধ্যের উচ্চভূমি অঞ্চল, [iii] নিম্নভূমি অঞ্চল, [iv] নীলনদ অববাহিকা।

[i] মরু অঞ্চল ঃ সমগ্র অঞ্চলটি বিচ্ছিন্নভাবে বালিয়াড়ি ও পাথরে পরিপূর্ণ। বালুকাপূর্ণ মরুভূমিকে আর্গ বলে। আবার পাথুরে মরুভূমিকে হামাদা বলে।

[ii] মধ্যের উচ্চভূমি অঞ্চল : সমগ্র মরুভূমির মধ্যভাগ উঁচু। এখানে বেশ কয়েকটি উঁচু পর্বত ও মালভূমি দেখা যায়। টিবেস্টি, আহামার, তাসিনি উচ্চভূমি প্রভৃতি। টিবেস্টির মাউন্ট টুসুদ্দি সাহারার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ।

[iv] নিম্নভূমি অঞ্চল : সাহারার উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল নিম্নভূমি, এখানকার মরিটানিয়া অঞ্চল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে নীচু, এখানে চলমান বালিয়াড়ি ও লবণাক্ত হ্রদ দেখা যায়।

[v] নীলনদ অববাহিকা : সাহারা মরুভূমির পূর্বদিকে অবস্থিত নীলনদ অববাহিকা। এই অববাহিকার জায়গায় জায়গায় নিম্নভূমি দেখা যায়।

⬛ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :তিটা প্রশ্নের মান -2/3

46. নীলনদের গতিপথের বিবরণ দাও।

উত্তর:- নীলনদ আফ্রিকার দীর্ঘতম নদী। এর দৈর্ঘ্য 6,650 কিমি। আফ্রিকার মোট জলপ্রবাহের প্রায় 10 ভাগ জলই নীলনদ দিয়ে বয়ে যায়। আফ্রিকার বিখ্যাত বুরুন্ডি মালভূমি থেকে সৃষ্ট হোয়াইট নীল এবং ইথিওপিয়ার উচ্চভূমি থেকে সৃষ্ট ব্লু নীল, এই দুই নদীর জলধারা থেকে নীলনদ তৈরি হয়েছে। উত্তর সুদানের রাজধানী খার্তুম শহর এই দুই ধারার মিলনস্থল। নীলনদ উত্তর দিকে প্রবাহিত হয়ে সাহারা মরুভূমির পূর্বপ্রান্তকে সবুজ করে তুলেছে। নীলনদ ভূমধ্যসাগরের মোহনার কাছে বিশাল ব-দ্বীপ তৈরি করেছে। মিশরের অধিকাংশ মানুষই নীলনদের তীরে কৃষিকাজ, পশুপালন ও বসবাস করে। নীলনদের তীরে গড়ে ওঠা বিখ্যাত শহরগুলি হল খার্তুম, আসোয়ান, লাস্কার ও কায়রো।

47. আফ্রিকার নদীগুলি প্রচুর জল বহন করে কেন ?

উত্তর:- নিরক্ষীয় অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি। এই বৃষ্টিপাতের ফলে উপনদীগুলি প্রচুর জল প্রধান নদীতে সরবরাহ করে। ফলে প্রধান প্রধান নদীতে সারাবছর জল থাকে। উপকূলভূমি বন্ধুর থাকলে নদীর মোহানা খুব প্রশস্ত ও খরস্রোতা হয়। নীলনদ আফ্রিকার মধ্যভাগের হ্রদ অঞ্চল থেকে বিপুল জলরাশি বয়ে নিয়ে আসে। আফ্রিকার সবচেয়ে বৃষ্টিবহুল এলাকা থেকে কঙ্গো নদীর সৃষ্টি হয়েছে। বয়ে যাওয়ার পথে বহু স্থানে এই নদী গভীর উপত্যকা তৈরি করেছে। প্রায় ওই একই জায়গা থেকে পূর্বদিকে সৃষ্টি হয়েছে জাম্বোসি নদী। এই নদীর গতিপথে তৈরি হয়েছে ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত ।

48. কঙ্গো নদীর গতিপথের বর্ণনা দাও।

উত্তর:- এটি আফ্রিকার দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী। এর দৈর্ঘ্য 4,700 কি.মি.। কঙ্গো নদীটি পশ্চিমদিকে প্রবাহিত হয়েছে। দৈর্ঘ্যে নীলনদের থেকে কম হলেও এর জলপ্রবাহ যথেষ্ট বেশি। আফ্রিকার সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিবহুল এলাকা থেকে কঙ্গো নদীর সৃষ্টি। জাম্বিয়ার উত্তর প্রাপ্ত হল এই নদীর উৎসস্থল। বয়ে যাওয়ার পথে এই নদী বহু জায়গায় গভীর উপত্যকা তৈরি করেছে। কঙ্গোর তীরে গড়ে ওঠা বড়ো শহরগুলি হল কিসাঙ্গানি, বানডাকা, কিনশাসা ও ব্রাজাভিল।

49. নীলনদ কঙ্গো ছাড়া আফ্রিকার অন্য প্রধান তিনটি নদী কী কী? এদের গতিপথের বর্ণনা দাও।

উত্তর:- নীলনদ ও কঙ্গো ছাড়া আফ্রিকার অন্যান্য নদনদীগুলি হল নাইজার, জাম্বেসি ও অরেঞ্জ।

নাইজার : পশ্চিম আফ্রিকার প্রধান নদী নাইজার-এর দৈর্ঘ্য 4180 কিমি.। আটলান্টিক মহাসাগর থেকে 200 কিমি দূরে গিনি উচ্চভূমি হল এর উৎসস্থল। এই নদীটি আটলান্টিকের উল্টোদিকে সাহারা মরুভূমির দিকে প্রবাহিত হয়েছে। নাইজার নদী উত্তর দিকে টিমবাকটু শহর পর্যন্ত প্রবাহিত হওয়ার পর আবার দক্ষিণদিকে এসে নাইজেরিয়ায় প্রবেশ করেছে। এই নদীটি আটলান্টিক মহাসাগরে পতিত হয়েছে। মোহানার কাছে এই নদীর সৃষ্টি করা ব-দ্বীপ বেশ জনবহুল। এখানকার মানুষের জীবিকা চাষ-আবাদ ও পশুপালন।

জাম্বেজি : আফ্রিকার চতুর্থ দীর্ঘতম নদী জাম্বেজি, এর দৈর্ঘ্য 3540 কিমি। জাম্বিয়া, অ্যাঙ্গোলা ও কঙ্গো—এই তিনটি দেশ যেখানে মিলিত হয়েছে সেখানে এই নদীর উৎপত্তি। জাম্বোজি নদীটি পড়েছে ভারত মহাসাগরে। এই নদীপথে সৃষ্টি হয়েছে পৃথিবী বিখ্যাত ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত। এই নদীপথে দুটি বড়ো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রও তৈরি হয়েছে।

অরেঞ্জ : আফ্রিকার পঞ্চম দীর্ঘতম নদী অরেঞ্জ পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়েছে। এর দৈর্ঘ্য 2200 কিমি। ড্রান্সেবার্গ পর্বত থেকে উৎপন্ন এই নদী আটলান্টিক মহাসাগরে পড়েছে। জলসেচের উদ্দেশ্যে এই নদীতে প্রায় 29টি জলাধার তৈরি করা হয়েছে।

⬛ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :তিটা প্রশ্নের মান -2/3

50. আফ্রিকা মহাদেশের জলবায়ু সম্পর্কে যা জানো লেখো।

উত্তর:- আফ্রিকার জলবায়ুর ওপর বেশ কয়েকটি প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের প্রভাব আছে। আফ্রিকার মধ্য দিয়ে নিরক্ষরেখায় উত্তর দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা এবং দক্ষিণ দিক দিয়ে মকরক্রান্তি রেখা চলে গেছে। তাই এই মহাদেশটির বেশিরভাগ অঞ্চল উন্নমণ্ডলের অন্তর্গত। কিন্তু পার্বত্য অঞ্চল ও মালভূমিগুলি সমভূমির থেকে শীতল স্থানে অবস্থান করছে। নিরক্ষরেখার উভয় প্রান্তের জলবায়ুর মধ্যে যথেষ্ট বৈসাদৃশ্য দেখা যায়। আফ্রিকার বুকে যে বৃষ্টিপাত হয় তাতেও তফাৎ চোখে পড়ে। আবার এই বৃষ্টিপাতের সঙ্গে জলবায়ু ও স্বাভাবিক উদ্ভিদের নিবিড় সম্পর্ক আছে।

51. আফ্রিকা মহাদেশের জলবায়ুর বৈচিত্র্যের বিবরণ দাও।

উত্তর:- আফ্রিকা মহাদেশের জলবায়ু সব জায়গায় সমান নয়। আফ্রিকার প্রায় মাঝখান দিয়ে নিরক্ষরেখা গেছে ফলে এখানে উন্নতা বেশি। সমুদ্র উপকূল থেকে দূরে অবস্থানের কারণে এই মহাদেশে ঠান্ডা ও গরমের পার্থক্য বাড়ে। আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন দিক দিয়ে উন্ন বা শীতল সমুদ্রস্রোত প্রবাহিত হয়, ফলে উন্ন স্রোত সংলগ্ন অঞ্চলের উষ্ণতা বাড়ে এবং শীতল স্রোত সংলগ্ন ভূখণ্ডকে শীতল করে। আফ্রিকার পার্বত্য অঞ্চলে প্রায় 1 কিমি উচ্চতা বাড়ার সাথে সাথে বাতাসের উন্নতা গড়ে 6.4° হারে কমে। আফ্রিকা মহাদেশ একই সঙ্গে দুটি আলাদা গোলার্ধে অবস্থিত হওয়ায় এখানে বিভিন্ন রকম জলবায়ু দেখা যায়।

52. ভেল্ড তৃণভূমি অঞ্চলের বর্ণনা দাও।

উত্তর:-। আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণ দিকে কালাহারি মরুভূমি ও ভারত মহাসাগরের ধারে উপকূল অঞ্চলে শীতকালে প্রবল ঠান্ডা ও গরমকালে মোটামুটি গরম। শীত ও গ্রীষ্মের মধ্যে তাপমাত্রার পার্থক্য খুবই বেশি। মরু অঞ্চলের থেকে বৃষ্টিপাত এখানে একটু বেশি। এখানে উঁচু পাহাড়ের ঢালে পপলার, উইলো প্রভৃতি গাছ এবং মরুভূমি এলাকায় ছোটো, খসখসে সবুজ ঘাস দেখা যায়। এই তৃণভূমিকে ভেল্ড বলে।

⬛ রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর:তিটা প্রশ্নের মান -5/7

53. আফ্রিকা মহাদেশের জলবায়ুর ওপর নির্ভর করে কোন্ ধরনের স্বাভাবিক উদ্ভিদের সৃষ্টি হয়েছে?

উত্তর:- আফ্রিকা মহাদেশের জলবায়ু সব জায়গায় সমান নয়। বিশেষ করে তাপমাত্রা আর বৃষ্টিপাতের ওপর গাছপালা জন্মানো ও বেড়ে ওঠা নির্ভর করে। তাপমাত্রা ও বৃষ্টির পরিমাণ বদলালে গাছপালার ধরন বদলে যায়। এই বৈচিত্র্যময় জলবায়ুর ওপর ভিত্তি করে এখানে যে স্বাভাবিক উদ্ভিদ গড়ে উঠেছে তাকে সাতটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলি হল : [i] নিরক্ষীয় চিরসবুজ গাছের অরণ্য, [ii] সাভানা তৃণভূমি, [iii] ভূমধ্যসাগরীয় উদ্ভিদ, [iv] উষ্ণ মরু উদ্ভিদ, [v] নাতিশীতোয় তৃণভূমি বা ভেল্ড, [vi] মৌসুমি পর্ণমোচী গাছের অরণ্য, [vii] পূর্ব উপকূলীয় উন্ন নাতিশীতোয় বা চিনদেশীয় উদ্ভিদ।

54. নিরক্ষীয় চিরসবুজ অরণ্য সাভানা তৃণভূমির বিবরণ দাও।

উত্তর:- নিরক্ষরেখার কাছাকাছি অঞ্চলে 27° উন্নতা ও 200 – 250 সেমি বৃষ্টিপাত দেখা যায়। সরাসরি সূর্যকিরণ ও বৃষ্টির ফলে এখানে শক্ত কাঠের ঘন জঙ্গল সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘন জঙ্গলের প্রধান গাছগুলি হল মেহগনি, রোজউড, এবনি। পাতা ঝরানোর নির্দিষ্ট ঋতু না থাকায় গাছগুলি। সারাবছর সবুজ দেখায় বলে একে চিরসবুজ গাছের অরণ্য বলা হয়। নিরক্ষীয় অঞ্চলের উত্তর ও দক্ষিণে বৃষ্টি কমতে থাকে। এখানে দীর্ঘ গরমকালেও বছরে 150 সেমি বৃষ্টি হয়। মোটামুটি গরম ও কম বৃষ্টিপাতের জন্য বড়ো গাছের সংখ্যা কম ও লম্বা ঘাসের প্রান্তর দেখা যায়। এটি সাভানা তৃণভূমি নামে পরিচিত বিস্তৃত ঘাসজমির মধ্যে অ্যাকাসিয়া ও বাওবাব জাতীয় গাছ দেখা যায়।

জলদূষণ  সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন উত্তর একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক সপ্তম শ্রেণীর পরীক্ষা (West Bengal Class Seventh VII / WB Class 7 / WBBSE / Class 7 Exam / West Bengal Board of Secondary Education – WB Class 7 Exam / Class 7th / WB Class 7 / Class 7 Pariksha ) এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর ( সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন / সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ ও উত্তর । Class 7 Geography Suggestion / Class 7 Geography  Question and Answer / Class 7 Geography Suggestion / Class 7 Pariksha Geography Suggestion / Geography Class 7 Exam Guide / MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer / Class 7 Geography Suggestion FREE PDF Download)

জলদূষণ  প্রশ্ন উত্তর

(Class 7 Geography Suggestion / West Bengal Seventh VII Question and Answer, Suggestion / WBBSE Class 7th Geography Suggestion / Class 7 Geography  Question and Answer / Class 7 Geography  Suggestion / Class 7 Pariksha Suggestion / Class 7 Geography  Exam Guide / Class 7 Geography  Suggestion 2024, 2025, 2026, 2027, 2023, 2021, 2020, 2018, 2017, 2016, 2015, 2028, 2028, 2030 / Class 7 Geography  Suggestion MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer. / Class 7 Geography  Suggestion FREE PDF Download) সফল হবে।

জলদূষণ  প্রশ্ন উত্তর

জলদূষণ  প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Geography  Question and Answer Suggestion সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল জলদূষণ  প্রশ্ন ও উত্তর। জলদূষণ  MCQ  প্রশ্ন ও উত্তর | জলদূষণ  MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | জলদূষণ  Class 7 Geography  Question and Answer Suggestion

সপ্তম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত নোটস
সপ্তম শ্রেণীপড়ুন
অষ্টম শ্রেণীপড়ুন
নবম শ্রেণীপড়ুন
দশম শ্রেণিপড়ুন

সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন উত্তর জলদূষণ

জলদূষণ  SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | সপ্তম শ্রেণির ভূগোল জলদূষণ  SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | জলদূষণ  Class 7 Geography  Question and Answer Suggestion । জলদূষণ  MCQ প্রশ্ন উত্তর সপ্তম শ্রেণি ভূগোল | Class 7 Geography 

সপ্তম শ্রেণি ভূগোল (Class 7 Geography ) – জলদূষণ  প্রশ্ন উত্তর | Class 7 Geography  Suggestion সপ্তম শ্রেণি ভূগোল জলদূষণ  প্রশ্ন উত্তর।

সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | সপ্তম শ্রেণির ভূগোল জলদূষণ  প্রশ্ন উত্তর | Class 7 Geography  Question and Answer, Suggestion সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  জলদূষণ  |  সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  জলদূষণ  | সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল সহায়ক জলদূষণ  প্রশ্ন ও উত্তর । Class 7 Geography  Question and Answer, Suggestion | Class 7 Geography  Question and Answer Suggestion | Class 7 Geography  Question and Answer Notes | West Bengal Class 7th Geography Question and Answer Suggestion.

WBBSE Class 7th Geography  Suggestion | সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন উত্তর জলদূষণ

সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর জলদূষণ  MCQ প্রশ্ন উত্তর | WBBSE Class 7 Geography Question and Answer, Suggestion সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর জলদূষণ  প্রশ্ন উত্তর | Class 7 Geography  Question and Answer Suggestion.

WBBSE Class 7 Geography  Suggestion সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর জলদূষণ  প্রশ্ন ও উত্তর । Class 7 Geography  Suggestion সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর জলদূষণ প্রশ্ন ও উত্তর ।

WB Class 7 Geography  Suggestion | সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল জলদূষণ  MCQ প্রশ্ন উত্তর

Class 7 Geography  Question and Answer Suggestions | সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর জলদূষণ  | সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর Class 7 Geography  Question and Answer সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল জলদূষণ  সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর Class 7 Geography  Question and Answer সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল জলদূষণ  MCQ, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর ।

WB Class 7 Geography  Suggestion | সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল জলদূষণ  MCQ প্রশ্ন উত্তর

Class 7 Geography  Question and Answer Suggestion সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর জলদূষণ  MCQ প্রশ্ন ও উত্তর । Class 7 Geography  Question and Answer Suggestion সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর। West Bengal Class 7 Geography Suggestion Download WBBSE Class 7th Geography short question suggestion . Class 7 Geography  Suggestion download Class 7th Question Paper Geography. WB Class 7 Geography suggestion and important question and answer. Class 7 Suggestion pdf.

জলদূষণ সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার সম্ভাব্য সাজেশন শেষ মুহূর্তের প্রশ্ন উত্তর ডাউনলোড। সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর।

Class 7 Geography  Question and Answer Question and Answer prepared by expert subject teachers. WB Class 7 Geography Suggestion with 100% Common in the Examination .Class Seventh VII Geography  Suggestion | West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Class 7 Exam Class 7 Geography  Question and Answer, Suggestion Download PDF: West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Class 7 Seventh VII Geography Suggestion is provided here. Class 7 Geography  Question and Answer Suggestion Questions Answers PDF Download Link in Free here.

জলদূষণ  সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন উত্তর | Class 7 Geography  Question and Answer with FREE PDF Download Link

জলদূষণ  সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Geography  Question and Answer জলদূষণ  সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Geography  Question and Answer ”


সবার আগে সমস্ত পরীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ নোটস এবং মকটেস্ট পেতে জয়েন করুন -

× close ad