দশম শ্রেণীর বাংলা : নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 10th Bengali Question and Answer
নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 Bengali Question and Answer : নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 Bengali Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই West Bengal WBBSE Class 10th Bengali Question and Answer, Suggestion, Notes | দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Very Short, Short, Descriptive Question and Answer) গুলি আগামী West Bengal Class 10th MADHYAMIK MADHYAMIKBengali Examination – পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট। দশম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষা তে এই সাজেশন বা কোশ্চেন নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 Bengali Question and Answer গুলো আসার সম্ভাবনা খুব বেশি।
1. নদেরচাদের চার বছরের চেনা নদীর মূর্তিকে আরও বেশি ভয়ংকর ও অপরিচিত মনে হওয়ার কারণ –
[A] সে বহুদিন হল নদীর ধারে আসেনি
[B] সে একটি সংকীর্ণ ক্ষীণস্রোতা নদীর কথা ভাবছিল
[C] প্রবল বৃষ্টিতে নদীর এই চেহারা হয়েছে
[D] নদীতে বাঁধ দেওয়া হয়েছে
Ans: [B] সে একটি সংকীর্ণ ক্ষীণস্রোতা নদীর কথা ভাবছিল
2. ব্রিজের ধারকস্তম্ভের উপাদানগুলি হল –
[A] পাথর ও বালি
[B] ইট , সুরকি ও সিমেন্ট
[C] মাটি ও পাথর
[D] ইট , পাথর ও মাটি
Ans: [B] ইট , সুরকি ও সিমেন্ট
3. নদেরচাদ রোজ নদীকে দেখে –
[A] নদীর পাড়ে বসে
[B] স্টেশানে বসে
[C] বাঁধের ওপর বসে
[D] ব্রিজের ধারকস্তম্ভের শেষপ্রান্তে বসে
Ans: [D] ব্রিজের ধারকস্তম্ভের শেষপ্রান্তে বসে
4. নদীর স্রোত ফেনিল আবর্ত রচনা করে –
[A] ধারকস্তম্ভে বাধা পাওয়ায়
[B] জল বেড়ে যাওয়ায়
[C] বাঁধ নির্মাণ করায়
[D] মুশলধারায় বৃষ্টির কারণে
Ans: [A] ধারকস্তম্ভে বাধা পাওয়ায়
5. নদেরচাঁদ পকেট থেকে যা বের করে স্রোতের মধ্যে ছুড়ে দিল , তা হল –
[A] পুরোনো চিঠি
[B] ঢাকা
[C] পয়সা
[D] কাগজের টুকরো
Ans: [A] পুরোনো চিঠি
6. ‘ জলপ্রবাহকে আজ তাহার জীবন্ত মনে হইতেছিল , –
[A] প্রবল বর্ষণের জন্য
[B] ভয়ংকরতার জন্য
[C] বিরহবেদনার জন্য
[D] উন্মত্ততার জন্য
Ans: [D] উন্মত্ততার জন্য
7. বউকে পাঁচ পাতার চিঠি লিখতে নদেরচাদের সময় লেগেছিল –
[A] পাঁচ দিন
[B] সাত দিন
[C] এক দিন
[D] দু – দিন
Ans: [D] দু – দিন
8. “আর বৃষ্টি হবে না, কি বল?” – কথাটি কে বলেছিল?
[A] নতুন সহকারি
[B] নদের চাঁদ
[C] রেলের কর্মাধ্যক্ষ
[D] রেলের টিকিট পরীক্ষক
উত্তর : [B] নদেরচাঁদ
9. নদের চাঁদ লাইন ধরে যে দিকে হাঁটতে শুরু করেছিল তা হল –
[A] স্টেশনের দিকে
[B] বাড়ির দিকে
[C] নদীর উপরের ব্রীজের দিকে
[D] পরবর্তী স্টেশনের দিকে
উত্তর : [C] নদীর উপরের ব্রীজের দিকে
10. “ছেলে মানুষের মতো ঔৎসুক্য বোধ করিতে লাগিল” – এখানে কার সম্পর্কে এরকম কথা বলা হয়েছে?
[A] ট্রেনের খালাসী
[B] নদের চাঁদ
[C] ট্রেনের চালক
[D] নতুন সহকারি
উত্তর : [B] নদের চাঁদ
11. “এমন ভাবে পাগলা হওয়া কি তার সাজে?” – কিসের জন্য নদের চাঁদ পাগলা হয়েছিল?
[A] অবিরত বৃষ্টির জন্য
[B] নদীর জন্য
[C] নদীর কথা মানুষকে জানানোর জন্য
[D] নিজের পত্নীর জন্য
উত্তর : [B] নদীর জন্য
12. নদের চাঁদ প্রায় কেঁদে ফেলেছিল, কারণ –
[A] নদীর ঢেউয়ের প্রভাবে ব্রিজ ভেঙে যাচ্ছিল
[B] নদীতে বন্যা দেখা দিয়েছিল
[C] তার প্রিয় নদীটি শুকিয়ে যাচ্ছিল
[D] নদীতে ঢেউ উঠেছিল
উত্তর : [C] তার প্রিয় নদীটি শুকিয়ে যাচ্ছিল
13. নদেরচাদের মৃত্যু হয়েছিল—
[A] জলে ডুবে
[B] ট্রেনের তলায়
[C] মোটর দুর্ঘটনায়
[D] ব্রিজ ভেঙে
Ans: [B] ট্রেনের তলায়
14. নদীকে বন্দি বলার কারণ –
[A] নদীটি দুই তীরের মধ্যে সীমাবদ্ধ বলে
[B] নদীটি শীর্ণকায় ও ক্ষীণস্রোতা বলে
[C] মানুষ বাঁধ ও ব্রিজ তৈরি করে তার গতি রুদ্ধ করেছে বলে
[D] নদীটি ছোটো বলে
Ans: [C] মানুষ বাঁধ ও ব্রিজ তৈরি করে তার গতি রুদ্ধ করেছে বলে
15. যে – ট্রেনটি নদেরচাঁদকে পিষে দিয়েছিল , সেটি ছিল—
[A] ৩ নং আপ প্যাসেঞ্জার
[B] ৫ নং ডাউন প্যাসেঞ্জার
[C] ১০ নং আপ প্যাসেঞ্জার
[D] ৭ নং ডাউন প্যাসেঞ্জার
Ans: [D] ৭ নং ডাউন প্যাসেঞ্জার
16. নদেরচাদ স্টেশনমাস্টারের চাকরি করছে –
[A] চার বছর
[B] দু – বছর
[C] পাঁচ বছর
[D] এক বছর
Ans: [A] চার বছর
17. বউকে নদেরচাঁদ যে – চিঠি লিখেছিল , তার পৃষ্ঠাসংখ্যা –
[A] পাঁচ
[B] তিন
[C] এক
[D] দু
Ans: [A] পাঁচ
18. নদেরচাদের বউকে লেখা চিঠির বিষয়বস্তু ছিল—
[A] বিরহবেদনা
[B] আনন্দোচ্ছ্বাস
[C] শোকবার্তা
[D] সাংসারিক পরামর্শ
Ans: [A] বিরহবেদনা
19. এত উঁচুতে জল উঠে এসেছে যে , মনে হয় ইচ্ছা করলেই বুঝি—
[A] ঝাঁপ দেওয়া যায়
[B] হাত বাড়িয়ে স্পর্শ করা যায়
[C] স্নান করা যায়
[D] পান করা যায়
Ans: [B] হাত বাড়িয়ে স্পর্শ করা যায়
20. নদেরটাদের ভারি আমোদ বোধ হইতে লাগিল । কারণ—
[A] বৃষ্টিতে ভিজে
[B] বউকে চিঠি লিখে
[C] নদীর স্ফীতরূপ দেখে
[D] মাঠঘাট ডুবে যেতে দেখে
Ans: [C] নদীর স্ফীতরূপ দেখে
21. ঘণ্টা বিশ্রাম করিয়া মেঘের যেন নূতন শক্তি সঞ্চিত হইয়াছে ‘ ।
[A] পাঁচেক
[B] তিনেক
[C] দুয়েক
[D] খানেক
Ans: [B] তিনেক
22. রপর নামিল বৃষ্টি ।’— বৃষ্টি পড়েছিল –
[A] টিপটিপ করে
[B] অঝোরে
[C] মুশলধারায়
[D] ঝমঝম করে
Ans: [C] মুশলধারায়
23. নদেরচাঁদ বসিয়া বসিয়া ভিজিতে লাগিল , উঠিল না । কারণ—
[A] সে বৃষ্টিতে ভিজতে ভালোবাসত
[B] তার উঠতে ইচ্ছে করছিল না
[C] এটা তার ছেলেমানুষি
[D] সে নদীর শব্দ শুনছিল
Ans: [D] সে নদীর শব্দ শুনছিল
24. ‘ নদেরচাঁদের মন হইতে ছেলেমানুষি আমোদ মিলাইয়া গেল ।’— কারণ –
[A] বৃষ্টিতে চারদিক আবছা হয়ে গেল
[B] তার মনে ভয় উপস্থিত হল
[C] তার ফিরতে দেরি হয়ে যাচ্ছিল
[D] তার বউয়ের জন্য মনখারাপ করছিল
Ans: [B] তার মনে ভয় উপস্থিত হল
25. ‘ এই ভীষণ – মধুর শব্দ ‘ বলতে এককথায় যা বোঝানো যেতে পারে , তা হল –
[A] ভয়ংকর – সুন্দর
[B] হিংস্ৰ – বিষাক্ত
[C] অবশ – অবসন্ন
[D] ব্যথা – বেদনাময়
Ans: [A] ভয়ংকর – সুন্দর
26. ব্রিজের উপর দিয়ে ট্রেন চলে যাওয়ার শব্দে ঘুম ভেঙে যাওয়ার মতো একটা বেদনাবোধ হল নদেরচাঁদের । কারণ—
[A] সেই শব্দ তাকে নৈসর্গিক নিস্তব্ধতা থেকে বাস্তবে ফিরিয়ে এনেছিল
[B] সে মন দিয়ে নদীর উন্মত্ততা দেখছিল
[C] সে তার জীবনের শূন্যতাকে অনুভব করছিল
[D] সে ঘুমিয়ে পড়েছিল
Ans: [A] সেই শব্দ তাকে নৈসর্গিক নিস্তব্ধতা থেকে বাস্তবে ফিরিয়ে এনেছিল
27. ‘ বড়ো ভয় করিতে লাগিল নদেরচাদের । ‘ – ভয়ের কারণ ছিল—
[A] অন্ধকার
[B] বৃষ্টি
[C] নদীর প্রতিহিংসা
[D] নদীর স্ফীতি
Ans: [C] নদীর প্রতিহিংসা
28. নদেরচাদের উন্মত্ত নদীর কয়েক হাত উঁচুতে বসে থাকা উচিত হয়নি মনে হল , কারণ –
[A] বজ্রপাতে সে মারা যেতে পারত
[B] ব্রিজ ভেঙে পড়তে পারত
[C] সে পড়ে যেতে পারত
[D] সে নদীর প্রতিহিংসার শিকার হতে পারত
Ans: [D] সে নদীর প্রতিহিংসার শিকার হতে পারত
29. নদীর বিদ্রোহের কারণ ছিল—
[A] অতিরিক্ত বর্ষণ
[B] অনাবৃষ্টি
[C] বন্দিদশা থেকে মুক্তি
[D] ক্ষীণস্রোত
Ans: [C] বন্দিদশা থেকে মুক্তি
30. ‘ পারিলেও মানুষ মানুষ কি তাকে তাকে রেহাই দিবে ? – যার কথা বলা হয়েছে , তা হল –
[A] বাঁধ
[B] নদী
[C] ব্রিজ
[D] নদেরচাঁদ
Ans: [B] নদী
31. নদেরচাঁদ গর্ব অনুভব করত—
[A] নতুন রং করা ব্রিজটির জন্য
[B] নদীটির জন্য
[C] রেলের বাঁধটির জন্য
[D] স্টেশনটির জন্য
Ans: [A] নতুন রং করা ব্রিজটির জন্য
32. স্টেশন থেকে নদীর উপরকার ব্রিজের দূরত্ব হল
[A] পাঁচ মাইল
[B] তিন কিলোমিটার
[C] পাঁচশো মিটার
[D] এক মাইল
Ans: [D] এক মাইল
33. অবিরত বৃষ্টি হয়েছিল –
[A] পাঁচ দিন ধরে
[B] দু – দিন ধরে
[C] তিন দিন ধরে
[D] সাত দিন ধরে
Ans: [A] পাঁচ দিন ধরে
34. যখন বৃষ্টি থামল , তখন –
[A] দুপুর
[B] বিকেল
[C] রাত্রি
[D] ভোর
Ans: [B] বিকেল
35. নদেরচাঁদ নদীকে দেখেনি—
[A] তিন দিন
[B] পাঁচ দিন
[C] সাত দিন
[D] এক দিন
Ans: [B] পাঁচ দিন
36. নদেরচাদের ঔৎসুক্য ছিল –
[A] ছেলেমানুষের মতো
[B] পুরুষদের মতো
[C] মহিলাদের মতো
[D] বুড়োমানুষের মতো
Ans: [A] ছেলেমানুষের মতো
37. নদেরচাঁদ বাঁচবে না –
[A] ব্রিজ থেকে সরে না – গেলে
[B] বউকে না – দেখতে পেলে
[C] নদীকে না দেখলে
[D] নদীর সঙ্গে না খেললে
Ans: [C] নদীকে না দেখলে
38. দু – দিকে জলে ডুবে গিয়েছিল—
[A] রাস্তা
[B] ধানখেত
[C] মাঠঘাট
[D] বাড়িঘর
Ans: [C] মাঠঘাট
39. নদেরচাঁদ হেঁটে যাচ্ছিল—
[A] রেলের উঁচু বাঁধ দিয়ে
[B] পাকা রাস্তা দিয়ে
[C] নদীর পাড় দিয়ে
[D] রেলব্রিজ দিয়ে
Ans: [A] রেলের উঁচু বাঁধ দিয়ে
40. নদেরচাঁদ কল্পনা করার চেষ্টা করতে লাগল –
[A] আকাশ – ভাঙা বৃষ্টি
[B] নদীর বর্ষণ – পুষ্ট মূর্তি
[C] পঙ্কিল জলস্রোত
[D] মেঘাচ্ছন্ন আকাশ
Ans: [B] নদীর বর্ষণ – পুষ্ট মূর্তি
41. নদেরচাঁদ ছিল একজন –
[A] ট্রেনের চালক
[B] লাইটম্যান
[C] স্টেশনমাস্টার
[D] মাস্টারমশাই
Ans: [C] স্টেশনমাস্টার
42. নদেরচাদের বয়স হল –
[A] বাইশ বছর
[B] আটাশ বছর
[C] ত্রিশ বছর
[D] চল্লিশ বছর
Ans: [C] ত্রিশ বছর
43. নদীর জন্য নদেরচাদের মায়াকে অস্বাভাবিক বলার কারণ হল –
[A] প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এই স্বভাব প্রায় দেখা যায় না
[B] নদী প্রকৃতির একটি সাধারণ অঙ্গ
[C] নদীর প্রতি এত মায়া পাগলামির লক্ষণ
[D] উপরের সবকটিই
Ans: [A] প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এই স্বভাব প্রায় দেখা যায় না
44. যে – বছরে নদীর ক্ষীণ স্রোতধারা শুকিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল , সেই বছরটি ছিল –
[A] অতিবৃষ্টির বছর
[B] অনাবৃষ্টির বছর
[C] দুর্ভিক্ষের বছর
[D] বন্যার বছর
Ans: [B] অনাবৃষ্টির বছর
45. দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগতে ভুগতে পরমারীয়া মরে যাওয়ার উপক্রম করলে মানুষ কাঁদে –
[A] তাকে বাঁচাতে না পারার অসহায়তায়
[B] চিকিৎসা ভালোভাবে না – হওয়ার জন্য
[C] ঈশ্বরের কাছে তার জীবন প্রার্থনা করে
[D] তার চিকিৎসায় প্রচুর অর্থব্যয় হওয়ার জন্য
Ans: [A] তাকে বাঁচাতে না পারার অসহায়তায়
46. নদীর প্রতি নিজের পাগলামিতে নদেরচাদের—
[A] ভয় হয়
[B] দুঃখ হয়
[C] আনন্দ হয়
[D] গর্ব হয়
Ans: [C] আনন্দ হয়
47. নদীকে ভালোবাসার কৈফিয়ত হিসেবে নদেরচাঁদ যে কারণ দেখায় , সেটি হল—
[A] সে কোনোদিন নদী দেখেনি
[B] নদীটি খুব সুন্দর
[C] নদী থেকে সে মাছ ধরে
[D] নদীর ধারে তার জন্ম
Ans: [D] নদীর ধারে তার জন্ম
48. শৈশবে , কৈশোরে ও প্রথম যৌবনে মানুষ –
[A] ভালোমন্দের হিসেব করে না
[B] বড়ো – ছোটোর হিসেব করে না
[C] সাদা – কালোর হিসেব করে না
[D] ন্যায় – অন্যায়ের হিসেব করে না
Ans: [B] বড়ো – ছোটোর হিসেব করে না
49. দেশের ক্ষীণস্রোতা নির্জীব নদীটিকে নদেরচাঁদ যার মতো মমতা করত –
[A] গর্ভধারিণী মায়ের মতো
[B] চিরদুঃখী বোনের মতো
[C] অসুস্থ দুর্বল আত্মীয়ার মতো
[D] দারিদ্র্যাজর্জরিত বন্ধুর মতো
Ans: [C] অসুস্থ দুর্বল আত্মীয়ার মতো
50. নদেরচাদের সঙ্গে নদীর যে সম্পর্ক ছিল , তাকে বলা হয় –
[A] প্রেম
[B] সখ্য
[C] শত্রুতা
[D] প্রতিদ্বন্দ্বিতা
Ans: [B] সখ্য
51. নদেরচাঁদ স্তম্ভিত হয়ে গেল , কারণ –
[A] নদীর জল শুকিয়ে গেছে
[B] নদী বর্ষার জলে পরিপুষ্ট হয়ে গেছে
[C] নদী যেন খেপে গেছে
[D] নদী অপরূপ রূপ ধারণ করেছে
Ans: [C] নদী যেন খেপে গেছে
52. নদীর চাঞ্চল্য ছিল ____ প্রকাশ । ‘
[A] বর্ষণ – পুষ্ট মূর্তির
[B] পরিপূর্ণতার আনন্দের
[C] উন্মত্ততার
[D] নূতন সজ্জিত শক্তির
Ans: [B] পরিপূর্ণতার আনন্দের
53. নদীর জল ছিল –
[A] স্বচ্ছ
[B] পরিষ্কার
[C] ফেনিল
[D] পঙ্কিল
Ans: [D] পঙ্কিল
54. এতক্ষণ নদেরচাঁদ যে – নদীর কথা ভাবছিল , তা –
[A] বিস্তীর্ণ খরস্রোতা
[B] ফেনোচ্ছ্বাসিত স্রোতস্বিনী
[C] উন্মত্তা আবর্তসংকুল
[D] সংকীর্ণ ক্ষীণস্রোতা
Ans: [D] সংকীর্ণ ক্ষীণস্রোতা
55. যে – প্যাসেঞ্জার ট্রেনটিকে নদেরচাঁদ রওনা করিয়ে — দিয়েছিল , তার সময় ছিল –
[A] চারটে পঁয়তাল্লিশ
[B] পাঁচটা কুড়ি
[C] চারটে আটচল্লিশ
[D] পাঁচটা আটচল্লিশ
Ans: [A] চারটে পঁয়তাল্লিশ
56. নদেরচাঁদ যাকে ডেকে বলল ‘ আমি চললাম হে , সে হল তার –
[A] সহকর্মী
[B] নতুন সহকারী
[C] দারোয়ান চারটে
[D] স্ত্রী
Ans: [B] নতুন সহকারী
57. পঁয়তাল্লিশের যে ট্রেনটিকে নদেরচাদ রওনা করিয়ে দিয়েছিল , সেটি ছিল—
[A] মেল ট্রেন
[B] প্যাসেঞ্জার ট্রেন
[C] মালগাড়ি
[D] টয় ট্রেন
Ans: [B] প্যাসেঞ্জার ট্রেন
58. নদেরচাঁদ নদীকে দেখেনি –
[A] চারদিন
[B] পাঁচদিন
[C] ছয়দিন
[D] সাতদিন
উত্তর- [B] পাঁচদিন।
59. ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পে অবিরত বৃষ্টি হয়েছিল –
[A] দু-দিন
[B] তিনদিন
[C] পাঁচদিন
[D] সাতদিন
উত্তর- [C] পাঁচদিন।
60. নদেরচাঁদ কাকে কেবল বোঝাতে পারে না?
[A] অন্যকে
[B] নিজেকে
[C] বড়োদের
[D] ছোটোদের
উত্তর- [B] নিজেকে কেবল বোঝাতে পারে না।
61. নদেরচাঁদের বয়স –
[A] পঁচিশ বছর
[B] ত্রিশ বছর
[C] পঁয়ত্রিশ বছর
[D] চল্লিশ বছর
উত্তর- [B] ত্রিশ বছর ।
62. নদেরচাঁদ ছিলেন –
[A] পোষ্টমাস্টার
[B] হেডমাস্টার
[C] স্টেশনমাস্টার
[D] রেলমাস্টার
উত্তর- [C] স্টেশনমাস্টার।
63. ‘আমি চললাম হে!’ – কথাগুলি বলেছিল –
[A] নূতন সহকারী
[B] নদের চাঁদ
[C] নিমাইচাঁদ
[D] বলাইচাঁদ
উত্তর- [B] নদের চাঁদ।
64. নদেরচাঁদ ‘রওনা করাইয়া’ দেয় –
[A] চারটা চল্লিশের প্যাসেঞ্জার ট্রেন
[B] ৭ নং ডাউন প্যাসেঞ্জার ট্রেন
[C] সাড়ে পাঁচটার মেইল ট্রেন
[D] চারটা পঁয়তাল্লিশের প্যাসেঞ্জার ট্রেন
উত্তর- [D] চারটা পঁয়তাল্লিশের প্যাসেঞ্জার ট্রেন ।
65. নদেরচাঁদ কতটা রাস্তা নদীর উপরকার ব্রিজ ধরে হাঁটতে লাগল –
[A] দুই মেইল
[B] চার মাইল
[C] এক মাইল
[D] তিন মাইল
উত্তর- [C] এক মাইল রাস্তা নদীর উপরকার ব্রিজ ধরে হাঁটতে লাগল।
66. স্টেশন থেকে নদীর দূরত্ব ছিল –
[A] আধ মাইল
[B] এক মাইল
[C] দু-মাইল
[D] তিন মাইল
উত্তর- [B] এক মাইল।
67. “আজ এই বিকালের দিকে বর্ষণ থামিয়াছে।” – কতদিন পরে?
[A] চারদিন
[B] পাঁচদিন
[C] ছয়দিন
[D] সাতদিন
উত্তর- [B] পাঁচদিন।
68. নদেরচাঁদের দেশের নদীটি ছিল –
[A] ভরা যৌবনা
[B] নৃত্যচঞ্চলা
[C] উচ্ছৃসিত বেগবতী
[D] ক্ষীণস্রোতা নির্জীব
উত্তর- [D] ক্ষীণস্রোতা নির্জীব।
69. ‘দেখিয়া সে প্রায় কাঁদিয়া ফেলিয়াছিল;’ – কী দেখে কাঁদছিল ?
[A] নদীর ক্ষীণ স্রোতধারা দেখে
[B] নদীর জল শুকিয়ে যাওয়া দেখে
[C] নদীর চাঞ্চল্য দেখে
[D] নদীর নির্জীব অবস্থা দেখে
উত্তর- [B] নদীর জল শুকিয়ে যাওয়া দেখে দেখে কাঁদছিল।
70. পাঁচদিন আগে নদেরচাঁদের দেখা নদীটির মধ্যে চাঞ্চল্য ছিল। তাতে প্রকাশ পেয়েছিল –
[A] বেদনা
[B] ক্রোধ
[C] প্রবলতা
[D] পরিপূর্ণতার আনন্দ
উত্তর- [D] পরিপূর্ণতার আনন্দ ।
71. নদেরচাঁদ কর্মেস্থলের কাছের নদীটিকে কত বছর চেনে?
[A] তিন বছর
[B] চার বছর
[C] পাঁচ বছর
[D] ছয় বছর
উত্তর- [B] চার বছর ধরে চেনে।
72. বউকে পাঁচ পাতার চিঠি লিখতে নদেরচাঁদের সময় লেগেছিল –
[A] পাঁচদিন
[B] সাতদিন
[C] একদিন
[D] দু-দিন
উত্তর- [D] দু-দিন।
73. নদের চাঁদ ব্রিজের মাঝামাঝি কোথায় এসে বসেছিল?
[A] একটি কাঠের গুঁড়ির ওপর
[B] একটি থামের উপর
[C] ধারকস্তম্ভের শেষ প্রান্তে
[D] একটি ইটের উপর
উত্তর : [C] ধারক স্তম্ভের শেষ প্রান্তে
74. “নদের চাঁদের ভারী আমোধ বোধ হইতে লাগিল” – এর কারণ কি ছিল?
[A] ইচ্ছে করলেই হাত বাড়িয়ে নদীর জল স্পর্শ করতে পারবে বলে
[B] নদীর পাড়ে বসতে পেরেছে বলে
[C] নদীকে দেখতে পাচ্ছে বলে
[D] ব্রিজের উপর বসতে পেরেছে বলে
উত্তর : [A] ইচ্ছে করলেই হাত বাড়িয়ে নদীর জল স্পর্শ করতে পারবে বলে
75. নদের চাঁদ নদীর স্রোতে ভাসিয়ে দিয়েছিল একটি –
[A] বইয়ের পৃষ্ঠা
[B] শুকনো পাতা
[C] খাতার পৃষ্ঠা
[D] একটি পুরনো চিঠি
উত্তর : [D] একটি পুরনো চিঠি
76. একটা বেদনাদায়ক চেতনা কিছুক্ষণের জন্য নদের চাঁদকে কি করেছিল?
[A] রোমাঞ্চিত
[B] দিশেহারা
[C] আচ্ছন্ন
[D] উন্মাদ
উত্তর : [B] দিশেহারা
77. “নদীর বিদ্রোহের কারণ সে বুঝিতে পারিয়াছে।” – নদীর বিদ্রোহের কারণ কি?
[A] অনাবৃষ্টি
[B] লোহা ইট কাঠ কংক্রিট এর বন্ধন
[C] বর্ষাকাল
[D] অতিরিক্ত বৃষ্টি
উত্তর : [B] লোহা ইট কাঠ কংক্রিট এর বন্ধন
নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় দশম শ্রেণীর বাংলা সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর Class 10 Bengali Suggestion | West Bengal WBBSE Class MADHYAMIK MADHYAMIK(Class 10th) Bengali Question and Answer Suggestion
1. ‘নদেরচাঁদ স্তম্ভিত হইয়া গেল।’ – স্তম্ভিত হল কেন?
উত্তর- নদেরচাঁদের স্তম্ভিত হওয়ার কারণ হল – পাঁচদিন আগে যে নদী ঘোলা জলে চঞ্চল ছিল আজ সেই নদী যেন পাগল হয়ে উঠেছে। তার চারিদিক গাঢ়তর ঘোলা জল এবং ফেনায় পরিপূর্ণ হয়ে আছে।
2. ‘কিন্তু সে চাঞ্চল্য যেন ছিল পরিপূর্ণতার আনন্দের প্রকাশ।’ – কোন পরিপূর্ণতার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর- পাঁচদিন আগে বর্ষার জলে পরিপুষ্ট নদী পঙ্কিল জলস্রোতে চাঞ্চল্য সৃষ্ট করে যেভাবে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল এখানে সেই পরিপূর্ণতার কথাই বলা হয়েছে।
3. “আজও সে সেইখানে গিয়া বসিল।” – কে, কোথায় গিয়ে বসল?
উত্তর- মানিক বন্দোপাধ্যায় রচিত ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পের অন্যতম চরিত্র নদেরচাঁদ নদীর উপরকার ব্রিজের ধারকস্তম্ভের উপর গিয়ে বসেছিল।
4. “আজও সে সেইখানে গিয়া বসিল।” – আজও বলার কারণ কী?
উত্তর- আজও বলার কারণ হল সে অর্থাৎ নদেরচাঁদ প্রতিদিনের মতো সেদিনও ব্রিজের ধারকস্তম্ভের শেষ প্রান্তে গিয়ে বসেছিল।
5. “এক একখানি পাতা ছিঁড়িয়া দুমড়াইয়া মোচড়াইয়া জলে ফেলিয়া দিতে লাগিল।” – উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কীসের পাতা জলে ফেলতে লাগল? [মাধ্যমিক ১৭]
উত্তর- ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পের স্টেশনমাস্টার নদেরচাঁদ স্ত্রীকে বিরহবেদনাপূর্ণ যে পাঁচ পৃষ্ঠাব্যাপী চিঠি লিখেছিল তা তার পকেটে ছিল। যে সেটারই এক-একটি পৃষ্ঠা জলে ফেলছিল।
6. ‘এতকাল নদেরচাঁদ গর্ব অনুভব করিয়াছে।’ কার প্রতি এই গর্ব?
উত্তর- নদীর উপকার রং করা ব্রিজটির প্রতি এই গর্ব।
7. “আমি চললাম হে!” – কে, কাকে একথা বলেছেন?
উত্তর : নদের চাঁদ তার সহকারীকে একথা বলেছিল।
8. স্টেশন থেকে নদীর উপর ব্রিজের দূরত্ব কত?
উত্তর : এক মাইল
9. নদের চাঁদ কত দিন নদীকে দেখা হয়ে ওঠেনি?
উত্তর : পাঁচ দিন
10. “না দেখিলে সে বাঁচিবে না।” – কে, কি না দেখলে বাঁচবে না?
উত্তর : নদীকে না দেখলে নদের চাঁদ বাঁচবেনা।
11. “আজও সে সেই খানে গিয়া বসিল।” – কে এবং কোথায় গিয়ে বসলো?
উত্তর : রেল স্টেশন থেকে প্রায় এক মাইল দূরে একটি ব্রীজের মাঝামাঝি স্থানে একটা ধারক স্তম্ভের শেষ প্রান্তে।
12. “লোভটা সামলাইতে পারিল না” – এখানে কোন লোভের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : নদীর জলের সঙ্গে খেলা করার লোভকে নদের চাঁদ সামলাতে পারেনি।
13. নদের চাঁদ কত বছর স্টেশনমাস্টারের দায়িত্ব পালন করেছে?
উত্তর : চার বছর
14. কোন ট্রেনটি নদের চাঁদ কে পিষে দিয়ে চলে যায়?
উত্তর : সাত নম্বর ডাউন প্যাসেঞ্জার
15. ‘ তারপর সে অতিকষ্টে উঠিয়া দাঁড়াইল ।’— ‘ তারপর বলতে কী বোঝানো হয়েছে ?
Ans: নদী আর বৃষ্টির শব্দ মিলেমিশে নদেরচাঁদকে আচ্ছন্ন করে দিয়েছিল । এমন সময় ব্রিজের ওপর দিয়ে সশব্দে একটা ট্রেন চলে যায় । উদ্ধৃতাংশে ‘ তারপর ‘ বলতে এর পরকেই বুঝিয়েছে ।
16. ‘ বড়ো ভয় করিতে লাগিল নদেরচাদের / – নদের চাঁদ ভয় পেল কেন ?
Ans: বর্ষার জলে উদ্বৃত্ত নদীর রোষে – ক্ষোভে ফুঁসে ওঠা রূপ দেখে দিশেহারা নদেরচাদের ভয় হয়েছিল নদীর আর্তনাদি জলরাশি যেন গোটা ব্রিজটিকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে ।
17. ‘ মানুষ যেমন কাঁদে কে , কেন কেঁদেছিল ?
Ans: পরমাত্মীয়কে দুরারোগ্য রোগে মারা যেতে দেখলে মানুষ যেমন কাঁদে , নদেরচাঁদও অনাবৃষ্টিতে তার গ্রামের ক্ষীণস্রোতা নদীটিকে শুকিয়ে যেতে দেখে তেমনি কেঁদে ফেলেছিল ।
18. ‘ চিরদিন নদীকে সে ভালোবাসিয়াছে । নদীকে ভালোবাসার মধ্য দিয়ে নদেরচাঁদের চরিত্রের কোন দিকটি প্রকাশিত ?
Ans: ত্রিশ বছর বয়সি নদেরচাদের নদীর প্রতি তীব্র ভালোবাসা অস্বাভাবিক হলেও নদেরচাঁদ প্রকৃতিপ্রেমী ও আবেগপ্রবণ । তাই সংবেদনশীল শিল্পী চরিত্রদের মতোই সে নদীকে ভালোবেসেছে ।
19. নদেরচাদ স্তম্ভিত হইয়া গেল । — নদেরচাঁদ কেন স্তম্ভিত হয়ে গেল ?
Ans: পাঁচ দিন অবিশ্রান্ত বৃষ্টির পরে নদীর ধারে গিয়ে আপাতশাস্ত নদীর উন্মত্ত রূপ দেখে নদেরচাঁদ স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল ।
20. ‘ প্রথমবার নদীর দিকে দৃষ্টিপাত করিয়াই … —‘প্রথমবার ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে ?
Ans: ‘ নদীর বিদ্রোহ ‘ গল্প অনুসারে , ‘ প্রথমবার ‘ বলতে পাঁচ দিন মুশলধারে বৃষ্টির পর নদেরচাঁদ প্রথম যখন নদীকে দেখে ও তার উন্মত্ততা অনুভব করে , সে কথাই বোঝানো হয়েছে ।
21. ‘ নদীর পঙ্কিল জলস্রোতে সে চাঞ্চল্য দেখিয়া গিয়াছে’— এই চাঞ্চল্যের স্বরূপ কী ছিল ?
Ans: নদেরচাঁদ বর্ষণপুষ্ট নদীর পঙ্কিল জলস্রোতের চাঞ্চল্য দেখেই বুঝেছিল সারাবছরের ক্ষীণস্রোতা নদীটির বর্ষার জলে পরিপূর্ণতার কাহিনি যেন তার চাঞ্চল্যের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হচ্ছিল ।
22. ‘ আমি চললাম হে ! – কে , কাকে এ কথা বলেছে ?
Ans: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ নদীর বিদ্রোহ ’ গল্পের স্টেশনমাস্টার নদেরচাঁদ চারটে পঁয়তাল্লিশের প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি রওনা করিয়ে , তার সহকারীকে কর্তব্যভার বোঝানোর সময় তাকে এ কথা বলেছে ।
23. ‘ আজ্ঞে হ্যাঁ ।’— কে , কোন্ প্রসঙ্গে এই কথাটি বলেছিল ?
Ans: ‘ নদীর বিদ্রোহ ’ গল্পে স্টেশনমাস্টার নদেরচাঁদ চারটে পঁয়তাল্লিশের প্যাসেঞ্জার ট্রেনটিকে পাস করিয়ে নতুন সহকারীকে তার দায়িত্ব বুঝিয়ে চলে যাবার কথা জানায় । উত্তরে সহকারী সম্মতিসূচক উক্তিটি করে ।
24. আজ্ঞে না । বস্তুার এই কথাটি বলার প্রসঙ্গ প্রশ্ন । উল্লেখ করো ।
Ans: নদেরচাদ বিকেলের প্যাসেঞ্জার ট্রেনটিকে পাস করিয়ে , দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার সময় সহকারীকে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে কিনা জিজ্ঞাসা করলে সহকারী উদ্ধৃত উক্তিটি করেন ।
25. ‘ তাহার উচিত হয় নাই।- তার কী করা উচিত হয়নি ?
Ans: ‘ নদীর বিদ্রোহ ‘ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র নদের চাঁদের ক্ষোভে উন্মত্ত নদীর আর্তনাদি জলরাশির কয়েক হাত উঁচুতে ধারকস্তম্ভের ওপর এমন নিশ্চিন্ত মনে বসে থাকা উচিত হয়নি ।
26. ‘ কিন্তু সে চাঞ্চল্য যেন ছিল পরিপূর্ণতার আনন্দের প্রকাশ।— কোন্ পরিপূর্ণতার কথা বলা হয়েছে ?
Ans: নদীর পরিপূর্ণতা তার জলরাশির উচ্ছলতায় । নদেরচাদ বর্ষার জলে পুষ্ট নদীর যে চাঞ্চল্য লক্ষ করেছিল , সেই পরিপূর্ণতার কথা এক্ষেত্রে বলা হয়েছে।
27. ” আজ যেন সেই নদী খেপিয়ে গিয়াছে , কোন্ নদীর কথা বলা হয়েছে ?
Ans: ‘ নদীর বিদ্রোহ ‘ গল্পের নায়ক নদেরচাদের কর্মস্থল থেকে মাইলখানেক দুরে তার প্রিয় নদীটি অবস্থিত ছিল । এখানে সেই নদীটির কথা বলা হয়েছে ।
28. ‘ আজ যেন সেই নদী খেপিয়া গিয়াছে— ‘ আজ ‘ বলতে কোন দিনের কথা বলা হয়েছে ?
Ans: ‘ নদীর বিদ্রোহ ‘ গল্পে ‘ আজ ‘ বলতে পাঁচদিনের অঝোরধারায় বৃষ্টির পর যেদিন নদেরচাঁদ প্রথম নদীকে দেখতে গিয়েছিল , সেই দিনটির কথা বলা হয়েছে ।
29. “ আজ যেন সেই নদী খেপিয়া গিয়াছে , — নদীর খেপে যাওয়ার কারণ কী ?
Ans: ‘ নদীর বিদ্রোহ ‘ গল্পে সারাবছর জলাভাবে ভুগতে থাকা ক্ষীণস্রোতা নদীটি একটানা পাঁচদিনের বৃষ্টিতে ফুলেফেঁপে উঠেছিল । এটাই নদীর খেপে যাওয়ার কারণ ।
30. ‘ সে প্রতিদিন নদীকে দেখে । – ‘ সে ’ কে ? সে কোন্ নদীকে কেন দ্যাখে ?
Ans: ‘ সে ’ হল মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ নদীর বিদ্রোহ ‘ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র নদেরচাঁদ । ” নদেরচাঁদ তার কর্মক্ষেত্র থেকে মাইলখানেক দূরের নদীটিকে প্রতিদিন দেখত । কারণ এমনই এক নদীর ধারে তার শৈশব কেটেছিল ।
31. ‘ আজও সে সেইখানে গিয়া বসিল / – কে , কোথায় প্রশ্ন গিয়ে বসল ।
Ans: স্টেশনমাস্টার নদেরচাঁদের তার কাজের অবসরে কর্মক্ষেত্র থেকে মাইলখানেক দূরে নদীর উপরকার ব্রিজের মাঝামাঝি ধারকস্তম্ভের শেষ প্রান্তে এসে বসল ।
32. ধারকস্তত্ত্বের শেষপ্রান্তে বসিয়া সে প্রতিদিন নদীকে দেখে তার প্রতিদিন নদীকে দেখার কারণ কী ?
Ans: নদেরচাদের নদীর সঙ্গে সখ্য ছোটোবেলার , তার গ্রামে থাকাকালীন । কর্মস্থলে এসেও সে তা ভুলতে পারেনি । তাই নদীকে সে প্রতিদিন না দেখে থাকতে পারত না ।
33. ‘ আজও সে সেইখানে গিয়া বসিল ‘ আজও বলার কারণ কী ?
Ans: নদীর প্রতি অমোঘ আকর্ষণে নদেরচাঁদ প্রতিদিন নদীকে দেখতে যেত । পাঁচ দিন অবিশ্রান্ত বৃষ্টিতে তাতে ছেদ পড়ে । ষষ্ঠ দিনে বৃষ্টি কমলে সে আবার সেই একই জায়গায় গিয়ে বসে । ‘ আজ ‘ বলতে উক্ত দিনটিকে বোঝানো হয়েছে ।
34. মনে হয় ইচ্ছা করিলে ‘ — কোন ইচ্ছার কথা বলা হয়েছে ?
Ans: বৃষ্টি শেষে নদীর ধারকস্তম্ভে বসে নদেরচাদ নদীকে দেখছিল । নদীর জলরাশি মাঝেমধ্যে ফুলেফেঁপে উঠছিল । সেই ফুলেফেঁপে ওঠা জলরাশিকে স্পর্শ করার ইচ্ছার কথা বলা হয়েছে ।
35. ‘ এত উঁচুতে জল উঠিয়া আসয়িাছে যে … ! – জল উঁচুতে উঠে এসেছে কেন ?
Ans: ক্ষীণস্রোতা নদীর উপর নির্মিত ব্রিজের ধারকস্তম্ভগুলিতে বর্ষার সময় নদীর স্রোত বাধা পায় এবং ফেনিল আবর্ত রচনা করে । তাই জল উঁচুতে উঠে আসে ।
36. ‘ নদেরচাদের ভারী আমোদ বোধ হইতে লাগিল । –নদেরচাঁদের আমোদ বোধ হওয়ার কারণ কী ?
Ans: ‘ নদীর বিদ্রোহ ‘ গল্প অনুসারে ব্রিজের ধারকস্তম্ভে বসে নদেরচাঁদ বারবার স্তম্ভের গায়ে আঘাত খেয়ে বর্ষণপুষ্ট নদীর ফুলে ওঠা জল ছুঁতে চেষ্টা করছিল । এতেই সে আমোদিত হয়ে উঠেছিল ।
37. ” সে স্রোতের মধ্যে ছুড়িয়া দিল ।’— ‘ সে ‘ কে ? সে স্রোতের মধ্যে কী ছুড়ে দিল ?
Ans: ‘ সে ‘ হল ‘ নদীর বিদ্রোহ ‘ গল্পের স্টেশনমাস্টার নদেরচাঁদ ।
চিরপরিচিত ক্ষীণকায় নদীকে বর্ষার জলে ফুলেফেঁপে উঠতে দেখে উৎফুল্ল নদেরচাঁদ পুরোনো চিঠি সেই উন্মত্ত স্রোতের মধ্যে ছুড়ে দিয়েছিল ।
38. ‘ চিঠি পকেটেই ছিল / – কোন চিঠির কথা বলা হয়েছে ?
Ans: বর্ষার সঙ্গে বিরহের সুর মিলিয়ে বাড়ি থেকে বহুদুরে কর্তব্যরত স্টেশনমাস্টার নদেরচাঁদ তার বউকে পাঁচ পাতার একটি চিঠি লিখেছিল । এখানে সেই চিঠির কথাই বলা হয়েছে ।
39. ‘ নদেরচাদ একটি সংকীর্ণ ক্ষীণস্রোতা নদীর কথা ভাবিতেছিল ।’— কোন্ নদীর কথা বলা হয়েছে ?
Ans: নদেরচাঁদ তার কর্মস্থলের অনতিদূরে চার বছর ধরে একটি ক্ষীণস্রোতা নদীকে দেখে আসছে । টানা পাঁচ দিনের বৃষ্টিতে সেই নদী ফুলেফেঁপে উঠলেও দাঁড়িয়ে সে সেই ক্ষীণস্রোতা নদীটির কথাই ভাবছিল ।
40. “ তার চার বছরের চেনা এই নদীর মূর্তিকে তাই যেন আরও বেশি ভয়ংকর , আরও বেশি অপরিচিত মনে হইল।— তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো ।
Ans: নদেরচাদের কর্মক্ষেত্রের পাশ দিয়ে প্রবাহিত ক্ষীণস্রোতা নদীটিকে সে প্রতিদিন দেখত । পাঁচ দিন অবিশ্রান্ত বর্ষণে সে নদীর জল ফুলেফেঁপে ভয়ংকর রূপ ধারণ করলে চার বছরের চেনা নদীটিকে নদেরচাদের অচেনা লাগে ।
41. “আমি চললাম হে!” -বক্তা কখন কথাগুলি বলেছে?
উত্তর- চারটা পঁয়তাল্লিশের প্যাসেঞ্জার ট্রেনটিকে রওনা করে দেওয়ার পর নদেরচাঁদ তার সকারীকে কথাগুলি বলেছে।
42. মানিক বন্দোপাধ্যায়ের প্রকৃত নাম কী? [মাধ্যমিক ১৯]
উত্তর- সাহিত্যিক মানিক বন্দোপাধ্যায়ের প্রকৃত নাম প্রবোধকুমার বন্দোপাধ্যায়।
43. বৃষ্টির জন্য নদেরচাঁদ কতদিন নদীকে দেখেনি?
উত্তর- বৃষ্টির জন্য নদেরচাঁদ পাঁচদিন নদীকে দেখেনি।
44. ‘রেলের উঁচু বাঁধ ধরিয়া হাঁটিতে হাঁটিতে’ – নদেরচাঁদ কী ভেবেছিল?
উত্তর- রেলের উঁচু বাঁধ ধরে হাঁটতে হাঁটতে নদেরচাঁদ নদীর বর্ষণ -পুষ্ট মূর্তিটি কল্পনা করার চেষ্টা করছিল।
45. ‘নিজেকে কেবল বুঝাইতে পারে না।’ – নিজেকে কী বোঝাতে পারে না নদেরচাঁদ?
উত্তর- নদেরচাঁদ একজন স্টেশনমাস্টার, দিনরাত্রি মেল ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন আর মাল গাড়িগুলি নিয়ন্ত্রণ করাই তার কাজ। তাই নদীর জন্য এভাবে পাগলের মতো ঔৎসুক্য বোধ করা তার সাজে না।
46. ‘নিজের এই পাগলামিতে যেন আনন্দই উপভোগ করে” – কার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর- ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র নদেরচাঁদের কথা আলোচ্যাংশে বলা হয়েছে।
47. “নদেরচাঁদ সব বোঝে,” – নদেরচাঁদ কী বোঝে? [মাধ্যমিক ১৮]
উত্তর- নদেরচাঁদের মধ্যে নদীর প্রতি এক অস্বাভাবিক ভালোবাসা, এক অদম্য পাগলামি বর্তমান। নদেরচাঁদের মতো স্টেশনমাস্টার, যার তত্ত্বাবধানে একটি রেলস্টেশনে অসংখ্য ট্রেনের গতাগতি নির্ভরশীল তার ক্ষেত্রে এমন পাগলামি সততই বেমানান। এ কথাই সে বোঝে।
48. ‘যেন আনন্দই উপভোগ করে।’ -কে, কীসে আনন্দ উপভোগ করে?
উত্তর- ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র নদেরচাঁদ নদীর প্রতি তার অন্তরের আকর্ষণ হেতু সৃষ্ট উন্মত্ততায় আনন্দ উপভোগ করে।
49. নদেরচাঁদের দেশের নদীটি কীরূপ ছিল?
উত্তর- নদেরচাঁদের দেশের নদীটি ক্ষীণস্রোতা ও নির্জীব।
50. ” সে প্রায় কাঁদিয়া ফেলিয়াছিল।” – কে এবং কি কারণে কেঁদে ফেলেছিল?
উত্তর : ছোট বেলায় একবার অনাবৃষ্টিতে নদীর জল শুকিয়ে যাওয়ায় নদের চাঁদ প্রায় কেঁদে ফেলেছিল।
51. “আজ যেন সেই নদী ক্ষেপিয়া গিয়াছি” – নদীর ক্ষেপে যাওয়ার কারন কি?
উত্তর : পাঁচদিন অনবরত বৃষ্টির জলে নদী ফুলে-ফেঁপে উঠেছিল যা নদীর ক্ষেপে যাওয়ার সঙ্গে তুলনা করা যায়।
52. ‘ চোখের পলকে কোথায় যে অদৃশ্য হইয়া গেল চিঠিখানি ! – চিঠির কথা বলা হয়েছে ?
Ans: বর্ষণপুষ্ট জলে ক্ষীণস্রোতা নদীর উন্মত্ততা লক্ষ করে নদেরচাদ তার প্রিয়ার চিঠি স্রোতের মধ্যে ফেলে দেয় । এখানে সেই চিঠির কথাই বলা হয়েছে ।
53. ‘ উন্মত্ততার জন্যই জলপ্রবাহকে আজ তাহার জীবন্ত মনে হইতেছিল , — এই উম্মত্ততার পরিচয় দাও ।
Ans: ‘ নদীর বিদ্রোহ ‘ গঙ্গে নদেরচাঁদ শীর্ণকায় যে – নদীকে দেখে অভ্যস্ত ছিল তা বর্ষণপুষ্ট হয়ে প্রতিনিয়ত উম্মত্ত জলপ্রবাহের আবর্ত রচনা করায় সেই জলরাশিকে জীবন্ত বলে মনে হয়েছিল ।
54. ‘ তার সঙ্গে খেলায় যোগ দিয়া কোন খেলার কথা বলা হয়েছে ?
Ans: একটানা বর্ষায় ফুলেফেঁপে ওঠা নদীর উম্মত্ত জলরাশিতে পুরোনো চিঠি খেলার ছলে ছিঁড়ে ছিঁড়ে ফেলেছিল নদেরচাঁদ । এখানে সেই খেলার কথা বলা হয়েছে ।
55. একটু মমতা বোধ করিল বটে , ‘ — কী বিষয়ে মমতা বোধ করার কথা বলা হয়েছে ?
Ans: উন্মত্ত নদীর জলে , স্ত্রীকে লেখা বিরহ – বেদনাপূর্ণ চিঠির এক – একখানি পাতা ছিঁড়ে দুমড়ে – মুচড়ে ফেলে দেওয়ার সময় নদেরচাদ স্ত্রীর প্রতি মমতাবোধ করেছিল ।
56. ‘ লোভটা সে সামলাইতে পারিল না , ‘ — কোন্ লোভের কথা বলা হয়েছ ?
Ans: এখানে ‘ লোভ ’ বলতে উন্মত্ত নদীর সঙ্গে নদেরচাদের খেলার লোভের কথা বলা হয়েছে । সেই লোভের বশবর্তী হয়ে নদেরচাঁদ স্ত্রীকে লেখা চিঠির পাতাগুলো একের পর এক নদীতে ছুড়ে ফেলেছিল ।
57. ‘ উঠল না— কে , কোথা থেকে উঠল না ?
Ans: ‘ নদীর বিদ্রোহ ‘ গল্পে স্ফীতকায় জলরাশির সঙ্গে খেলতে খেলতে আত্মহারা নদেরচাঁদ প্রবল বৃষ্টিতে ভিজতে থাকলেও এক অজানা আত্মিক টানে নদীর ধার ছেড়ে উঠল না ।
58. ‘ নদেরচাদের মন হইতে ছেলেমানুষি আমোদ মিলাইয়া গেল , ‘ — নদেরচাদের মন থেকে আমোদ মিলিয়ে গেল কেন ?
Ans: ব্রিজের ধারকস্তম্ভের ওপর বসে উত্তাল নদী থেকে উঠে আসা শব্দের সঙ্গে বৃষ্টির শব্দ মিশে তৈরি হওয়া শব্দ শুনতে শুনতে নদেরচাদের মন থেকে ছেলেমানুষি আমোদ মিলিয়ে গিয়েছিল ।
59. ‘ পাঁচ দিন নদীকে দেখা হয় নাই । — এই উদ্ধৃতির মধ্য দিয়ে নদেরটাদের যে আন্তরিক আকুতি ফুটে উঠেছে , তার পরিচয় দাও ।
Ans: নদেরচাদের ছোটো থেকেই নদীর প্রতি বড়ো টান । পাঁচ দিন অবিশ্রান্ত বৃষ্টির জন্য সে নদীর কাছে যেতে পারেনি । তাই বৃষ্টি থামতেই নদীকে দেখার জন্য সে উৎসুক হয়ে উঠল ।
60. ‘ নদের চাঁদ ছেলেমানুষের মতো ঔৎসুক্য বোধ করিতে লাগিল ।’— ‘ ছেলেমানুষের মতো ‘ বলার কারণ কী ?
Ans: ‘ নদীর বিদ্রোহ ‘ গল্পে অবিশ্রান্ত বৃষ্টির কারণে নদীকে দেখতে না পেয়ে নদেরচাদের মধ্যে যে আকুলতা সৃষ্টি হয়েছিল , তা সাধারণত কোনো প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মধ্যে দেখা যায় না । এই আগ্রহ বা ঔৎসুক্যবোধকেই ‘ ছেলেমানুষের মতো ‘ বলা হয়েছে ।
61. ‘ কিছুক্ষণ নদীকে না দেখিলে সে বাঁচিবে না । কথা বলার কারণ কী ?
Ans: এ কথার মধ্য দিয়ে নদেরচাদের সঙ্গে নদীর গভীর বন্ধুত্বকে বোঝানো হয়েছে । একটানা পাঁচ দিন বৃষ্টির পরে নদীকে দেখার জন্য তার মধ্যেকার আকুলতাকে প্রকাশ করছে এই উদ্ধৃতি ।
62. ‘ তা হোক।— কী হওয়ার কথা বলা হয়েছে ?
Ans: ‘ তা হোক ’ শব্দটির সাহায্যে বৃষ্টির পূর্বাভাসকে উপেক্ষা করাকে বোঝানো হয়েছে । পাঁচ দিন অবিশ্রান্ত বর্ষণের শেষে নদীকে দেখার সুযোগ নদেরচাঁদ কোনো মতেই হাতছাড়া করতে চায় না ।
63. ‘ রেলের উঁচু বাঁধ ধরিয়া হাঁটিতে হাঁটিতে … –হাঁটতে হাঁটতে নদেরচাঁদ কী ভাবছিল ?
Ans: পাঁচ দিন অবিশ্রান্ত বৃষ্টির ফলে নদেরচাঁদের নদী দেখা হয়নি । বৃষ্টি থামলে নদীকে দেখতে যাওয়ার সময় দু – দিকের মাঠঘাট দেখে সে বর্ষণ – পুষ্ট নদীর পরিপূর্ণ রূপের কথা ভাবছিল ।
64. ” ত্রিশ বছর বয়সে নদীর জন্য নদেরচাঁদের এত বেশি মায়া একটু অস্বাভাবিক / —এ কথা বলার কারণ কী ছিল ?
Ans: ‘ নদীর বিদ্রোহে ‘ নদেরচাদের নদীকে নিয়ে বাড়াবাড়ি রকমের ঔৎসুক্যবোধ অনেকটা ছেলেমানুষের মতো । ত্রিশ বছর বয়সে নদীকে নিয়ে নদেরচাদের এতটা মায়া একটু অস্বাভাবিকই লাগে ।
65. ‘ কেবল বয়সের জন্য নয় , বয়স ছাড়া আর কোন কোন কারণ উল্লেখ করা হয়েছে ?
Ans: নদেরচাঁদ একজন স্টেশনমাস্টার । মেল , প্যাসেঞ্জার , মালগাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করা তার কাজ । যন্ত্রের গতি নির্ধারণ যার কাজ , তার এতটা আবেগপ্রবণ হওয়াটা খুব স্বাভাবিক লক্ষণ নয় ।
66. ‘ নিজের এই পাগলামিতে যেন আনন্দই উপভোগ করে । কোন পাগলামির কথা বলা হয়েছে ।
Ans: নদেরচাঁদের নদী সম্পর্কে একটা শিশুসুলভ উন্মাদনা ছিল । নদীর সামান্য অদর্শনে সে অধৈর্য হত । অন্যের কাছে এটা পাগলামি মনে হলেও , সে নিজে এই পাগলামিতে আনন্দ পেত ।
67. ‘ নিজেকে কেবল বুঝাইতে পারে না । নিজেকে কী বোঝাতে পারে না নদেরচাঁদ ?
Ans: প্রাপ্তবয়স্ক নদেরচাদ ট্রেন চলাচল নিয়ন্ত্রণের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজের সঙ্গে যুক্ত । তার নদীকে দেখার মতো শিশুসুলভ ঔৎসুক্য সাজে না – এ কথা সে মনকে বোঝাতে পারে না ।
68. ‘ অস্বাভাবিক হোক –কোন্ বিষয়কে অস্বাভাবিক বলা হয়েছে ?
Ans: নদেরচাদ স্টেশনমাস্টারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন ছিল । বর্ষণপুষ্ট নদীকে একটানা পাঁচ দিন না দেখার জন্য তার মধ্যে যে শিশুসুলভ উন্মত্ততা দেখা দিয়েছিল সেটাই অস্বাভাবিক ।
69. দীকে ভালোবাসার পিছনে নদেরচাদের কী কৈফিয়ত ছিল ?
Ans: নদেরচাদের নদীর প্রতি আকর্ষণ , শিশুসুলভ পাগলামি হলেও এর পিছনে তার একটি নিজস্ব যুক্তি ছিল । কারণ তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা নদীর ধারেই । তাই তার নদীর প্রতি এই ভালোবাসা আবাল্য ।
70. কিন্তু শৈশবে , কৈশোরে , আর প্রথম যৌবনে বড়োছোটোর হিসাব কে করে ? ‘ — উল্লিখিত সময়ে বড়ো ছোটোর হিসাব না করার কারণ কী ?
Ans: শৈশব , কৈশোর ও প্রথম যৌবনে মানুষ বুদ্ধি – বিবেচনার পরিবর্তে ব্যক্তিমনের আবেগ – আকাঙ্ক্ষাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেয় । তাই তার কাছে তখন ছোটো – বড়ো , ভালোমন্দের চেয়ে বেশি মূল্যবান নিজের ভালোলাগা ।
71. সে প্রায় কাঁদিয়া ফেলিয়াছিল ; — তার কেঁদে ফেলার কারণ কী ?
Ans: ‘ নদীর বিদ্রোহ ’ গল্পের নায়ক নদেরচাদের ছোটোবেলা থেকেই গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীটির সঙ্গে ভারি বন্ধুত্ব । একবার অনাবৃষ্টিতে নদীর জলস্রোত প্রায় শুকিয়ে যেতে বসায় সে কেঁদে ফেলেছিল ।
72. ‘ অসুস্থ দুর্বল আত্মীয়ার মতোই তার মমতা পাইয়াছিল।— কাকে , কেন ‘ অসুস্থ দুর্বল আত্মীয়া ‘ বলা হয়েছে ?
Ans: নদেরচাঁদ যে – নদীর ধারে জন্মেছে , বড়ো হয়েছে , যাকে ভালোবেসেছে , সেই নদীটি বর্ষণপুষ্ট নদীর মতো বড়ো ছিল না । ক্ষীণস্রোতা নদীটি নদেরচাদের কাছে ছিল অসুস্থ , দুর্বল আত্মীয়ার মতো ।
73. ‘ নদীটি অসুস্থ দুর্বল আত্মীয়ার মতোই তার মমতা পাইয়াছিল । নদীটির এই মমতা পাওয়ার কারণ কী ?
Ans: নদেরচাদের আবাল্যের সঙ্গী নদীটির স্রোতধারা ছিল অতি ক্ষীণ । তাই অসুস্থ , দুর্বল আত্মীয়ের প্রতি মানুষের যেমন সহানুভূতি ও মমতা থাকে , নদেরচাদের ও নদীটির প্রতি তাই ছিল ।
74. ‘ একটা কৈফিয়ত নদেরচাঁদ দিতে পারে ।’— কৈফিয়ত দেওয়ার প্রয়োজন কী ছিল ?
Ans: নদীর প্রতি নদেরচাঁদের তীব্র আকর্ষণ বাস্তববাদী মানুষের মনে প্রশ্ন জাগাতে পারে । তাই একটা কৈফিয়ত দেওয়া যে প্রয়োজন , তা সে অনুভব করে ।
75. সেই ক্ষীণস্রোতা নির্জীব নদীটি — কোন নদীর কথা বলা হয়েছে ?
Ans: আলোচা উদ্ধৃতিটিতে নদেরচাদের দেশের সরু , ক্ষীণস্রোতা নদীটির সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে । আবাল্যের সঙ্গী এই নদীটিকে সে নিজের অসুস্থ ও দুর্বল আত্মীয়ার মতো গণ্য করত ।
” নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন উত্তর “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক দশম শ্রেণীর পরীক্ষা (West Bengal Class MADHYAMIK MADHYAMIK/ WB Class 10 / WBBSE / Class 10 Exam / West Bengal Board of Secondary Education – WB Class 10 Exam / Class 10th / WB Class 10 / Class 10 Pariksha ) এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে দশম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর ( দশম শ্রেণীর বাংলা সাজেশন / দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ও উত্তর । Class 10 Bengali Suggestion / Class 10 Bengali Question and Answer / Class 10 Bengali Suggestion / Class 10 Pariksha Bengali Suggestion / Bengali Class 10 Exam Guide / MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer / Class 10 Bengali Suggestion FREE PDF Download)
সপ্তম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত নোটস | |
সপ্তম শ্রেণী | পড়ুন |
অষ্টম শ্রেণী | পড়ুন |
নবম শ্রেণী | পড়ুন |
দশম শ্রেণি | পড়ুন |
নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর
(Class 10 Bengali Suggestion / West Bengal MADHYAMIK MADHYAMIKQuestion and Answer, Suggestion / WBBSE Class 10th Bengali Suggestion / Class 10 Bengali Question and Answer / Class 10 Bengali Suggestion / Class 10 Pariksha Suggestion / Class 10 Bengali Exam Guide / Class 10 Bengali Suggestion 2024, 2025, 2026, 2027, 2023, 2021, 2020, 2018, 2017, 2016, 2015, 2028, 2028, 2030 / Class 10 Bengali Suggestion MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer. / Class 10 Bengali Suggestion FREE PDF Download) সফল হবে।
নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর
নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় Class 10 Bengali Question and Answer Suggestion দশম শ্রেণীর বাংলা – নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর। নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় Class 10 Bengali Question and Answer Suggestion দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় MCQ প্রশ্ন উত্তর।
দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
দশম শ্রেণির বাংলা নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় Class 10 Bengali Question and Answer Suggestion দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর। নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় MCQ প্রশ্ন উত্তর – দশম শ্রেণি বাংলা | Class 10 Bengali
দশম শ্রেণি বাংলা (Class 10 Bengali ) – নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর | নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় | Class 10 Bengali Suggestion।
দশম শ্রেণির বাংলা – নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন উত্তর | Class 10 Bengali Question and Answer, Suggestion দশম শ্রেণীর বাংলা – নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় | দশম শ্রেণীর বাংলা – নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় | দশম শ্রেণীর বাংলা – নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় | দশম শ্রেণীর বাংলা সহায়ক – নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর । Class 10 Bengali Question and Answer, Suggestion | Class 10 Bengali Question and Answer Suggestion | Class 10 Bengali Question and Answer Notes | West Bengal Class 10th Bengali Question and Answer Suggestion.
WBBSE Class 10th Bengali Suggestion | দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
দশম শ্রেণীর বাংলা – নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় MCQ প্রশ্ন উত্তর | WBBSE Class 10 Bengali Question and Answer, Suggestion
WBBSE Class 10 Bengali Suggestion দশম শ্রেণীর বাংলা – নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর । নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় | Class 10 Bengali Suggestion দশম শ্রেণীর বাংলা – নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর ।
WB Class 10 Bengali Suggestion | দশম শ্রেণীর বাংলা – নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় MCQ প্রশ্ন ও উত্তর
Class 10 Bengali Question and Answer Suggestions | দশম শ্রেণীর বাংলা – নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় | দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর Class 10 Bengali Question and Answer দশম শ্রেণীর বাংলা – নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর Class 10 Bengali Question and Answer দশম শ্রেণীর বাংলা – নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় MCQ, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর ।
WB Class 10 Bengali Suggestion | দশম শ্রেণীর বাংলা – নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় MCQ প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর
Class 10 Bengali Question and Answer Suggestion দশম শ্রেণীর বাংলা – নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় MCQ প্রশ্ন ও উত্তর । Class 10 Bengali Question and Answer Suggestion দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর। West Bengal Class 10 Bengali Suggestion Download WBBSE Class 10th Bengali short question suggestion . Class 10 Bengali Suggestion download Class 10th Question Paper Bengali. WB Class 10 Bengali suggestion and important question and answer. Class 10 Suggestion pdf.
নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় দশম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষার সম্ভাব্য সাজেশন ও শেষ মুহূর্তের প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড। দশম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর।
Class 10 Bengali Question and Answer Question and Answer prepared by expert subject teachers. WB Class 10 Bengali Suggestion with 100% Common in the Examination .Class MADHYAMIK MADHYAMIK Bengali Suggestion | West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Class 10 Exam Class 10 Bengali Question and Answer, Suggestion Download PDF: West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Class 10 MADHYAMIK MADHYAMIK Bengali Suggestion is provided here. Class 10 Bengali Question and Answer Suggestion Questions Answers PDF Download Link in Free here.
নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 Bengali Question and Answer with FREE PDF Download Link
নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 Bengali Question and Answer