Dear student
তোমাকে কে আমাদের ওয়েবসাইটে স্বাগতম। আজকে আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি । H.S Education Question Paper 2019 – উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবিজ্ঞান প্রশ্নপত্র 2019 | HS History Question and Answer । যা তোমাদের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে। তাই মন দিয়ে এই প্রশ্ন উত্তর গুলো ভালো করে পড়বে।
H.S Education Question Paper 2019 – উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবিজ্ঞান প্রশ্নপত্র 2019 -WBCHSE Questions Paper With Answe || H.S West Bengal Board (WBCHSE) Last 10 Year Question Paper || West Bengal HS Previous Year Question Paper || WB HS Previous Years Question Paper | উচ্চমাধ্যমিক বিগত বছরের প্রশ্নপত্র [WBCHSE]
পরীক্ষা | উচ্চমাধ্যমিক 2019 |
বিষয় | শিক্ষাবিজ্ঞান |
সময় | 3 ঘন্টা 15 মিনিট |
পূর্ণমান | 80 |
1.প্রতিটি প্রশ্নের বিকল্প উত্তরগুলির মধ্যে থেকে সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে ডানদিকে নীচে প্রদত্ত বাক্সে লেখো : 1 x 24 = 24
(I) ডেলরস কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী শিক্ষার স্তম্ভ হল—
(A) 2টি (B) 3টি (C) 4টি (D) 5টি
উত্তরঃ (C) 4টি
(II) ‘স্ক্রিন রিডার’ যন্ত্র ব্যবহৃত হয়
(A) দৃষ্টিহীন শিশুদের শিক্ষার জন্য
(B) মূক ও বধির শিশুদের শিক্ষার জন্য
(C) মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার জন্য
(D) অনগ্রসর শিশুদের শিক্ষার জন্য।
উত্তরঃ (A) দৃষ্টিহীন শিশুদের শিক্ষার জন্য
(III) দৃষ্টিহীন শিশুদের শিক্ষণ পদ্ধতিটি হল—
(A) বাচনিক পঠন (B) কম্পিউটার
(C) হস্তমুদ্রার ভাষা (D) ব্রেইল পদ্ধতি।
উত্তরঃ (D) ব্রেইল পদ্ধতি।
(IV) ‘কমন স্কুল’-এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে—
(A)রাধাকৃষ্ণন কমিশনে
(B) মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশনে
(C) কোঠারি কমিশনে
(D) রামমূর্তি কমিটিতে।
উত্তরঃ (C) কোঠারি কমিশনে
(V) ভারতীয় শিক্ষা কমিশনের সময়সীমা হল
(A)1948-49 (B) 1952-53 (C)1964-66
(D) 1990-92.
উত্তরঃ (C)1964-66
(VI) মুদালিয়র কমিশনের সুপারিশ অনুসারে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার সময়কাল হল—
(A) 2 বছর (B) 3 বছর (C) 4 বছর
(D) 5 বছর।
উত্তরঃ (B) 3 বছর
(VII) রাধাকৃষ্ণন কমিশনের ভারতীয় সদস্য ছিলেন—
(A) 7 জন (B) 9 জন (C) 8 জন (D) 5 জন।
উত্তরঃ (A) 7 জন
(VIII) 4, 6, 9, 7, 5 ও 12 স্কোরগুলির মধ্যমা হল—
(A) 6 (B) 9 (C) 6-5 (D) 7
উত্তরঃ (C) 6-5
(IX) রাশিবিজ্ঞানে ‘Σ’ চিহ্নটি …………….. -কে প্রকাশ করে।
(A) যোগফল (B) ভাগফল (C) বিয়োগফল
(D) গুণফল
উত্তরঃ (A) যোগফল।
(X) গেস্টাল্ট মতবাদের মূল ভিত্তি হল
(A) প্রতিক্রিয়া (B) উদ্দীপক
(C) সাধারণীকরণ (D) প্রত্যক্ষণ।
উত্তরঃ (D) প্রত্যক্ষণ।
(XI) THE NATURE OF INTELLIGENCE’ বইটির রচয়িতা হলেন—
(A) দিনার (B) স্পিয়ারম্যান (C) থাস্টোন (D)প্যাভলভ।
উত্তরঃ (C) থাস্টোন
(XII) গাগনি (GAGNÉ)-এর মতে শিখনের শেষ স্তরটি হল—
(A)বাচনিক শিখন
(B) সংকেত শিখন
(C)ধারণার শিখন
(D) সমস্যা সমাধানের শিখন।
উত্তরঃ (D) সমস্যা সমাধানের শিখন।
(XIII) নিম্নলিখিত কোন্টি কম্পিউটারের আউটপুট যন্ত্র ?
(A) মাউস (B) কীবোর্ড (C) প্রিন্টার
(D) স্ক্যানার।
উত্তরঃ (C) প্রিন্টার।
(XIV) কম্পিউটারের স্থায়ী স্মৃতিকেন্দ্র হল—
(A) ROM (B) RAM (C) CAI (D) CPU
উত্তরঃ (A) ROM
( XV) বয়স্ক শিক্ষাকে সামাজিক শিক্ষা’ হিসাবে অভিহিত করেন—
(A) এ. পি. জে. আব্দুল কালাম
(B) মৌলানা আবুল কালাম আজাদ
(C) রাজেন্দ্র প্রসাদ
(D) এস. রাধাকৃষ্ণন।
উত্তরঃ (B) মৌলানা আবুল কালাম আজাদ
(XVI) জাতীয় শিক্ষানীতির (NPE) শিক্ষা কাঠামোটি হল—
(A)10+2+3 (B) 9+3+3 (C)10+3+2 (D) 8+2+2+3.
উত্তরঃ (A)10+2+3
(XVII) কিন্ডারগার্টেন হল একটি ________ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
(A) প্রাক-প্রাথমিক (B) মাধ্যমিক
(C) প্রাথমিক (D) নিম্ন মাধ্যমিক
উত্তরঃ (A) প্রাক-প্রাথমিক
(XVIII) মুদালিয়র কমিশনের মতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি হবেন—
(A) শিক্ষামন্ত্রী (B) মুখ্য সচিব
(C) রাজ্যের শিক্ষা আধিকারিক
(D) শিক্ষা সচিব।
উত্তরঃ (C) রাজ্যের শিক্ষা আধিকারিক
(XIX) স্বাধীন ভারতে প্রথম শিক্ষা কমিশন হল—
(A) কোঠারি কমিশন
(B) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন
(C) মুদালিয়র কমিশন
(D) মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন।
উত্তরঃ (B) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন
(XX) ভারতীয় সংবিধানের কত নং ধারায় নারীদের শিক্ষার সুযোগ সুবিধার কথা বলা হয়েছে ?
(A) 45 নং ধারায় (B) 25 নং ধারায়
(C) 15 (1) নং ধারায় (D) 45 (1) নং ধারায়
উত্তরঃ (C) 15 (1) নং ধারায়
(XXI) কেন্দ্রীয় প্রবণতা নির্ণয়ের সবচেয়ে দ্রুতগতি পদ্ধতিটি হল—
(A) মিন (B) পরিসংখ্যা বিভাজন
(C) মোড (D) মিডিয়ান।
উত্তরঃ (D) মিডিয়ান।
(XXII) অন্তর্দৃষ্টিমূলক শিখন হল—
(A) প্রচেষ্টা ও ভুলের কৌশল
(B) সক্রিয় অনুবর্তন
(C) গেস্টাল্ট তত্ত্ব
(D) প্রাচীন অনুবর্তন।
উত্তরঃ (C) গেস্টাল্ট তত্ত্ব
(XXIII) R-TYPE অনুবর্তনটির নামকরণ করেছেন—
(A) স্কিনার (B) প্যাভলভ (C) থর্নডাইক
(D) ভার্পন।
উত্তরঃ (A) স্কিনার
(XXIV) ‘C’ বৃদ্ধির সংজ্ঞা দিয়েছেন মনোবিদ
(A) হেব (B) স্যান্ডিফোর্ড (C) ভার্ণন
(D) ধর্নডাইক।
উত্তরঃ (C) ভার্ণন।
2. নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : 1×16=16
(i) আগ্রহের একটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তরঃ চাহিদা নির্ভরঃ শিশুর চাহিদার উপর নির্ভর করে তার আগ্রহ সৃষ্টি হয়। যে সমস্ত বস্তু বা ঘটনা শিশুর চাহিদা পূরণ করে সেগুলিকেই কেন্দ্র করে তার আগ্রহ সৃষ্টি হয়।
(ii) মনোবিদ্ ডি ও হেব এর মতে দুই প্রকার বুদ্ধি কী কী ?
উত্তরঃ মনোবিদ্ ডি ও হেব এর মতে দুই প্রকার বুদ্ধি হল—
(1) A বুদ্ধি বা জন্মগত বুদ্ধি
(2) B বুদ্ধি বা প্রকাশিত বুদ্ধি
অথবা,
স্পীয়ারম্যানের G এর সঙ্গে তুলনীয় ফ্যাটেলের কোন ধরনের বুদ্ধি ?
উত্তরঃ স্পীয়ারম্যানের G এর সঙ্গে তুলনীয় ফ্যাটেলের তরল ধরনের বুদ্ধি।
(iii) কোঠারি কমিশনের মতে প্রাক্ প্রাথমিক শিক্ষার একটি লক্ষ্য লেখো।
উত্তরঃ কোঠারি কমিশনের মতে প্রাক্ প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য হল শিশুদের মধ্যে সু-অভ্যাস গঠন করা। শৈশব কাল থেকেই শিশুর মধ্যে কতকগুলি সু-অভ্যাস গঠন করতে পারলে তারা সুচরিত্রের অধিকারী হবে।
(iv) থর্নডাইকের দেওয়া ব্যবহারের সূত্রটি লেখো।
উত্তরঃ যখন উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার মধ্যে সংশোধনযোগ্য বন্ধন তৈরি হয়, তখন অন্য সব কিছু অপরিবর্তিত থাকলে বন্ধনটি শক্তিশালী হয়।
অথবা,
থর্নডাইকের দেওয়া ফললাভের সূত্রটি লেখো।
উত্তরঃ এই সূত্রে বলা হয়েছে, একটি উদ্দীপক ও তার প্রতিক্রিয়ার মধ্যে সংশোধনযোগ্য সংযোগ স্থাপিত হলে সেই সংযোগের ফল যদি প্রাণীর কাছে তৃপ্তিকর হয় তবে সেই সংযোগ দৃঢ় হয়। আর সংযোগ স্থাপনের ফলটি প্রাণীর কাছে বিরক্তিকর হলে সেই সংযোগ শিথিল হয়।
(v) 2, 5, 3, 2, 5, 7, 4, 5 এবং 8 স্কোরগুলির মোড নির্ণয় করো।
উত্তরঃ উপরিউক্ত বণ্টনটির মোড হল = 5
(vi) রাশিবিজ্ঞানের শ্রেণি ব্যবধান বলতে কী বোঝো ?
উত্তরঃ স্কোরগুলিকে যখন নির্দিষ্ট ব্যবধানে ছোট ছোট দলে ভাগ করে সাজানো হয় তখন সেই নির্দিষ্ট ব্যবধানকে শ্রেণি ব্যবধান বলে। যেমন 60–64 এই রাশিমালার শ্রেণি ব্যবধান – হল 5 ।
অথবা,
হিস্টোগ্রাম ও পরিসংখ্যা বহুভূজের একটি পার্থক্য লেখো।
উত্তরঃ পরিসংখ্যা বহুভূজের ক্ষেত্রে উভয় প্রান্তে দুটি অতিরিক্ত শ্রেণি ব্যবধান নেওয়া হয়।
হিস্টোগ্রামের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শ্রেণি ব্যবধান নেওয়ার প্রয়োজন হয় না।
(vii) স্বশাসিত কলেজের সুপারিশ কোন্ কমিশনে উল্লেখ করা হয়েছে ?
উত্তরঃ স্বশাসিত কলেজের সুপারিশ জাতীয় শিক্ষানীতি 1986 তে করা হয়েছে।
(viii) স্কুল জোট কী ?
উত্তরঃ একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের সমস্ত বিদ্যালয়গুলির মধ্যে সহযোগিতার মনোভাব ও শিক্ষার মানের উন্নতি ঘটানোর জন্য কোঠারি কমিশনের নির্দেশে কয়েকটি বিদ্যালয় নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে স্কুল জোট।
অথবা,
মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ইন্টার মিডিয়েট শিক্ষা কী ?
উত্তরঃ ইন্টার মিডিয়েট শিক্ষা হল মাধ্যমিক শিক্ষা ও কলেজিয় শিক্ষার মধ্যের দুবছরের শিক্ষা। মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন পূর্বতন ২ বছরের ইন্টার মিডিয়েট স্তরকে বিলুপ্ত করে তার এক বছর দশম শ্রেণির সাথে যুক্ত করে গঠিত হয় একাদশ শ্রেণির শিক্ষাস্তর এবং ২ বছরের স্নাতক শ্রেণির সঙ্গে অপর এক বছর যুক্ত করে গঠিত হয় তিন বছরের ডিগ্রী কোর্স ।
(ix) N.C.R.H.E এর পুরো কথাটি লেখো।
উত্তরঃ NCRHE পুরো কথাটি হল – National Council for Rural Higher Education.
(x) গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় পরিকল্পনায় গ্রামীণ বিজ্ঞানের কত বছরের কোর্স ছিল ?
উত্তরঃ গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় পরিকল্পনায় গ্রামীণ বিজ্ঞানের কোর্সটি ছিল 2 বছরের।
অথবা,
গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় পরিকল্পনায় কয়টি স্তরের কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় পরিকল্পনায় চারটি স্তরের কথা বলা হয়েছে।
(xi) ব্রেইল পদ্ধতিতে কতকগুলি ‘বিন্দু’ দিয়ে লেখা হয় ?
উত্তরঃ রেইল পদ্ধতিতে এটি ‘বিন্দ’ দিয়ে লেখা হয়।
অথবা,
শ্রেণিকক্ষে শিশুদের একটি আচরণমূলক সমস্যা উল্লেখ করো।
উত্তরঃ শ্রেণিকক্ষে শিশুদের একটি আচরণমূলক সমস্যা হল
বদমেজাজঃ শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষকের স্নেহ ভালোবাসার অভাব, নির্মম আচরণ, অনেক সময় সহপাঠীদের অন্যায় দাবি ইত্যাদি বদমেজাজের কারণে হয়ে থাকে।
(xii) কম্পিউটারের স্মৃতি কয় প্রকার ও কী কী ?
উত্তরঃ কম্পিউটারের স্মৃতি দুই প্রকার—
(1) RAM বা অস্থায়ী মেমরি
(2) ROM বা স্থায়ী মেমরি।
অথবা,
একটি ইনপুট যন্ত্রের নাম লেখো।
উত্তরঃ একটি ইনপুট যন্ত্র হল কিবোর্ড।
(xiii) ভারতে অন্ধদের জন্য প্রথম বিদ্যালয় কোথায় প্রতিষ্ঠিত হয় ?
উত্তরঃ ভারতে অন্ধদের জন্য অমৃতসরে প্রথম বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
(xiv) ডাকার সম্মেলনের ‘বিষয়’ কী ছিল ?
উত্তরঃ ডাকার সম্মেলনের ‘বিষয়’ ছিল সকলের জন্য শিক্ষা।
অথবা,
D.IE.T এর পুরো কথাটি কী ?
উত্তরঃ D.IET এর পুরো কথাটি হল District institute for Education and Training
(xv) শিক্ষার চারটি স্তম্ভের মূল প্রবক্তার নাম কী ?
উত্তরঃ জ্যাকস ডেলর শিক্ষার চারটি স্তম্ভের মূল প্রবক্তা।
(xvi) শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যবহৃত একটি প্রযুক্তির নাম লেখো ।
উত্তরঃ শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যবহৃত একটি প্রযুক্তি হল– কম্পিউটার।
বিভাগ–ক / PART – A (Marks : 40 )
1. যে কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : 4×1=4
(a) মূক ও বধির শিশুদের শিক্ষাদানের পদ্ধতিগুলি আলোচনা করো। 4
উত্তরঃ মূক ও বধির শিশুদের শিক্ষণ পদ্ধতি—
মূক ও বধির ছেলেমেয়েদের মধ্যে যারা আংশিকভাবে বধির তাদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে শ্রুতিসহায়ক যন্ত্র ব্যবহার করলে এবং তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দিলে তারা স্বাভাবিক ছেলে মেয়েদের মতাে কথাবার্তা বলতে এবং শুনতে পারে। কিন্তু যারা সম্পূর্ণরূপে মূক ও বধির তাদের জন্য নিম্নলিখিত শিক্ষাদান পদ্ধতি প্রয়ােগ করা হয়一
(১) ওষ্ট-পঠন বা মৌখিক পদ্ধতিঃ বক্তার কথা বলার সময় তার ঠোট নড়াচড়া দেখে কথা বা ভাব বুঝতে পারাকে ওষ্ঠ-পঠন বা বাক্-পঠন বলা হয়। মূক ও বধির ছেলেমেয়েরা বক্তার মুখের সামগ্রিক পরিবর্তন, নড়াচড়া ইত্যাদি লক্ষ করে বক্তার কথা বােঝার চেষ্টা করে থাকে। পরে একইভাবে ঠোটের সন দেখে তারা ভাষা শিখে থাকে। এই পদ্ধতির আর-এক নাম মৌখিক পদ্ধতি। এর প্রবর্তক হলেন জয়ান পাবলাে বনে।
(২) সঞ্চালন পদ্ধতি বা আঙুলের দ্বারা বানান শেখাঃ যেসব ছেলেমেয়ে সম্পূর্ণরূপে বধির তারা মনের ভাব প্রকাশের জন্য আঙুল সলিনের সাহায্য নেয়। তাদের এ বিষয়ে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আঙুল সঞ্চালনের মাধ্যমে এই ছেলেমেয়েদের অক্ষর, শব্দ, বাক্য ও বানান লেখা সহজে শেখানাে যায়। এই সঞ্চালন পদ্ধতির প্রবর্তক হলেন পেরিয়ার। ভারতে এই পদ্ধতি করপল্লবী (Karapalla) নামে পরিচিত।
(৩) কম্পন ও স্পর্শ পদ্ধতিঃ এই পদ্ধতিতে মূক ও বধির ছেলেমেয়েরা অভিজ্ঞ শিক্ষকের কথা বলার সময় তাদের মুখে হাত বুলিয়ে, গলা স্পর্শ করে শব্দ উচ্চারণ করতে শেখে। শিক্ষার্থীরা বারবার অনুশীলনের মাধ্যমে ভুলগুলি দূর করে। কম্পন ও স্পর্শ পদ্ধতিটি আবিষ্কার করেন কেটি অ্যালকন ও সােফিয়া অ্যালকন।
(৪) শ্রবণসহায়ক পদ্ধতিঃ এই পদ্ধতিটি মূলত আংশিকভাবে বধির ছেলে মেয়েদের পড়ানাের জন্য ব্যবহৃত হয়। উচ্চশক্তিসম্পন্ন শ্রবণসহায়ক যন্ত্রের সাহায্যে আংশিক বধিরদের বধিরতা অনেকটা দূর করা যায়।
(৫) দর্শনভিত্তিক পদ্ধতিঃ মূক ও বধির ছেলেমেয়েদের দর্শনভিত্তিক পদ্ধতিতে মনের ভাব প্রকাশের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এতে কয়েকটি প্রতীক ব্যবহার করা হয়। শিক্ষক মূক ও বধির ছেলেমেয়েদের এইসব প্রতীকের ব্যবহার শিখিয়ে দেন। তারা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে শিক্ষকের মতাে মুখভঙ্গি করে শব্দ উচ্চারণ করার চেষ্টা করে এবং ধীরে ধীরে তা আয়ত্ত করে।
উপরিউক্ত পদ্ধতিগুলির দ্বারা মূক ও বধিরদের শিক্ষাদান করতে গেলে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ধৈর্যশীল শিক্ষক শিক্ষিকার প্রয়ােজন হয়। বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে এই ধরনের ছেলে মেয়েদের ভাষা বিকাশ ও পাঠদানের জন্য গবেষণা চলছে।
(b) বয়স্ক শিক্ষা বলতে কী বোঝো ? বয়স্ক শিক্ষার লক্ষ্যগুলি লেখো। 1+3
উত্তরঃ বিদ্যালয়ে যাওয়ার বয়সে নিয়মিত আনুষ্ঠানিক শিক্ষায় যারা অংশ গ্রহণ করতে পারেনি, তাদের জন্য শিক্ষামূলক যেসব সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়, সাধারণভাবে তাকেই বয়স্ক শিক্ষা বলা হয়। বয়স্ক শিক্ষা হল প্রথাগত শিক্ষাক্রমের বাইরে বয়স্ক মানুষদের জন্য সংগঠিত সেই শিক্ষাব্যবস্থা, যা তাদের জীবনধারা বিকাশে সাহায্য করে। এককথায়, সমাজের বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যাক্তিবর্গ যারা মৌলিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত তাদের জন্য বিশেষ শিক্ষা ব্যবস্থাকে বয়স্ক শিক্ষা বলে।
বয়স্ক শিক্ষার লক্ষ্য—
বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপলব্ধি করেছিলেন যে, গণতন্ত্রের ভিতকে দৃঢ় করতে ভারতের সব জনগণকে শিক্ষার আলাে দেখাতে হবে। স্বাধীনতার পরে ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে মোহনলাল সাক্সেনার নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটি যেসকল লক্ষ্যের কথা বলেছে তা হল—
(১) নাগরিকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতনতাঃ গণতান্ত্রিক দেশের অসভ্য নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ সম্পর্কে সচেতন করা।
(২) সামাজিক সেবার মনোভাব গঠনেঃ প্রতিটি বয়স্ক ব্যক্তির মধ্যে সামাজিক সেবার মনোভাব গঠন করা, যায় ব্যক্তি সমাজের বিভিন্ন সেবামূলক কার্যাবলীতে অংশগ্রহণ করতে পারে।
(৩) দেশ ও বিশ্বের সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতাঃ দেশের এবং বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে সচেতন করে তোলা।
(৪) ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়াঃ ভারতের ইতিহাস, ভূগোল, কৃষি, বিজ্ঞান সম্পর্কে জ্ঞান প্রদানের মাধ্যমে ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনোভাব গঠন করা।
(৫) সংস্কৃতির উন্নয়নঃ বয়স্ক ব্যক্তিদের গান, আবৃত্তি, নৃত্য, নাটক প্রভৃতির মাধ্যমে আনন্দ দেওয়া ও সংস্কৃতির উন্নয়ন ঘটানো।
(৬) নৈতিক মূল্যবোধের বিকাশঃ বয়স্ক ব্যক্তিদের বিভিন্ন আলােচনা, পড়া ও লেখার মাধ্যমে নৈতিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটানো।
(৭) 3R — পঠন (Reading), লিখন (Writing) ও সাধারণ গণিতের (Arithmetic) (3R) উপর অধিক জ্ঞান লাভে উৎসাহিত করা।
(৮) হস্তশিল্পে দক্ষতা অর্জনঃ হস্তশিল্পে দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে বয়স্ক ব্যক্তির অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটানো।
(৯) শিক্ষার গতিশীলতা বজায়ঃ শিক্ষাকে গতিশীল রাখতে গ্রন্থাগার, বিতর্ক সভা, আলোচনা সভা এবং বিভিন্ন শিক্ষা কমিটিগুলোর সাহায্য নিতে হবে।
(১০) সহযোগী মনোভাব তৈরিঃ শিক্ষার মাধ্যমে একে অপরের প্রতি সহানুভূতি ও সহযোগী মনোভাব তৈরি হবে।
2. যে কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : 4×1=4
(a) ‘জ্ঞান অর্জনের শিক্ষা’-এর উদ্দেশ্যগুলি পূরণে বিদ্যালয়ের ভূমিকা সংক্ষেপে আলোচনা করো। 4
উত্তরঃ জ্ঞান অর্জন করা শিক্ষার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। শিক্ষার চারটি স্তম্ভের মধ্যে একটি স্তম্ভ হল “জ্ঞান অর্জনের শিক্ষা” (learning to know) । মানব মনের নানান ধরনের প্রশ্নের সমাধানের সূত্র হল জ্ঞানের অন্বেষণ। প্রকৃত জ্ঞান মানুষের যেমন নানা জিজ্ঞাসার উত্তর দিয়ে থাকে, তেমনি তার সকল দিকের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে।
জ্ঞান অর্জনের শিক্ষার উদ্দেশ্য পূরণ—
(১) অভিযোজনঃ জ্ঞান মানুষকে পরিবর্তনশীল পরিবেশের সঙ্গে সার্থকভাবে মানিয়ে নিতে সাহায্য করে। জ্ঞানের মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
(২) মানসিক বিকাশঃ জ্ঞান অর্জনের ফলে মানুষের চিন্তা ও যুক্তি শক্তির বিকাশ ঘটে। ফলে, মানুষ বিশ্লেষণাত্মক বিচার করার ক্ষমতা এবং বিমূর্ত চিন্তনের ক্ষমতা বৃদ্ধি ঘটায়।
(৩) দৈহিক বিকাশঃ জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে মানুষ সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপনের কৌশল অর্জন করতে পারে। সঠিকভাবে অঙ্গ সঞ্চালন এবং সুস্থ খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে মানুষ তাদের দৈহিক বিকাশ ঘটায়।
(৪) আত্মপ্রত্যয়ঃ জ্ঞান মানুষের চেতনার বিকাশ ঘটায়। চেতনা মানুষের আত্মপ্রত্যয়ের বিকাশ ঘটায়। ফলে মানুষ আত্মবিশ্বাসী হয়। আত্মপ্রত্যয়ের বিকাশ ঘটলে মানুষ যে কোন কাজ সফলতার সঙ্গে সম্পাদন করতে পারে।
(৫) সৃজনশীলতার বিকাশঃ জ্ঞান মূলক শিখনের মাধ্যমে মানুষের স্বাধীন চিন্তাধারার বিকাশ হয়। ফলে তার সৃজনশীল ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
(৬) জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধিঃ জ্ঞান মূলক শিখনের মাধ্যমে মানুষ বিভিন্ন কাজে কম সময়ের মধ্যে দক্ষতা অর্জন করে। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রয়োগ করে বেশি পরিমাণ দ্রব্য উৎপাদন করতে সক্ষম হয়। ফলে, দেশের জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
সুতরাং জ্ঞান অর্জনের জন্য শিক্ষা প্রতিটি শিক্ষার্থীকে পরিপূর্ণ বিকাশে অগ্রসর হতে সাহায্য করে। পরিবার থেকে শুরু করে বৃহত্তর কর্মজীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত করার চাবিকাঠি হল প্রকৃত জ্ঞান অর্জন অর্থাৎ জ্ঞান অর্জনের জন্য শিক্ষা।
(b) শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহারগুলি লেখো। 4
উত্তরঃ বর্তমানে শিক্ষা প্রযুক্তির ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর মাধ্যমে শিক্ষার মানকে আরও উন্নত করা যায়। শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রযুক্তির ব্যবহার গুলি হল—
(১) মাল্টিমিডিয়া বা বহুধা মাধ্যমঃ বহুধা মাধ্যমের ব্যবহার বা মাল্টিমিডিয়া মাধ্যমে পড়ানোর ফলে শিখনীয় বিষয় আকর্ষণীয় হচ্ছে এবং শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি হয়েছে।
(২) অনুশিক্ষণঃ অনুশিক্ষণ হল শিক্ষণ-শিখন প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে আধুনিক বিশ্লেষণাত্মক পদ্ধতি। এই শিখন পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষকদের শিক্ষাদান করা যায়।
(৩) ওভারহেড প্রজেক্টরঃ ওভারহেড প্রজেক্টরের মাধ্যমে পড়ানোর ফলে বিষয়বস্তুকে সহজে শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপিত করা সম্ভব হয়েছে।
(৪) প্রোগ্রাম শিখনঃ শিক্ষাপ্রযুক্তি বিজ্ঞানে প্রোগ্রাম শিখন ব্যবস্থা শিখন- শিক্ষণ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করেছে। বর্তমানে ব্যক্তিগতভাবে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে নির্দিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞতা দেওয়া সম্ভব। কারণ এখানে বিষয়বস্তুকে ছোট ছোট উপ-এককে বিভক্ত করা সম্ভব।
(৫) তথ্যপ্রযুক্তিঃ তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশের ফলে শিক্ষার্থীরা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জ্ঞান অর্জন করতে পারছে। যার ফলে শিক্ষার্থীদের গুনগত ম্যান বাড়ছে।
সুতরাং বলা যায়, শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষাপ্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার মানের বিশেষ উন্নতি সম্ভব হয়েছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত।
3. যে কোনো দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও : 8×2= 16
(a) বুদ্ধির সংজ্ঞা লেখো। সাধারণ মানসিক ক্ষমতা ও বিশেষ মানসিক ক্ষমতার পার্থক্যগুলি লেখো। 2+6
উত্তরঃ শিখনের ক্ষেত্রে যে সকল উপাদান বিশেষভাবে সহায়ক হয় , সেগুলির মধ্যে একটি হল বুদ্ধি। আভিধানিক অর্থে বুদ্ধি হল–
” The capacity to acquire and apply knowledge ”
অর্থাৎ জ্ঞান অর্জন ও প্রয়োগ করার ক্ষমতা হল বুদ্ধি। মনোবিজ্ঞানীদের মতে বুদ্ধি হল একটি মানসিক সামর্থ্য। মানুষের যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে এটি প্রয়োজন হয়। মনোবিদ স্টার্ন এর মতে, জীবনের নতুন সমস্যা বা পরিস্থিতির সঙ্গে সার্থকভাবে মানিয়ে নেওয়ার সাধারণ মানসিক ক্ষমতাই হল বুদ্ধি। বাকিংহামের মতে, শিখনের ক্ষমতাই হল বুদ্ধি। থার্স্টোন এর মতে, বুদ্ধি হল প্রচেষ্টা ও ভুলের মাধ্যমে জীবন যাপনের ক্ষমতা।
বুদ্ধির বিভিন্ন ধরনের সংজ্ঞাগুলিকে একত্রিত করে বলা যায়— বুদ্ধি হল এমন এক ধরনের মানসিক শক্তি যার সাহায্যে ব্যক্তি জটিল ও বিমূর্ত বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে পারে , অল্প সময়ের মধ্যে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে , বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান , দক্ষতা ও কৌশল আয়ত্ত করতে পারে , পূর্বে অর্জিত অভিজ্ঞতা বা জ্ঞানের সাহায্যে নতুন পরিস্থিতির ব্যাখ্যা করতে পারে , বিভিন্ন বিষয়ের সঠিক সম্পর্ক নিরূপণের মাধ্যমে কোন একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে এবং প্রয়োজনমতো প্রবৃত্তি ও প্রক্ষোভকে সংযত করে কোনো একটি উদ্দেশ্য পূরণের জন্য নিজের কর্মশক্তিকে নিয়োগ করতে পারে।
সাধারণ ও বিশেষ মানসিক ক্ষমতার মধ্যে পার্থক্য—
চার্লস স্পিয়ারম্যান বৌদ্ধিক কাজ করার ক্ষেত্রে দু-ধরনের মানসিক ক্ষমতা যথাক্রমে G ও S উপাদানের কথা বলেন। বিশেষ উপাদান হল অর্জিত ও শিক্ষাসাপেক্ষ, তবে সাধারণ উপাদান সর্বজনীন। নীচে এই দুটি উপাদানের পার্থক্য ব্যাখ্যা করা হল—
সাধারণ মানসিক ক্ষমতাঃ
(১) এই মানসিক উপাদানের সাহায্যে মানুষ সমস্ত বৌদ্ধিক কর্মসম্পাদন করতে পারে। এটি পরিবেশের সঙ্গে সংগতি বজায় রাখে।
(২) সাধারণ মানসিক ক্ষমতা বা বুদ্ধি সাধারণধর্মী।
(৩) সাধারণ মানসিক ক্ষমতা একক ক্ষমতা, এটি সকল প্রকার কাজে অপরিহার্য।
(৪) সাধারণ মানসিক ক্ষমতা জন্মগত।
(৫) সাধারণ মানসিক ক্ষমতা পরিমাপের জন্য বুদ্ধি অভীক্ষা ব্যবহৃত হয়। এর সূচক হল বুদ্ধ্যঙ্ক।
(৬) সাধারণ মানসিক ক্ষমতা একটা নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত বিকাশলাভ করে।
(৭) সাধারণ মানসিক ক্ষমতার পরিমাণ কর্মভেদে পরিবর্তনশীল।।
(৮) সাধারণ মানসিক ক্ষমতা সর্বজনীন।
(৯) সাধারণ মানসিক ক্ষমতা মানুষের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে। বণ্টন হয়।
(১০) সাধারণ মানসিক ক্ষমতা অনুশীলনসাপেক্ষ নয়।
(১১) সাধারণ মানসিক ক্ষমতা কর্মনিপুণ বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি তৈরি করতে পারে না।
(১২) সাধারণ মানসিক উপাদান পূর্বের অভিজ্ঞতা বা বিভিন্ন কর্মে সঞ্চালনের মাধ্যমে ব্যবহৃত হয়।
বিশেষ মানসিক ক্ষমতাঃ
(১) এই মানসিক উপাদান বিশেষ বিশেষ বৌদ্ধিক কাজে ব্যবহৃত হয়।
(২) বিশেষ মানসিক ক্ষমতা বিশেষধর্মী।
(৩) বিশেষ মানসিক ক্ষমতা সংখ্যায় বহু।
(৪) বিশেষ মানসিক ক্ষমতা কিছুটা জন্মগত, কিছুটা অর্জিত।
(৫) বিশেষ মানসিক ক্ষমতা পরিমাপের জন্য প্রবণতা অভীক্ষা ব্যবহৃত হয় এটি সূচকহীন।
(৬) বিশেষ মানসিক ক্ষমতার ক্ষেত্রে বয়সের সীমারেখা নেই।
(৭) বিশেষ মানসিক ক্ষমতায় কর্মভেদে প্রকৃতিগত পরিবর্তন ঘটে।
(৮) বিশেষ মানসিক ক্ষমতা সর্বজনীন নয়।
(৯) বিশেষ মানসিক ক্ষমতা স্বাভাবিকভাবে বণ্টন হয় না।
(১০) বিশেষ মানসিক ক্ষমতা অনুশীলনসাপেক্ষ।
(১১) বিশেষ মানসিক ক্ষমতা সাধারণ মানসিক ক্ষমতার সহায়তায় কর্মনিপুণ বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি তৈরি করতে পারে।
(১২) বিশেষ মানসিক ক্ষমতা পূর্বের অভিজ্ঞতা ও বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে সঞ্চালনে খুব কম ব্যবহৃত হয়।
উপরােক্ত আলােচনা থেকে বােঝা যায়, উভয় প্রকার মানসিক ক্ষমতা বৌদ্ধিক কাজ করতে সক্ষম। তবে এই দু-ধরনের মানসিক ক্ষমতা একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রােতভাবে সম্পর্কিত। তবে সাধারণ মানসিক ক্ষমতা যার যত বেশি তার বৌদ্ধিক কাজ করার ক্ষমতাও তত বেশি। এই দু-ধরনের মানসিক ক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিতে সক্ষম।
(b) সক্রিয় অনুবর্তনের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো। শিক্ষাক্ষেত্রে সক্রিয় অনুবর্তনের ভূমিকার মূল্যায়ন করো। 4+4
উত্তরঃ সক্রিয় বা অপারেন্ট অনুবর্তনের বৈশিষ্ট্য—
‘অপারেন্ট’ হল ফলোৎপাদনের জন্য প্রতিক্রিয়া যার নির্দিষ্ট কোনো উদ্দীপক নেই। এইরূপ প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রাণীর সক্রিয় প্রচেষ্টার প্রয়োজন।
সক্রিয় অনুবর্তনের বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলি হল—
(১) প্রাথমিক প্রস্তুতিঃ সক্রিয় অনুবর্তনের জন্য প্রাণীর প্রাথমিক প্রস্তুতির প্রয়োজন হয়। এই প্রস্তুতি প্রাণীকে সক্রিয় অনুবর্তনের উপযোগী করে তোলে।
(২) স্বতঃস্ফুর্ত আচরণঃ এই অনুবর্তনে প্রাণী যে নতুন আচরণটি করে তা তঃস্ফূর্তভাবে আসে। এই আচরণ প্রাণীর চাহিদার পরিতৃপ্তির কারণে হয় বলেই তা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আসে।
(৩) প্রাণীর সক্রিয়তাঃ প্রাণীর সক্রিয়তা এই অনুবর্তনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
(৪) শক্তিদায়ী উদ্দীপকঃ সক্ৰিয় অনুবর্তনে শক্তিদায়ী উদ্দীপকের প্রয়োজন হয়৷ স্কিনার আচরণ পরিবর্তনের কৌশল হিসেবে শক্তিদায়ী উদ্দীপকের ব্যবহার করেছেন। শক্তিদায়ী উদ্দীপক নির্দিষ্ট প্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনার হারকে বৃদ্ধি করে। শক্তিদায়ী উদ্দীপক দুধরনের হয়—i. ধনাত্মক এবং ii. ঋণাত্মক। ধনাত্মক শক্তিদায়ী উদ্দীপক আচরণকে শক্তিশালী করে, যেমন—খাদ্য হচ্ছে ক্ষুধার্ত ব্যক্তির কাছে ধনাত্মক শক্তিদায়ক উদ্দীপক। ঋণাত্মক শক্তিদায়ী উদ্দীপক প্রাণীর কাছে অবাঞ্ছিত, যেমন— দৈহিক শাস্তি, অপযশ, নিন্দা ইত্যাদি।
(৫) অবলুপ্তিঃ প্রাচীন অনুবর্তনের মতো সক্রিয় অনুবর্তনেরও অবলুপ্তি ঘটে যদি সঠিক প্রতিক্রিয়াটি করা সত্ত্বেও শক্তিদায়ী উদ্দীপক না আসে।
(৬) স্বতঃস্ফূর্ত পুনরাবির্ভাবঃ সক্রিয় অনুবর্তনের অবলুপ্তি ঘটলে প্রাণীকে যদি কিছু সময়ের জন্য দূরে রেখে পুনরায় একই পরিস্থিতিতে নিয়ে আসা হয়। এবং দু-একবার শক্তিশালী উদ্দীপক দেওয়া হয়, তাহলে সক্রিয় অনুবর্তন পুনরায় দেখা যাবে।
(৭) স্থায়িত্বঃ সক্রিয় অনুবর্তনের অর্জিত আচরণের স্থায়িত্ব নির্ভর করে শক্তিদায়ী উদ্দীপকের উপস্থিতির ওপর। অনুবর্তিত আচরণ বজায় রাখার জন্য কখন এবং কীভাবে শক্তিদায়ী উদ্দীপক ব্যবহার করতে হবে তা স্কিনার উল্লেখ করেছেন। একে ‘সিডিউল’ বলে।
5. যে কোনো দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও : 8×2=16
(a)‘জাতীয় শিক্ষানীতি, 1986′-এর মূল সুপারিশগুলি আলোচনা করো। 8
উত্তরঃ ১৯৮৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী শিক্ষার বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করার জন্য নতুন একটি জাতীয় শিক্ষানীতি ঘোষণা করার প্রতিশ্রুতি দেন। এই উদ্দেশ্যে “Challenge of Education: A policy Perspective ” নামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। ১৯৮৫ সালে ২৬ এপ্রিল সেটি পার্লামেন্টে পাস হয়। একেই বলা হয় জাতীয় শিক্ষানীতি-১৯৮৬ । এই জাতীয় শিক্ষানীতিতে ১২ টি অধ্যায় রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম ও শেষ অধ্যায় বাদ দিয়ে ১০ টি অধ্যায়ে ভারতের শিক্ষার গতি প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যেমন—
১. শিক্ষার ভূমিকাঃ শিক্ষা হবে সকলের জন্য জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে। শিক্ষা হবে সর্বাঙ্গীণ মূল্যায়নের মূল মন্ত্র। অর্থাৎ জাতির বর্তমান ও ভবিষ্যতে উন্নতির জন্য হাতিয়ার হবে শিক্ষা।
২. জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাঃ ভারতের সংবিধানের মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা রচনা করা হবে। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট স্তর পর্যন্ত অঞ্চল, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নারী ও পুরুষ নির্বিশেষে সব শিক্ষার্থীরা সমভাবে শিক্ষা লাভ করবে।
৩. সাম্যের জন্য শিক্ষাঃ যারা এতদিন বঞ্চিত হয়ে এসেছে তাদের সবাইকে সমান সুযোগ-সুবিধা দিয়ে অসমতা দূর করতে হবে। দেশের অউন্নত সম্প্রদায় SC, ST ও OBC প্রভৃতি সকলেরই শিক্ষার ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া মহিলা এবং প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের শিক্ষার কথাও বলা হয়েছে।
৪. বিভিন্ন স্তরে শিক্ষার পুনর্গঠনঃ
1.প্রাক- প্রাথমিক শিক্ষার সঠিকভাবে রূপায়ণ করতে হবে।
2.প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে । ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত সব ছেলেমেয়েকে ভর্তি করতে হবে এবং তাদের ধরে রাখতে হবে।
3.বৃত্তি ও কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে।
4. মেধাবী ও প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের সারাদেশে শিক্ষার সুবিধা দেওয়ার জন্য নবোদয় বিদ্যালয় তৈরি করতে হবে।
5. স্বয়ংশাসিত কলেজের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে।
6.নির্বাচিত ক্ষেত্রে চাকরিকে ডিগ্রি থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে।
৫. সর্বস্তরে দক্ষতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধিঃ
সর্বস্তরের দক্ষতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য গতানুগতিক চিন্তাধারার অবসান ঘটিয়ে আধুনিকতার ওপর জোর দেওয়া হবে।
৬. শিক্ষাব্যবস্থার কার্যকরী করণঃ
ধারাবাহিক প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়ে শৃঙ্খলা ও গুণগত মানের উন্নয়ন ঘটাতে হবে এবং শিক্ষায় সক্রিয়তা নীতি চালু করতে হবে.
৭. শিক্ষার বিষয়বস্তু ও পদ্ধতি পুনর্বিন্যাসঃ
1.বিষয়সূচি পদ্ধতির সঙ্গে সাংস্কৃতিক বিষয়কে অন্তর্ভুক্তি করতে হবে।
2.মূল্যবোধের শিক্ষা কে শক্তিশালী করতে হবে।
3. ১৯৮৬ সালের ত্রি-ভাষা সূত্রকে অনুসরণ করতে হবে।
4. অংক, বিজ্ঞান ও শারীরশিক্ষা এবং খেলাধুলার উপর গুরুত্ব দিতে হবে।
5.বহিঃপরীক্ষার প্রাধান্য কমিয়ে অভন্তরীন পরীক্ষার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
৮. শিক্ষকঃ শিক্ষকের সামাজিক মর্যাদার কথা বলা হয়েছে। শিক্ষকের বেতন ও চাকরির শর্তাবলী তাদের সামাজিক ও পেশাগত দায়িত্বের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নির্ধারণ করা প্রয়োজন। শিক্ষক শিক্ষণের ব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
৯. শিক্ষা ব্যবস্থাপনাঃ জাতীয় স্তরে শিক্ষা পরিচালনায় CABE গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সর্বভারতীয় সার্ভিস হিসাবে IES (Indian Educational Service) এবং রাজ্য স্তরে SABE গঠিত হবে। উচ্চমাধ্যমিক স্তর পরিচালনার জন্য স্কুল বোর্ড গঠিত হবে।
১০. আর্থিক সংস্থানঃ ধীরে ধীরে শিক্ষার জন্য অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে। তাই অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় এই বরাদ্দ যাতে ৬ শতাংশ ছাড়িয়ে যায় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
সুতরাং বলা যায় ১৯৮৬ সালে জাতীয় শিক্ষানীতি ভারতীয় শিক্ষার ইতিহাসে এক বলিষ্ঠ পদক্ষেপ এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
(b) কোঠারি কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী মাধ্যমিক শিক্ষার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যগুলি আলোচনা করো। 4+4
উত্তরঃ কোঠারি কমিশনের মতে, প্রাথমিক শিক্ষাস্তর এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের মধ্যবর্তী যে শিক্ষা বিদ্যালয়ে পরিচালিত হয় তাই হল মাধ্যমিক শিক্ষা।
কোঠারি কমিশনের মতে মাধ্যমিক শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য—
কোঠারি কমিশন মাধ্যমিক শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে যা সুপারিশ করেছেন সেগুলি হল—
(১) উৎপাদনশীলতাঃ কমিশনের মতে, শিক্ষাকে জাতীয় উৎপাদনমুখী করতে হবে। শিক্ষার্থীকে বিজ্ঞানসম্মত সমস্ত রকম জ্ঞান ও প্রশিক্ষণ দিতে হবে, যাতে তারা পরবর্তীকালে জাতীয় সম্পদ বৃদ্ধি ঘটাতে পারে।
(২) আধুনিকীকরণঃ মাধ্যমিক শিক্ষার লক্ষ্য হল শিক্ষার আধুনিকীকরণ। তাই শিক্ষার্থীকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নতুন নতুন জ্ঞান দান করতে হবে। এতে নাগরিকের শিক্ষার হার বাড়বে এবং সমাজের আধুনিকীকরণ ঘটবে।
(৩) সুনাগরিক গড়ে তোলাঃ সুনাগরিক একটি দেশের মানবসম্পদ। মাধ্যমিক শিক্ষার মাধ্যমে নাগরিকতার প্রশিক্ষণ দিতে হবে, যাতে শিক্ষার্থী সে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে পারে। তাই মাধ্যমিক শিক্ষার প্রধান উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থীদের নাগরিকতার প্রশিক্ষণ দেওয়া।
(৪) চারিত্রিক বিকাশঃ মাধ্যমিক শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থীদের চারিত্রিক বিকাশ সাধন করা। কমিশন মনে করেন, বিদ্যালয়ে এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে যাতে শিক্ষার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীর গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা সৃষ্টির কাজে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করার মতো চারিত্রিক গুণাবলীর বিকাশ ঘটে।
(৫) নেতৃত্বের বিকাশঃ কোন দেশকে সঠিকভাবে পরিচালিত করে একজন দক্ষ ও পরিশ্রমী নেতা। সৎ ও পরিশ্রমী নেতা তৈরি করাই হবে মাধ্যমিক শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য।
(৬) সাংস্কৃতিক বিকাশ সাধনঃ আমাদের দেশ নানা ভাষা, নানা মত, নানা সংস্কৃতির মিলনস্থল। শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাহিত্য ও শিল্প কলার প্রতি উৎসাহ সৃষ্টি করাই হবে মাধ্যমিক শিক্ষার উদ্দেশ্য।
(৭) ব্যক্তি সত্তার বিকাশসাধনঃ শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিসত্তার পরিপূর্ণ বিকাশ সাধন করাই হল মাধ্যমিক শিক্ষার একটি উদ্দেশ্য।
(৮) শিক্ষায় সমান সুযোগঃ জনগনের মধ্যে যাতে গণতান্ত্রিক ভাবধারা গড়ে ওঠে, সেইরূপ শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলাই হল মাধ্যমিক শিক্ষার উদ্দেশ্য।
(৯) শিক্ষা ও জাতীয় সংহতিঃ দেশের সংহতি বজায় রাখতে হলে জনগণের মধ্যে জাতীয় চেতনা ও ঐক্যবদ্ধ মনোভাব গঠন করা দরকার। এই জন্য কমিশন জাতীয় সংহতি কে মাধ্যমিক শিক্ষার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনা করেন।
(১০) শিক্ষার বিভিন্ন দিক যেমন– সাহিত্য, কলা, সংস্কৃতির প্রতি শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করে তোলা। শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বদানের উপযোগী করে তোলা, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা এবং তারা যাতে সৃজনশীল কাজে উৎসাহিত হয় তার ব্যবস্থা করা।
(১১) মাধ্যমিক শিক্ষা সম্প্রসারণের উদ্দেশ্য, প্রত্যেকটি জেলায় মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য উন্নত মানের পরিকল্পনা করতে হবে এবং তা যাতে পরবর্তী 10 বছরের মধ্যে কার্যকারী হয় তার ব্যবস্থা করতে হবে
(১২) নতুন বিদ্যালয়গুলির মান উন্নয়ন ব্যবস্থা করতে হবে এবং বিদ্যালয়গুলির মান যাতে আরো উন্নত করা যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
(c) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী উচ্চশিক্ষার লক্ষ্যগুলি লেখো। 8
উত্তরঃ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের সুপারিশ অনুসারে উচ্চশিক্ষার লক্ষ্য স্বাধীন ভারতে গড়ে ওঠা এই প্রথম শিক্ষা কমিশনটি উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে যেসকল লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। সেগুলি হল—
(১) নেতৃত্বদানের শিক্ষাঃ রাধাকৃষ্মণ কমিশনের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার লক্ষ্য হল গণতান্ত্রিক চেতনার বিকাশ ও সুনাগরিক গড়ে তােলা, যারা জীবনের নানান ক্ষেত্রে জাতীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ হবে। স্বাধীন ভারতের রাজনীতি, প্রশাসন, শিল্প, বাণিজ্য ইত্যাদি জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যােগ্য নেতৃত্ব গড়ে তােলাই হবে উচ্চশিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
(২) প্রজ্ঞার উন্মেষসাধনঃ সর্বপ্রকার জ্ঞান অর্জনের সুযােগ সৃষ্টি করা হল রাধাকৃষ্মণ কমিশনের মতে শিক্ষার লক্ষ্য। কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “education is both a training of minds, training of souls, it should give both knowledge and wisdom.” শিক্ষা মন ও আত্মা উভয়কেই প্রশিক্ষিত করে তুলবে। উচ্চশিক্ষার মধ্য দিয়েই জ্ঞান ও প্রজ্ঞার উন্মেষ ঘটবে। গবেষণার ক্ষেত্র সম্প্রসারণের মাধ্যমে আবিষ্কার ও অনুসন্ধান প্রজ্ঞার উন্মেষে সহায়তা করবে।
(৩) সৌভ্রাতৃত্ববােধ ও আন্তর্জাতিকতাবােধের বিকাশঃ কমিশনের মতে, সৌভ্রাতৃত্ববােধ থেকে বিশ্বভ্রাতৃত্ববােধ বিদ্যার্থীর মধ্যে বিকশিত করে তুলতে হবে। কমিশনের পরামর্শ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মাধ্যমে ব্যক্তি অপর রাষ্ট্রের সভ্যতা ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হবে এবং বিশ্বরাষ্ট্রের আদর্শে দেশে দেশে ঐক্য ও প্রীতির সম্পর্ক গড়ে তুলবে।
(৪) সাংস্কৃতিক জীবনের সংরক্ষণ ও বিকাশঃ শিক্ষার উদ্দেশ্য হবে নিজ সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে ব্যক্তির আত্মবিশ্বাস, আত্মমর্যাদা ও আত্মনির্ভরতা ইত্যাদি গুণগুলি বিকশিত করে তুলতে সাহায্য করা। কমিশনের মতে, উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্য হল নতুন ভাবধারা ও সমাজজীবনে নতুন মূল্যবােধ সৃষ্টি করা।
(৫) মানবিক গুণাবলির বিকাশঃ উচ্চশিক্ষার লক্ষ্য হবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের মানবিক গুণাবলির বিকাশসাধন করা। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে মনােবিদ্যাচর্চার এমন ধরনের পাঠক্রম প্রণয়ন করতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবতাবােধের বিকাশ ত্বরান্বিত হয়।
(৬) জাতীয় সংস্কৃতি ও শিক্ষার বিকাশঃ শিক্ষার মান এমনভাবে উন্নতি করতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা জাতীয় সংস্কৃতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
(৭) গণতান্ত্রিক মনােভাব গঠনঃ ভারতবর্ষ গণতান্ত্রিক দেশ। গণতন্ত্রের মূল কথা হল— ন্যায়বিচার, সাম্য, স্বাধীনতা, ভ্রাতৃত্ববােধ গঠন করা। এই শিক্ষার লক্ষ্য হবে দেশের প্রতিটি নাগরিককে গণতন্ত্রের এই মূল্যবােধগুলি গঠনে সচেষ্ট করা। শিক্ষার পরিকাঠামাে তাই সেই উপযােগী করে গড়ে তুলতে হবে।
(৮) মূল্যবােধের বিকাশঃ কমিশন বলেছে, নবভারত গঠনের জন্য দেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীর চারিত্রিক উন্নতির দিকে নজর দিতে হবে। তারা যাতে নৈতিক মূল্যবােধ গঠন করতে পারে, ন্যায়নীতি ও আদর্শের উপর বিশ্বাস স্থাপন করতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে।
(৯) শিক্ষায় সমান অধিকারঃ সমান অধিকার ছাড়া গণতন্ত্র সফল হতে পারে না। তাই প্রতিটি নাগরিককে সমান অধিকার ও সুযােগদানের বিষয়টিও উচ্চশিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য হওয়া উচিত।
(১০) শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নঃ এই শিক্ষার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হল শিক্ষার গুণগত মানের উন্নয়ন ঘটানাে। উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত প্রতিটি শিক্ষার্থী যাতে জাতীয় সংস্কৃতিতে যােগ্য প্রভাব ফেলতে পারে, ভবিষ্যতে তারা যাতে দেশের অগ্রগতিতে স্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে, তার উপযােগী শিক্ষার কাঠামাে তৈরি করতে হবে।
(১১) বৃত্তি, যান্ত্রিক ও সাধারণ শিক্ষার মানােন্নয়নঃ কারিগরিবিদ্যা, চিকিৎসাবিদ্যা, বিজ্ঞান, কৃষিবিদ্যার প্রসার ঘটানাের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে উপযুক্ত পরিকাঠামাে গড়ে তুলতে হবে। বিজ্ঞান ও কারিগরিবিদ্যার কল্যাণে মানুষের জীবনযাত্রার মানােন্নয়ন ঘটবে।
(১২) গবেষণা ক্ষেত্রের সম্প্রসারণঃ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে গবেষণাক্ষেত্রের সম্প্রসারণের প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
(১৩) মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষাদানঃ বিশ্ববিদ্যালয় কমিশনের মতে, উচ্চশিক্ষার উন্নতিকল্পে যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তার মধ্যে গুরুত্ব পেয়েছে ভাষা। কমিশনের বক্তব্য অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানের ভাষা হবে মাতৃভাষা। মাতৃভাষার মাধ্যমে সহজেই শিক্ষার্থীরা তাদের মনের ভাব স্বচ্ছভাবে প্রকাশ করতে পারবে। তাই শিক্ষাদানের ভাষা হবে মাতৃভাষা।
(১৪) বয়স্কশিক্ষার উপর গুরুত্ব আরােপঃ সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি সমাজের উন্নতিকল্পে বয়স্কশিক্ষার প্রতি গুরুত্ব আরােপ করতে হবে এবং বয়স্কশিক্ষার প্রসার ও উন্নতিকল্পে প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
(১৫) ধর্ম ও নীতিশিক্ষার বিকাশঃ কমিশন উচ্চশিক্ষার লক্ষ্য হিসেবে ধর্ম ও নীতিশিক্ষার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। কমিশনের মতে, ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা ছাড়া শিক্ষার্থীর সার্বিক বিকাশ সম্ভব নয়।
উচ্চশিক্ষার এই লক্ষ্যগুলি যেমন ব্যক্তির সার্বিক বিকাশ ঘটাতে সক্ষম হবে, তেমনি সামাজিক উন্নতিতেও সাহায্য করবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন মনে করত। কমিশন নির্দেশিত এই লক্ষ্যগুলি ছিল ভারতীয় উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতিমূলক পদক্ষেপ।
HS HISTORY QUESTION 2022, WEST BENGAL HS PREVIOUS YEAR QUESTION PAPER, উচ্চ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্ন 2016, উচ্চ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্ন 2017, উচ্চ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্ন 2018, উচ্চ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্ন 2019, উচ্চ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্ন 2020, উচ্চ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্ন 2022, উচ্চ উচ্চ মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার প্রশ্ন, উচ্চ উচ্চ মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন, বিগত বছরের প্রশ্ন উচ্চউচ্চ মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন
উচ্চ উচ্চ মাধ্যমিক প্রশ্নপত্র (West Bengal Board Higher Secondary Question Papers) সংক্রান্ত জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্ন (FAQs)
Q.1. উচ্চ মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র কী কী ভাষায় পাবো?
Ans. পশ্চিমবঙ্গ বোর্ডের উচ্চ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্ন ইতিহাস, ইংরেজি, হিন্দি, উর্দু, নেপালি, ওড়িয়া, পাঞ্জাবি, তেলুগু সহ বিভিন্ন ভাষায় উপলব্ধ।
Q.2. Higher Secondary 2024 একটি বিষয়ের প্রশ্নপত্রে কটি বিভাগ থাকবে?
Ans. উচ্চ মাধ্যমিকে (XII)-এ থিয়োরি বিভাগে দুটি অংশ থাকে, Part-A এবং Part-B। Part-A তে Traditional ধরনের প্রশ্ন থাকে, কিন্তু Part-B প্রশ্নপত্রটি Question cum Answer Type Booklet হয় যেখানে মূলত প্রতিটি 1 নম্বরের MCQ (Multiple Choice Question) এবং SAQ (Short Answer Type Question) প্রশ্ন থাকে।
Q.3. আমি কি Part-A এর আগে Part-B এর উত্তর করতে পারি?
Ans. উচ্চ মাধ্যমিকের Part-B প্রশ্নপত্রটি, Part-A এর পরে দেওয়া হয় কারণ এটি একটি নির্দিষ্ট সিরিজ অনুযায়ী সাজানো থাকে, তাই তোমাকে Part-A আগে উত্তর করে নিতে হবে।
Q.4. HS 2024 এর মডেল প্রশ্ন পাওয়া যায় কি?
Ans. হ্যাঁ, তুমি উচ্চ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে এটি ডাউনলোড করতে পারো।
Q.5. HS 2024 এর আগের বছরের প্রশ্ন কোথায় পেতে পারি?
Ans. বিগত বছরগুলিতে যারা পরীক্ষা দিয়েছে তাদের থেকে তুমি সরাসরি উচ্চ মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করতে পারো। এছাড়া পর্ষদের অফিসের সেলস কাউন্টার থেকেও তুমি বিগত বছরগুলির প্রশ্ন সংগ্রহ করতে পারো।
Q.6. উচ্চ উচ্চ মাধ্যমিক MCQ তে নেগেটিভ মার্কিং থাকে কি?
Ans. না, পশ্চিমবঙ্গ বোর্ডের উচ্চ মাধ্যমিকের MCQ-তে কোনো নেগেটিভ মার্কিং থাকে না।
Q.7. উচ্চ উচ্চ মাধ্যমিক নতুন ও পুরোনো সিলেবাসের জন্য কি আলাদা প্রশ্ন হয়?
Ans. প্রতিবছর একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা একইসাথে নেওয়া হয় পুরোনো ও নতুন সিলেবাসের (Old and New Syllabus) ওপর। পুরোনো সিলাবাসের প্রশ্নপত্র সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যেই অবগত রয়েছে এবং সেই একই ধরনের প্রশ্নপত্র 2023 উচ্চ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও ব্যবহার করা হবে। নতুন সিলেবাসের জন্য 2018 এর পদ্ধতি অনুসারে পরীক্ষা গ্রহন করা হবে।
উচ্চ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্ন 2022, Wbchse , Hs History Suggestion, উচ্চ উচ্চ মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন | Higher Secondary History Suggestion এর লিঙ্ক নিচে দেওয়া আছে । এবার উচ্চ উচ্চ মাধ্যমিক ইতিহাস (Higher Secondary History/ Wbchse Hs History) পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট প্রশ্নত্তরের জন্য West Bengal Hs Previous Year Question Paper || বিগত বছরের প্রশ্ন উচ্চউচ্চ মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্নগুলো দেখে নেওয়া দরকার । উচ্চ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্ন 2019 , উচ্চ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্ন 2018, উচ্চ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্ন 2017, উচ্চ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্ন 2016, উচ্চ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্ন 2020 , উচ্চ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্ন ২০১৭ , উচ্চ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্ন ২০১৮, উচ্চ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্ন ২০১৬, উচ্চ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্ন ২০২০ , উচ্চ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্ন ২০১৯ || উচ্চ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্ন ||West Bengal Hs Previous Year Question Paper Pdf Download
WB HS Previous Years Question Paper 2015 | উচ্চমাধ্যমিক বিগত বছরের প্রশ্নপত্র 2015 [WBCHSE]
WB HS Previous Years Question Paper 2016 | উচ্চমাধ্যমিক বিগত বছরের প্রশ্নপত্র 2016 [WBCHSE]
WB HS Previous Years Question Paper 2017 | উচ্চমাধ্যমিক বিগত বছরের প্রশ্নপত্র 2017 [WBCHSE]
WB HS Previous Years Question Paper 2018 | উচ্চমাধ্যমিক বিগত বছরের প্রশ্নপত্র 2018 [WBCHSE]
WB HS Previous Years Question Paper 2019 | উচ্চমাধ্যমিক বিগত বছরের প্রশ্নপত্র 2019 [WBCHSE]
WB HS Previous Years Question Paper 2020 | উচ্চমাধ্যমিক বিগত বছরের প্রশ্নপত্র 2020 [WBCHSE]
WB HS Previous Years Question Paper 2021 | উচ্চমাধ্যমিক বিগত বছরের প্রশ্নপত্র 2021 [WBCHSE]
WB HS Previous Years Question Paper 2022 | উচ্চমাধ্যমিক বিগত বছরের প্রশ্নপত্র 2022 [WBCHSE]
WB HS Previous Years Question Paper 2023 | উচ্চমাধ্যমিক বিগত বছরের প্রশ্নপত্র 2023 [WBCHSE]
WB HS Previous Years Question Paper 2024 | উচ্চমাধ্যমিক বিগত বছরের প্রশ্নপত্র 2024 [WBCHSE]