সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল – নদী প্রশ্ন ও উত্তর | সপ্তম শ্রেণীর Geography Question and Answer | Class 7 Geography Question and Answer

Published On:

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

Dear student

তোমাকে সবাই কে আমাদের ওয়েবসাইটে স্বাগতম। আজকে আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি । সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল – নদী প্রশ্ন ও উত্তর | সপ্তম শ্রেণীর Geography Question and Answer | Class 7 Geography Question and Answer । যা তোমাদের সপ্তম শ্রেণীর পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে। তাই মন দিয়ে এই প্রশ্ন উত্তর গুলো ভালো করে পড়বে। সমস্ত প্রশ্ন গুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ।

সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল – নদী প্রশ্ন ও উত্তর | সপ্তম শ্রেণীর Geography Question and Answer | Class 7 Geography Question and Answer

সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল – নদী MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | সপ্তম শ্রেণীর Geography MCQ Question and Answer |

1. পার্বত্য অঞ্চলের নদীগুলিতে জল থাকে—

[A] সারাবছর

[B] শীতকালে

[C] গ্রীষ্মকালে

[D] শরৎকালে

উত্তর:- [A] সারাবছর

2. নদীর মধ্যপ্রবাহে সৃষ্টি হয়—

[A] গিরিখাত

[B] অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ

[C] বদ্বীপ

[D] প্লাবনভূমি

উত্তর:- [B] অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ

3. পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল থাকে—

[A] খুব বেশি

[B] মধ্যম

[C] খুব কম

[D] বেশি

উত্তর:- [A] খুব বেশি

4. একটি আন্তর্জাতিক নদীর নাম হল—

[A] লুনি

[B] সিন্ধু

[C] আমুদরিয়া

[D] নর্মদা

উত্তর:- [B] সিন্ধু

5. হরিদ্বার থেকে মুরশিদাবাদের মিঠিপুর পর্যন্ত গঙ্গানদীর—

[A] উচ্চপ্রবাহ

[B] মধ্যপ্রবাহ

[C] নিম্নপ্রবাহ

[D] উধর্বপ্রবাহ

উত্তর:- [B] মধ্যপ্রবাহ

6. পার্বত্য প্রবাহে নদীর শক্তির পরিমাণ—

[A] বেশি

[B] কম

[C] মাঝারি

[D] খুব কম

উত্তর:- [A] বেশি

7. ‘I’ আকৃতির উপত্যকা দেখা যায়—

[A] মালভূমি অঞ্চলে

[B] পার্বত্য অঞ্চলে

[C] সমভূমি অঞ্চলে

[D] বদ্বীপ অঞ্চলে

উত্তর:- [B] পার্বত্য অঞ্চলে

8. আদর্শ নদীর গতিপথকে ভাগ করা হয়—

[A] 2টি ভাগে

[B] 3টি ভাগে

[C] 4টি ভাগে

[D] 5টি ভাগে

উত্তর:- [B] 3টি ভাগে

9. পার্বত্য অঞ্চলের নদীগুলিতে জল থাকে—

[A] সারাবছর

[B] শীতকালে

[C] গ্রীষ্মকালে

[D] শরৎকালে

উত্তর:- [A] সারাবছর

10. উৎস থেকে মোহানা পর্যন্ত যে খাতের মধ্য দিয়ে নদী প্রবাহিত হয়, তাকে—

[A] নদী উপত্যকা

[B] ধারণ অববাহিকা

[C] জলবিভাজিকা বলে

[D] কনোটাও নয়

উত্তর:- [A] নদী উপত্যকা

11. মুরশিদাবাদের মিঠিপুরের পর থেকে বঙ্গোপসাগরের মোহানা পর্যন্ত হল গঙ্গা নদীর—

[A] উচ্চপ্রবাহ

[B] মধ্যপ্রবাহ

[C] নিম্নপ্রবাহ

[D] কোনোটিই নয়

উত্তর:- [C] নিম্নপ্রবাহ

12. জল তাড়াতাড়ি গড়িয়ে যায়—

[A] সমতল জায়গায়

[B] ঢালু জায়গায়

[C] প্রায় সমতল জায়গায়

[D] প্রায় ঢালু জায়গায়

উত্তর:- [B] ঢালু জায়গায়

13. নিম্নপ্রবাহে নদীর গতিবেগ বেশি থাকলে সৃষ্টি হয়—

[A] বদ্বীপ

[B] দোয়াব

[C] খাড়ি

[D] নদী-দ্বীপ

উত্তর:- [C] খাড়ি

14. নদীর ক্ষয়কার্যের দ্বারা গভীর ও সংকীর্ণ উপত্যকার সৃষ্টি হয়—

[A] বৃষ্টিবহুল অঞ্চলে

[B] শুষ্ক অঞ্চলে

[C] সমভূমি অঞ্চলে

[D] মালভূমি অঞ্চলে

উত্তর:- [B] শুষ্ক অঞ্চলে

15. শুষ্ক অঞ্চলে সুগভীর নদী উপত্যকাকে বলে—

[A] গিরিখাত

[B] ক্যানিয়ন

[C] জলপ্রপাত

[D] মিয়েন্ডার

উত্তর:- [B] ক্যানিয়ন

16. জলপ্রপাত নদীর—

[A] ক্ষয়

[B] বহন

[C] সঞ্চয়

[D] প্রবাহের ফলে সৃষ্টি হয়

উত্তর:- [A] ক্ষয়

17. নদী যেখানে মেশে তাকে বলা হয়—

[A] নদী উপত্যকা

[B] মোহানা

[C] অববাহিকা

[D] কনোটাও নয়

উত্তর:- [B] মোহানা

18. পার্বত্য অঞ্চলের নদীগুলিতে জল থাকে—

[A] সারাবছর

[B] শীতকালে

[C] গ্রীষ্মকালে

[D] শরৎকালে

উত্তর:- [A] সারাবছর

19. গঙ্গার একটি শাখানদী হল—

[A] ভাগীরথী-হুগলি

[B] যমুনা-সোন

[C] নর্মদা তাপ্তী

[D] কোশী-ঘর্ঘরা

উত্তর:- [A] ভাগীরথী-হুগলি

20. নদীপথের ঢাল বাড়লে নদীর শক্তি—

[A] বাড়ে

[B] কমে

[C] ক্ষয় হয়

[D] একই থাকে

উত্তর:- [A] বাড়ে

21. একটি আন্তর্জাতিক নদীর নাম হল—

[A] লুনি

[B] সিন্ধু

[C] আমুদরিয়া

[D] নর্মদা

উত্তর:- [B] সিন্ধু

22. হরিদ্বার থেকে মুরশিদাবাদের মিঠিপুর পর্যন্ত গঙ্গানদীর—

[A] উচ্চপ্রবাহ

[B] মধ্যপ্রবাহ

[C] নিম্নপ্রবাহ

[D] উধর্বপ্রবাহ

উত্তর:- [B] মধ্যপ্রবাহ

23. প্লাবনভূমি লক্ষ করা যায়—

[A] মধ্যপ্রবাহে

[B] নিম্নপ্রবাহে

[C] উচ্চপ্রবাহে

[D] নাতি উচ্চপ্রবাহে

উত্তর:- [B] নিম্নপ্রবাহে

24. পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল থাকে—

[A] খুব বেশি

[B] মধ্যম

[C] খুব কম

[D] বেশি

উত্তর:- [A] খুব বেশি

25. নদীর বদ্বীপ সৃষ্টি হয়—

[A] নিম্নপ্রবাহে

[B] মধ্যপ্রবাহে

[C] পার্বত্যপ্রবাহে

[D] উৎস অঞ্চলে

উত্তর:- [A] নিম্নপ্রবাহে

26. ‘V’ আকৃতির উপত্যকা দেখতে পাওয়া যায় নদীর—

[A] উচ্চগতিতে

[B] মধ্যগতিতে

[C] নিম্নগতিতে

[D] কনোটাও নয়

উত্তর:- [A] উচ্চগতিতে

27. ‘I’ আকৃতির উপত্যকা দেখা যায়—

[A] মালভূমি অঞ্চলে

[B] পার্বত্য অঞ্চলে

[C] সমভূমি অঞ্চলে

[D] বদ্বীপ অঞ্চলে

উত্তর:- [B] পার্বত্য অঞ্চলে

28. পার্বত্য অঞ্চলে নদীর প্রধান কাজ—

[A] বহন

[B] ক্ষয়

[C] সঞ্চয় করা

[D] কনোটাও নয়

উত্তর:- [B] ক্ষয়

29. ‘V’ আকৃতির উপত্যকা দেখতে পাওয়া যায় নদীর—

[A] উচ্চগতিতে

[B] মধ্যগতিতে

[C] নিম্নগতিতে

[D] কনোটাও নয়

উত্তর:- [A] উচ্চগতিতে

30. পার্বত্য অঞ্চলের নদীগুলিতে জল থাকে—

[A] সারাবছর

[B] শীতকালে

[C] গ্রীষ্মকালে

[D] শরৎকালে

উত্তর:- [A] সারাবছর

31. নিম্নপ্রবাহকে তুলনা করা হয়—

[A] বৃদ্ধ

[B] যুবক

[C] কিশোর

[D] শিশুর সঙ্গে

উত্তর:- [A] বৃদ্ধ

32. নদীর শক্তি হ্রাস পেলে বাড়ে—

[A] ক্ষয়

[B] বহন

[C] সঞ্চয়

[D] ক্ষয় ও বহন

উত্তর:- [C] সঞ্চয়

33. আদর্শ নদীর গতিপথকে ভাগ করা হয়—

[A] 2টি ভাগে

[B] 3টি ভাগে

[C] 4টি ভাগে

[D] 5টি ভাগে

উত্তর:- [B] 3টি ভাগে

34. উৎস থেকে মোহানা পর্যন্ত যে খাতের মধ্য দিয়ে নদী প্রবাহিত হয়, তাকে—

[A] নদী উপত্যকা

[B] ধারণ অববাহিকা

[C] জলবিভাজিকা বলে

[D] কনোটাও নয়

উত্তর:- [A] নদী উপত্যকা

35. নিম্নপ্রবাহে নদীর গতিবেগ বেশি থাকলে সৃষ্টি হয়—

[A] বদ্বীপ

[B] দোয়াব

[C] খাড়ি

[D] নদী-দ্বীপ

উত্তর:- [C] খাড়ি

36. গঙ্গানদীর উৎপত্তি—

[A] সুদ

[B] জলাশয়

[C] হিমবাহ থেকে

[D] কনোটাও নয়

উত্তর:- [C] হিমবাহ থেকে

37. প্লাবনভূমি লক্ষ করা যায়—

[A] মধ্যপ্রবাহে

[B] নিম্নপ্রবাহে

[C] উচ্চপ্রবাহে

[D] নাতি উচ্চপ্রবাহে

উত্তর:- [B] নিম্নপ্রবাহে

38. উচ্চপ্রবাহকে তুলনা করা হয়—

[A] বৃদ্ধ

[B] যুবক

[C] কিশোর

[D] শিশুর সঙ্গে

উত্তর:- [B] যুবক

39. নদীর দুকুলে পলি জমে গড়ে ওঠে—

[A] লোয়েস সমভুমি

[B] প্লাবন সমভূমি

[C] বদ্বীপ

[D] নদী-দ্বীপ

উত্তর:- [B] প্লাবন সমভূমি

40. হরিদ্বার থেকে মুরশিদাবাদের মিঠিপুর পর্যন্ত গঙ্গানদীর—

[A] উচ্চপ্রবাহ

[B] মধ্যপ্রবাহ

[C] নিম্নপ্রবাহ

[D] উধর্বপ্রবাহ

উত্তর:- [B] মধ্যপ্রবাহ

সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল – নদী প্রশ্ন ও উত্তর | সপ্তম শ্রেণীর Geography SAQ Question and Answer |

1.পৃথিবীর সব জায়গায় কি নদীর কাজ ও তিনটি প্রবাহ দেখা যায় ?

উত্তর:- পৃথিবীর মোট স্থলভাগের ৬০ শতাংশ স্থানে কম বেশি নদীর কাজ দেখা যায়। সব নদীতেই উচ্চ, মধ্য ও নিম্নপ্রবাহ এই তিনটি প্রবাহ দেখা যায় না।

2.নদী কখন প্লাবনভূমি সৃষ্টি করে?

উত্তর:- নিম্নপ্রবাহে নদীর মধ্যে পলি, বালি, কাকর জমে নদী অগভীর হয়ে যায়, ফলে বর্ষার অতিরিক্ত জল দুকুল ছাপিয়ে। বন্যার সৃষ্টি হয় এবং বন্যার সময় নদী তার দুধারে বিস্তীর্ণ জমিতে পলি সঞ্চিত করে এবং উর্বর প্লাবনভূমি সৃষ্টি করে। চীনের হোয়াংহো নদীর নিম্নগতিতে এরূপ প্লাবনভূমি দেখা যায়।

প্রশ্নের মান -5  

3.নদীর কাজগুলি বর্ণনা করো।

উত্তর:- নদী মূলত বয়ে যাওয়া জলধারা। সে তার চলার পথে ক্ষয়কাজ, বহনকাজ ও সঞ্চয়কাজ—এই তিন রকমের কাজ করে। নদীর এই তিন প্রকার কাজ নির্ভর করে নদীর শক্তির ওপর। ক্ষয়কাজ—নদী তার জলস্রোতের ধাক্কায় মাটি, বালি, ছোটো বড়ো নুড়ি, এমনকি বড়ো পাথর সবই চূর্ণ করে ভাসিয়ে নিয়ে চলে। এটাই নদীর ক্ষয়কাজ বহনকাজ চূর্ণ করা এইসব নুড়ি, কাঁকর, বালি, পলি সবই নদীর স্রোতের সঙ্গে উঁচু থেকে নীচু অঞ্চলের দিকে বয়ে চলে। এটাই নদীর বহনকাজ।

সঞ্চয়কাজ—নদীর স্রোত কমে গেলে এইসব বহন করা পদার্থগুলি নদীর পাশে বা নদীর মধ্যে জমা হতে থাকে। এটাই নদীর সয়কাজ।

4.নদীর উচ্চপ্রবাহ কাকে বলে? এই প্রবাহে নদী কী কী কাজ করে?

উত্তর:- কোনো নদী যখন তার উৎস থেকে পার্বত্য অঞ্চলের ওপর দিয়ে তীব্রবেগে প্রবাহিত হয় তখন নদীর ওই গতিকে উচ্চপ্রবাহ বলে। উৎস থেকে সমতলভূমিতে নামার আগে পর্যন্ত নদীর উচ্চপ্রবাহ। ভারতের প্রধান নদী গঙ্গার উচ্চপ্রবাহ গঙ্গোত্রীর গোমুখ থেকে হরিদ্বার পর্যন্ত। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল ও বন্ধুরভাব বেশি হওয়ার জন্য নদীর শক্তি বেশি থাকে।

ফলে এই প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ ক্ষয়। নদীর স্রোতের সঙ্গে ছোটো বড়ো পাথরগুলি নদীর তলায় ধাক্কা দিয়ে ক্ষয় করে। ফলে নদীর উপত্যকা গভীর হয়। এই সরু ও গভীর নদী উপত্যকা দেখতে হয় ইংরেজি I V অক্ষরের মতো। একে গিরিখাত বলে। নদীর গতিপথে নদী নরম পাথরকে বেশি ক্ষয় করে। ফলে শক্ত ও নরম পাথরের মধ্যে ধাপের সৃষ্টি হয়, আর নদী উপর থেকে নীচে ঝাঁপিয়ে পড়ে জলপ্রপাত সৃষ্টি করে।

5.নদীর মধ্যপ্রবাহ কাকে বলে? এই প্রবাহে নদীর কাজগুলি লেখো।

উত্তর:- পার্বত্য অঞ্চল ছেড়ে নদী যখন সমভূমির ওপর দিয়ে বয়ে যায় তখন নদীর গতিকে মধ্যপ্রবাহ বলা হয়। মালভূমি বা সমভূমি অঞ্চলে নদীর মধ্যপ্রবাহ দেখা যায়। হরিদ্বার থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুরশিদাবাদের মিঠিপুর পর্যন্ত গঙ্গানদীর মধ্যপ্রবাহ। মধ্যপ্রবাহে ভূমির ঢাল কম থাকায় নদীর গতি এবং শক্তি দুই-ই কমে যায়। এসময় নদী প্রধানত বহন ও সময়কাজ করে।

এসময় নদীর নীচের দিকে ক্ষয় না হওয়ার ফলে নদীর গভীরতা কমে এবং প্রচুর উপনদীর মাধ্যমে জলের পরিমাণ বাড়ে। নদী খুবই আঁকাবাঁকা পথে প্রবাহিত হয়ে মিয়েন্ডার সৃষ্টি করে। বয়ে আনা পলি, বালি, নুড়ি, কাঁকর নদীর দুধারে বা মাঝে সজ্জিত হয়। নদীতে চড়া পড়ে কখনও নদী-দ্বীপ তৈরি হয়। নদীতে কাঁকরের পরিমাণ বা জল বাড়লে বাঁকের একটা অংশ মূল নদী থেকে আলাদা হয়ে যায়। এই আলাদা অংশটি দেখতে ঘোড়ার খুরের মতো হয় একে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ বলে।

6.নদীর নিম্নপ্রবাহ কাকে বলে? এই প্রবাহে নদীর কাজগুলি লেখো।

উত্তর:- নদী যখন সাগরের কাছাকাছি সমভূমিতে প্রবাহিত হয়ে মোহনা অঞ্চলে এসে পড়ে তখন তার যে প্রবাহ দেখা যায় তাকে নদীর নিম্নগতি বা নিম্নপ্রবাহ বলে। উচ্চ ও মধ্যপ্রবাহের পর অত্যন্ত মৃদু ভূমিঢালের ওপর দিয়ে নদী মোহানা পর্যন্ত প্রবাহিত হয়। এটিই নদীর নিম্ন প্রবাহ। মুরশিদাবাদের মিঠিপুরের পর থেকে বঙ্গোপসাগরের মোহানা পর্যন্ত গঙ্গানদীর নিম্নপ্রবাহ।

এই সময় নদীর গতি এবং শক্তি একেবারেই কমে যায়। তখন সামান্য বহন কাজ হলেও নদীর মূল কাজ হয় সঞ্চয়। এই প্রবাহে নদী শাখানদী সৃষ্টি করে। নদীর মধ্যে পলি, বালি, কাঁকর জমে অগভীর নদী বর্ষায় দুকূল ছাপিয়ে যায়। নদীর দুধারের বিস্তীর্ণ জমিতে পলি সঞ্চয় করে নদী প্লাবনভূমি সৃষ্টি করে। মোহানার কাছে নদীর চড়া সৃষ্টি হয়। নদীর স্রোত তখন ভাগ হয়ে চড়ার দুদিক দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ত্রিভুজের মতো ব-দ্বীপ সৃষ্টি করে।

7. ‘নদীর স্বাভাবিক ছন্দ মানুষই নষ্ট করেছে—আলোচনা করো।

উত্তর:- মানুষের জীবনের সঙ্গে নদীর সম্পর্ক নিবিড় হলেও মানুষের কিছু কিছু কাজ নদীর স্বাভাবিক ছন্দকে নষ্ট করে চলেছে। মানুষের কৃষি ব্যবস্থার প্রসার, শিল্পায়ন, নগরায়ন প্রভৃতি নানাভাবে নদীকে প্রভাবিত করেছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য নদীর ওপর কৃত্রিম বাঁধ তৈরি করে মানুষ সাময়িক সুফল পেলেও শেষপর্যন্ত তা আরও ভয়াবহ বন্যার কারণ হয়ে উঠেছে। একদিকে কৃষিজমি থেকে ধুয়ে আসা পলিতে নদী ক্রমশ ভরাট হচ্ছে অন্যদিকে সেচের জলের জোগান দিয়ে নদী ক্রমশ শুকিয়ে যাচ্ছে। শহর ও শিল্পাঞ্চলের বর্জ্য জল নদীতে মিশে গিয়ে নদীর জল ক্রমশ বিষাক্ত হয়ে উঠছে।

8.আমাদের জীবনে নদীর প্রভাব কতখানি তা বুঝিয়ে লেখো ?

উত্তর:- নদীমাতৃক এই দেশের নদীগুলি আসলে আমাদের জীবনকথা। এই নদীগুলি শুধু ভূগোল বা ইতিহাস নয়, আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে নানাভাবে এরা জড়িয়ে আছে। মানুষের প্রাচীনতম সভ্যতা, মিশরীয় সভ্যতা, সুমেরীয় সভ্যতা প্রভৃতি গড়ে উঠেছিল কোনো-না-কোনো নদীর ধারে। বর্তমানে আমাদের দেশের গঙ্গা, পদ্মা ও ব্রহ্মপুত্রের যে বিশাল সমভূমি, চিনের হোয়াংহো ও ইয়াং-সিকিয়াং নদীর উপত্যকা সবই পৃথিবীর জনবহুল অঞ্চল। তাই বলা যায় নদী শুধু সভ্যতার জন্ম দেয় না, তাকে পালনও করে।

9.নদীর _________ প্রবাহে ‘V’ আকৃতির সরু ও গভীর উপত্যকা সৃষ্টি হয়। [শূন্যস্থান পূরন করো]

উত্তর:- পার্বত্য

10._________ প্রবাহে নদীতে শাখানদীর সৃষ্টি হয়। [শূন্যস্থান পূরন করো]

উত্তর:- নিম্ন

11.যে উচ্চভূমি বা পর্বতশ্রেণির জন্য একটি নদী অববাহিকা আর একটি নদী অববাহিকা থেকে আলাদা হয়ে যায়, তাকে বলে উপত্যকা। [সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো]

উত্তর:- মিথ্যা

12.শুষ্ক অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের অভাবে নদী উপত্যকায় ক্ষয় খুব বেশি হয়। [সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো]

উত্তর:- মিথ্যা

13.ভূমির ঢাল কমে গেলে নদীর গতিবেগ _________। [শূন্যস্থান পূরন করো]

উত্তর:- কমে

14.ভারতের সরাবতী নদীর ‘যোগ’ জলপ্রপাত [উচ্চতা 260 মিটার] কোন্ পর্বতে দেখা যায়? [এক কথায় উত্তর দাও]

উত্তর:- পশ্চিমঘাট পর্বতে।

15.নদীর আঁকাবাঁকা গতিপথকে _________ বলে। [শূন্যস্থান পূরন করো]

উত্তর:- মিয়েন্ডার

16.যে নদী প্রধান নদীতে মিলিত হয়, তাকে কী বলা হয়? [এক কথায় উত্তর দাও]

উত্তর:- উপনদী।

17.চওড়া ও অগভীর নদী উপত্যকা দেখা যায়_________ [শূন্যস্থান পূরন করো]

উত্তর:- নিম্ন

18.পৃথিবীর সব নদীতেই কি উচ্চ, মধ্য, নিম্ন এই তিনটি প্রবাহ দেখা যায়? [এক কথায় উত্তর দাও]

উত্তর:- না

19.কোন্ প্রবাহে নদী মূলত সঞ্চয়কার্য করে? [এক কথায় উত্তর দাও]

উত্তর:- নিম্নপ্রবাহে

20.যে নদীর গতিপথে তিনটি প্রবাহ স্পষ্টভাবে লক্ষ করা যায়, তাকে কী বলে? [এক কথায় উত্তর দাও]

উত্তর:- আদর্শ নদী।

21.শুষ্ক অঞ্চলের সুগভীর গিরিখাত কী নামে পরিচিত? [এক কথায় উত্তর দাও]

উত্তর:- ক্যানিয়ন।

22.নিম্নপ্রবাহে নদীর প্রধান কাজ কী? [এক কথায় উত্তর দাও]

উত্তর:- সঙ্গুয়

23.পৃথিবীর সব নদীতেই কি উচ্চ, মধ্য, নিম্ন এই তিনটি প্রবাহ দেখা যায়? [এক কথায় উত্তর দাও]

উত্তর:- না

24.নদী উপত্যকার পরিণত বা প্রৌঢ় অবস্থা নদীর _________প্রবাহে দেখা যায়। [শূন্যস্থান পূরন করো]

উত্তর:- সমভূমি

25.পার্বত্য অঞ্চলে নদী উপত্যকা ‘U’ আকৃতির হয়। [সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো]

উত্তর:- সত্য

26.যে নদী কোনো দেশের মধ্যে উৎপন্ন হয়ে ওই দেশেরই কোনো জলাশয়ে পড়ে, তাকে কী বলে? [এক কথায় উত্তর দাও]

উত্তর:- অন্তর্বাহিনী নদী।

27.আর্দ্র অঞ্চলের সুগভীর গিরিখাতকে ক্যানিয়ন বলে। [সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো]

উত্তর:- মিথ্যা

28.কোন্ প্রবাহে নদীর শক্তি খুব বেশি? [এক কথায় উত্তর দাও]

উত্তর:- উচ্চপ্রবাহে।

29.নদীর শাখানদী সাধারণত কোন্ প্রবাহে দেখা যায়? [এক কথায় উত্তর দাও]

উত্তর:- নিম্নপ্রবাহে

30.মূলনদী থেকে যে নদী বেরিয়ে যায়, তাকে _________ বলে। [শূন্যস্থান পূরন করো]

উত্তর:- শাখানদী

31.নদীর নিম্নপ্রবাহে উল্লেখযোগ্য ভূমিরূপ হল প্লাবনভূমি ও _________ [শূন্যস্থান পূরন করো]

উত্তর:- বদ্বীপ

32.যে স্থান থেকে নদী উৎপন্ন হয়, তাকে কী বলে? [এক কথায় উত্তর দাও]

উত্তর:- উৎস।

33.যে অঞ্চলের ওপর দিয়ে কোনো প্রধান নদী এবং তার বিভিন্ন উপনদী ও শাখানদীসমূহ প্রবাহিত হয়, সেই সমস্ত অঞ্চলকে ওই প্রধান নদীর জলবিভাজিকা বলে। [সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো]

উত্তর:- মিথ্যা

34.কোন্ অঞ্চলে নদীর ধারণ অববাহিকা দেখা যায়? [এক কথায় উত্তর দাও]

উত্তর:- পার্বত্য অঞ্চলে।

35.যে অঞ্চলের ওপর দিয়ে কোনো প্রধান নদী এবং তার বিভিন্ন উপনদী ও শাখানদীসমূহ প্রবাহিত হয়, সেই সমস্ত অঞ্চলকে ওই প্রধান নদীর জলবিভাজিকা বলে। [সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো]

উত্তর:- মিথ্যা

36.পার্বত্য অঞ্চলে নদী খুবই আঁকাবাঁকা পথে প্রবাহিত হয়। [সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো]

উত্তর:- মিথ্যা

37.যে উচ্চভূমি বা পর্বতশ্রেণির জন্য একটি নদী অববাহিকা আর একটি নদী অববাহিকা থেকে আলাদা হয়ে যায়, তাকে বলে উপত্যকা। [সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো]

উত্তর:- মিথ্যা

38._________নদীর অববাহিকা পৃথিবীর বৃহত্তম নদী অববাহিকা। [শূন্যস্থান পূরন করো]

উত্তর:- আমাজন

39.গঙ্গা নদীর উৎসস্থল কোথায়?

উত্তর:- হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখ গুহা থেকে গঙ্গা নদীর উৎপত্তি ঘটে।

40.নদী যেখানে গিয়ে শেষ হয়, তাকে কী বলে?

উত্তর:- নদীর মোহনা

41.গঙ্গা নদীর মোহনা কোথায় রয়েছে?

উত্তর:- পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণে অবস্থিত বঙ্গোপসাগর গঙ্গা নদীর মোহনা।

42.পৃথিবীর দীর্ঘতম নদীর নাম কি?

উত্তর:- নীলনদ

43.দক্ষিণ আমেরিকার দীর্ঘ তম নদীর নাম কি?

উত্তর:- আমাজন

44.এশিয়ার দীর্ঘ তম নদীর নাম কী?

উত্তর:- ইয়াংসি কিয়াং

45.উত্তর আমেরিকার দীর্ঘতম নদীর নাম কি?

উত্তর:- মিসিসিপি

46.ইউরোপের দীর্ঘতম নদীর নাম কি?

উত্তর:- ভলগা নদী

47.ওশিয়ানিয়ার দীর্ঘতম নদী কোন টি?

উত্তর:- মারে ডার্লিং

48.ধারণ অববাহিকা কাকে বলে?

উত্তর:- ছোট ছোট অসংখ্য জলধারার মিলনের ফলে একটি বড়ো নদীর সৃষ্টি হয়। মূলত পার্বত্য অঞ্চলের যে অংশে বরফ গলা বা বৃষ্টির জল দ্বারা সৃষ্ট এই সব ছোট ছোট নদী গুলি প্রবাহিত হয়ে পর্বতের পাদদেশে এসে একত্রে মিলিত হয়, সেই পার্বত্য অংশ কে নদীর ধারণ অববাহিকা বলে।

49.জলবিভাজিকা বলতে কী বোঝ?

উত্তর:- পার্বত্য অঞ্চলের যে উঁচু ভূভাগ বা পর্বতের চূড়া দুটি ধারণ অববাহিকা কে পৃথক করে, তাকে জল বিভাজিকা বলে।

50.উপনদী কাকে বলে?

উত্তর:- উঁচু স্থান উৎপন্ন হয়ে কোনো ছোট নদী যখন কোন একটি বড়ো নদীতে এসে মিলিত হয়, তখন সেই ছোট নদীটিকে বড়ো নদীর উপনদী বলা হয়। যেমন – যমুনা, গণ্ডক গঙ্গা নদীর উপনদী।

51.শাখা নদী কাকে বলে?

উত্তর:- মূল বা বড়ো নদী থেকে কোন নদী উৎপন্ন হয়ে যখন বাইরের দিকে প্রবাহিত হয়ে অন্য কোথাও গিয়ে মেশে তাকে মূল নদীর শাখা নদী বলে। যেমন – ভাগীরথী হুগলি হল গঙ্গা নদীর শাখা নদী।

52.নদী অববাহিকা কাকে বলে?

উত্তর:- প্রধান নদী তার উপনদী, শাখা নদী নিয়ে যে অঞ্চলের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়, তাকে উক্ত নদীর অববাহিকা বলা হয়।

53.নদী উপত্যকা কাকে বলে?

উত্তর:- উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত নদী যে খাতের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়, তাকে নদীর উপত্যকা বলে। নদী উপত্যকার আকৃতি ইংরেজি ‘I’ বা ‘V’ আকৃতির হয়ে থাকে।

54.অন্তর্বাহিনী নদী কাকে বলে?

উত্তর:- যে সব নদী কোন দেশের মধ্যে উৎপন্ন হয়ে সেই দেশের মধ্যেই কোন বড়ো হ্রদ বা জলাশয়ে গিয়ে মেশে তাকে অন্তর্বাহিনী নদী বলে। এই সব নদী সমুদ্রে পতিত হয় না। যেমন – ভারতের লুনি নদী একটি অন্তর্বাহিনী নদী।

55.আন্তর্জাতিক নদী কাকে বলে? উদাহরণ দাও?

উত্তর:- যে সব নদী একাধিক দেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়, তাকে আন্তর্জাতিক নদী  বলে। যেমন – গঙ্গা নদী, ব্রহ্মপুত্র নদী।

56.নিত্যবহ নদী কাকে বলে?

উত্তর:- উঁচু পার্বত্য অঞ্চলের বরফ গলা জলে পুষ্ট যে সব নদীতে সারা বছর জল থাকে, তাকে নিত্য বহ নদী বলে। যেমন – ভারতের গঙ্গা, সিন্ধু, তিস্তা প্রভৃতি।

57.অনিত্যবহ নদী কাকে বলে?

উত্তর:- যে সব নদীতে সারা বছর জল থাকে না, তাদের অনিত্যবহ নদী বলে। সাধারণত মালভূমি অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের দরুন যে সব নদীর সৃষ্টি হয় সেগুলি তে বর্ষা কাল ব্যতীত অন্য সময় জল প্রবাহ থাকে না বলে, এই নদী গুলিকে অনিত্য বহ নদী বলা হয়।

58.নদী তার সুদীর্ঘ গতিপথে কি কি কাজ করে?

উত্তর:- নদী তার সুদীর্ঘ গতিপথে ক্ষয় কাজ, বহন কাজ ও সঞ্চয় কাজ করে থাকে।

59.মানচিত্রে নিত্যবহ নদীকে দেখাতে কোন রং ব্যবহার করা হয়?

উত্তর:- নীল রং

60.মানচিত্রে অনিত্যবহ নদীকে দেখাতে কোন রং ব্যবহার করা হয়?

উত্তর:- কালো রং

61.নদীর সমগ্র গতিপথ কে কয় টি পর্যায়ে ভাগ করা হয় ও কি কি?

উত্তর:- উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত একটি বড়ো নদীর সমগ্র গতিপথ কে নদীর ক্ষয়, বহন ও সঞ্চয় কার্যের তারতম্য অনুসারে তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা হয়, যথা – নদীর উচ্চ প্রবাহ, মধ্য প্রবাহ ও নিম্ন প্রবাহ।

62.নদীর উচ্চ প্রবাহের বিস্তৃতি কত দূর?

উত্তর:- উৎস থেকে সমভূমিতে নামার আগের অংশ কে নদীর উচ্চ প্রবাহ বলে।

63.উচ্চ প্রবাহে নদীর কোন কাজের প্রাধান্য দেখা যায়?

উত্তর:- উচ্চ প্রবাহে নদী পার্বত্য অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় বলে ভূমির ঢাল বেশি, তাই এই অংশে নদীর ক্ষয় কাজের প্রাধান্য দেখা যায়।

64.গঙ্গা নদীর উচ্চ প্রবাহের বিস্তৃতি উল্লেখ করো?

উত্তর:- গঙ্গা নদীর উচ্চ প্রবাহ গঙ্গা নদীর উৎস স্থল গোমুখ গুহা থেকে হরিদ্বার পর্যন্ত বিস্তৃত।

65.গিরিখাত কাকে বলে?

উত্তর:- পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি হওয়ায় নদীর নিম্ন ক্ষয় বেশি হয়, তাই নদীর উচ্চ প্রবাহে নদী উপত্যকা গুলি খুব গভীর ও খাড়া ইংরেজি ‘I’ ও ‘V’ আকৃতির মতো দেখতে হয়, এগুলিকে গিরিখাত বলে।

66.বৃষ্টিহীন শুষ্ক অঞ্চলে গভীর ও খাড়া ঢাল বিশিষ্ট নদী উপত্যকা গুলিকে কি বলা হয়?

উত্তর:- ক্যানিয়ন

67.জলপ্রপাত কিভাবে সৃষ্টি হয়?

উত্তর:- পার্বত্য অঞ্চলে নদীর গতিপথে কঠিন ও নরম শিলা পরস্পরের সমান্তরালে অনুভূমিক ভাবে অবস্থান করলে, নরম শিলা দ্রুত ক্ষয় প্রাপ্ত হয়ে নিচু হয়ে যায় কিন্তু কঠিন শিলা তেমন ক্ষয় প্রাপ্ত হয় না বলে উঁচু হয়ে থাকে। তখন নদী কঠিন শিলা থেকে নরম শিলার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে জলপ্রপাতের সৃষ্টি করে।

68.গঙ্গা নদীর মধ্য প্রবাহের বিস্তৃতি কত দূর অবধি?

উত্তর:- হরিদ্বার থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের মিঠি পুর পর্যন্ত গঙ্গা নদীর মধ্য প্রবাহ বিস্তৃত।

69.মধ্য প্রবাহে নদীর কোন কাজ লক্ষ্য করা যায়?

উত্তর:- এই পর্যায়ে নদী প্রধানত বহন ও সঞ্চয় কাজ করে থাকে।

70.নদীর মধ্য প্রবাহে কোন কোন ভূমিরূপ লক্ষ্য করা যায়?

উত্তর:- নদী বাঁক ও নদী মধ্যবর্তী দ্বীপ বা চর।

71.অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ কিভাবে সৃষ্টি হয়?

উত্তর:- নদীর মধ্য ও নিম্ন প্রবাহে ভূমির ঢাল খুব কম থাকায় নদী ধীর গতিতে এঁকে বেঁকে প্রবাহিত হয় অর্থাৎ নদীতে বাঁকের সৃষ্টি হয়। এর পর কোন কারণ বশত নদীতে জলের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে, নদী তার বাঁকা পথ ছেড়ে সোজা পথে চলতে শুরু করে। তখন নদী বাঁকের অবশিষ্ট অংশ ঘোড়ার খুরের মতে বিচ্ছিন্ন হ্রদের আকারে অবস্থান করে, একে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ।

72.নিম্ন প্রবাহে নদী মূলত কোন কাজ করে?

উত্তর:- সঞ্চয় কাজ

73.নদীর উৎস কাকে বলে?

উত্তর:- নদী যেখানে সৃষ্টি হয়, সেই জায়গাকেই নদীর উৎস বলে।

74.নদীর জল প্রবাহের পরিমাণের একক কী?

উত্তর:- নদীর জল প্রবাহের পরিমাণের একক কিউসেক।

75.নদীর উপত্যকা কাকে বলে ?

উত্তর:- উৎস’ থেকে ‘মোহানা’ পর্যন্ত যে খাতের মধ্যে দিয়ে নদী প্রবাহিত হয় তাকে নদীর উপত্যকা বলে।

76.পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো বদ্বীপ কী?

উত্তর:- পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বদ্বীপ হল গঙ্গানদীর বদ্বীপ।

77. ‘দোয়াব’ কথার অর্থ কী?

উত্তর:- ‘দো’ মানে দুই ও ‘আব’ মানে জল/নদী। দোয়াব অর্থাৎ দুই নদীর মধ্যবর্তী স্থান।

78.নদীর ক্ষমতা কোন্ কোন্ বিষয়ের ওপর নির্ভর করে?

উত্তর:- নদী উপত্যকার ঢাল, শিলার প্রকৃতি, জলপ্রবাহের শক্তি, বাহিত বস্তুর আকার ও ওজনের ওপর নদীর ক্ষমতা নির্ভর করে।

79.কোথা থেকে গঙ্গার উৎপত্তি হয়েছে?

উত্তর:- গঙ্গোত্রী হিমবাহের ‘গোমুখ থেকে ভারতের প্রধান নদী গঙ্গার উৎপত্তি হয়েছে।

80.গঙ্গা নদীর মোহানা কোথায়?

উত্তর:- পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে গঙ্গা নদীর মোহানা।

81.গঙ্গার প্রধান দুটি শাখানদী কী কী ?

উত্তর:- গঙ্গার প্রধান দুটি শাখানদী হল ভাগীরথী ও পদ্মা।

82.একাধিক দেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত নদীকে কী বলে?

উত্তর:- একাধিক দেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত নদীকে আন্তর্জাতিক নদী বলে।

83.আবদ্ধ শৈলশিরা কোন্ অংশে গঠিত হয়?

উত্তর:- আবদ্ধ শৈলশিরা নদীর পার্বত্য প্রবাহে গঠিত হয়।

84.পৃথিবীর বৃহত্তম নদী অববাহিকা কোনটি?

উত্তর:- আমাজন নদীর অববাহিকা পৃথিবীর বৃহত্তম অববাহিকা।

85.নদী কী?

উত্তর:- নদী হল স্বাভাবিক প্রবহমান জলধারা, যা অভিকর্ষের টানে ভূমির ঢাল অনুসারে উৎস থেকে মোহানার দিকে চলে।

86.গঙ্গা নদীর উচ্চপ্রবাহ কতদূর পর্যন্ত দেখা যায়?

উত্তর:- উত্তরাখণ্ডের গোমুখ থেকে হরিদ্বার পর্যন্ত গঙ্গানদীর উচ্চ প্রবাহ দেখা যায়।

87. প্রশ্নের মান –2/3

আদর্শ নদী কাকে বলে ?

88. উত্তর:- যে নদীতে তিনটি গতি অর্থাৎ উচ্চগতি, মধ্যগতি, নিম্নগতি সুস্পষ্টভাবে দেখা যায়, তাকেই আদর্শ নদী বলে।

যেমন—গঙ্গানদী। মনে রাখতে হবে সব নদীতে ‘উচ্চ‘ ‘মধ্যনিম্নএই তিনটি প্রবাহ দেখা যায় না।

89.নদীর সৃষ্টি হয় কীভাবে?

উত্তর:- পার্বত্য অঞ্চলে বিভিন্ন দিক থেকে প্রবাহিত ছোটো ছোটো জলাধারগুলো যখন পরস্পর মিলিত হয়ে অনুসারে উঁচু থেকে নীচু স্থানের দিকে বয়ে চলে তখনই নদীর সৃষ্টি হয়।

90.উপনদী কাকে বলে?

উত্তর:- মূল নদীতে যে সমস্ত ছোটো জলধারা এসে পড়ে তাদের উপনদী বলে। যমুনা, গোমতী, ঘর্ঘরা, কোশী, গণ্ডক প্রভৃতি নদীগুলি গঙ্গার উপনদী।

91.শাখানদী কাকে বলে ?

উত্তর:- মূল নদী থেকে যে সমস্ত নদী শাখার মতো বেরিয়ে গিয়ে অন্য উপনদী কোথাও মেশে তাদেরকে শাখানদী বলে। ভাগীরথী-হুগলি হল গঙ্গার প্রধান শাখানদী ।

92.নদী অববাহিকা কাকে বলে ?

উত্তর:- নদী তার উপনদী, শাখানদী সহ উৎস থেকে মোহানা পর্যন্ত যে অঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় সেই বিস্তীর্ণ ভূমিভাগকে নদী অববাহিকা বলে।

93.মোহানা কাকে বলে ?

উত্তর:- নদী যেখানে গিয়ে শেষ হয় অর্থাৎ কোনো সাগর, উপসাগর, হ্রদ, জলাশয় বা অন্য কোনো নদীতে গিয়ে মেশে, সেই জায়গাকেই নদীর মোহানা বলে।

94.ধারণ অববাহিকা কাকে বলে?

উত্তর:- পর্বতের বরফগলা জল বা বৃষ্টির জল অসংখ্য ছোটো জলধারার মাধ্যমে বয়ে গিয়ে বড়ো নদী তৈরি হয়। এই জলধারাসহ মূল নদীটি যে বিরাট অঞ্চলের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় সেই অঞ্চলটিকে ওই নদীর ধারণ অববাহিকা বলা হয়।

95.জলবিভাজিকা কাকে বলে ?

উত্তর:- কোনো পাহাড়ের চূড়ার অংশটি বৃষ্টির জলকে বিভিন্ন দিকে ভাগ করে বা বিভাজন করে, তাই তাকে জলবিভাজিকা বলে। জলবিভাজিকার বিভিন্ন দিকে বয়ে যাওয়া জল একাধিক ছোটো ছোটো জলধারার মাধ্যমে বয়ে গিয়ে, মিলিত হয়ে মূল নদী তৈরি করে।

96.উচ্চগতিতে নদী উপত্যকা ‘V’ আকৃতির হয় কেন?

উত্তর:- উচ্চগতিতে নদীর স্রোতের সঙ্গে নানা ছোটো-বড়ো পাথর নদীর তলায় ধাক্কা দিয়ে ক্ষয় করে। এই ক্ষয়ের ফলে নদী উপত্যকা চওড়া না-হয়ে গভীর হয়। এই গভীর নদী উপত্যকা ইংরেজি ‘V’ আকৃতির দেখতে হয়।

97.সব নদী মোহনায় ব-দ্বীপ সৃষ্টি করতে পারেনা কেন ?

উত্তর:- নিম্নগতিতে নদীর সঞ্চয়কাজ বেশি হয়। নদীর দ্বারা ক্ষয়প্রাপ্ত পলি, কাদা, নুড়ি, বালি ইত্যাদি বয়ে এসে মোহানায় সজ্জিত হয়ে ব-দ্বীপ গঠন করে। অনেক নদীতে নিম্নগতি দেখা যায় না বা নদী দ্বারা বাহিত শিলাখণ্ডের পরিমাণও খুব বেশি হয় না। নদীতে জলের স্রোত খুব বেশি থাকলেও নদীর মোহানায় ব-দ্বীপ গঠিত হয় না। এই কারণেই পৃথিবীর বৃহত্তম নদী আমাজনের কোনো ব-দ্বীপ নেই।

98.অন্তর্বাহিনী নদী ও আন্তর্জাতিক নদী কাকে বলে?

উত্তর:- যে নদী কোনো দেশের মধ্যে উৎপন্ন হয়ে সেই দেশের মধ্যেই কোনো হ্রদ বা জলাশয়ে গিয়ে মেশে তাকে অন্তর্বাহিনী নদী বলে। ভারতের লুনি, রাশিয়ার আমুদরিয়া অর্ন্তবাহিনী নদী। যেসব নদী একাধিক দেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয় তাদের আন্তর্জাতিক নদী বলে। যেমন— সিন্ধু, ব্রষ্মপুত্র, ইউরোপের রাইন, দানিয়ুব প্রভৃতি আন্তর্জাতিক নদী ।

99.গিরিখাত [Gorge] ও ক্যানিয়ন [Cannyon] কাকে বলে?

উত্তর:- পার্বত্য অঞ্চলে নদীর উপত্যকা খুব সরু ও গভীর হলে ‘I’ বা ‘V’ আকৃতির মতো দেখতে হলে তাকে গিরিখাত বলে। যেমন পরুর এল ক্যানন দ্য কলরম। বৃষ্টিহীন পার্বত্য অঞ্চলে ও শুষ্ক অঞ্চলে এরকম সুগভীর গিরিখাতকে ক্যানিয়ন বলা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলরাডো নদীর গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন।

100.খাঁড়ি কী?

উত্তর:- কিছু নদীর মোহানায় জোয়ারের সময় সমুদ্রের নোনা জল মোহানার ভেতর দিয়ে ওপরের দিকে উঠে যায়। আবার ভাটার সময় সমুদ্রে জল নেমে আসে। এভাবে চওড়া মোহানা বা খাঁড়ির সৃষ্টি হয়। পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন অঞ্চলের প্রচুর নদীতে এরকম খাঁড়ি দেখা যায়।

101.জলপ্রপাত [জলপ্রপাত] কিভাবে গতিপথ হয়?

উত্তর:- নদীর গতিপথে কঠিন ও নরম শিলা আনুভূমিকভাবে অবস্থান করলে নদী নরম পাথরকে বেশি ক্ষয় করে, তাই শক্ত ও নরম পাথরের মধ্যে ধাপের সৃষ্টি হয়। তখন নদী শক্ত পাথরের উপর থেকে নীচে পাথরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। একে জলপ্রপাত বলে।

102.ব-দ্বীপ [Delta] কীভাবে সৃষ্টি হয়?

উত্তর:- নদীর মোহনার কাছে নদীর বহন করে আনা পলি, বালি, কাঁকর জমা হয়ে চড়া সৃষ্টি হয়। নদীর স্রোত তখন ভাগ হয়ে চড়ার দুদিক দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। এর ফলে প্রায় ত্রিভুজের মতো বা বাংলার মাত্রাহীন ‘ব’ অক্ষরের মতো যে বিস্তীর্ণ সমতল ভূভাগ বা দ্বীপ সৃষ্টি হয় তাকেই ব-দ্বীপ বলে। যেমন গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের মিলিত ব-দ্বীপ সমভূমি।

103.অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ কাকে বলে?

উত্তর:- নদীতে বাঁকের পরিমাণ বাড়লে বা নদীতে জল বাড়লে কখনো-কখনো নদী বাঁকের একটা অংশ মূল নদী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এই বিচ্ছিন্ন হওয়া অংশটি ঘোড়ার খুরের মতো দেখতে হয়। এরূপ হ্রদকে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ বলা হয়।

104.মিয়েডার কাকে বলে?

উত্তর:- নদীর মধ্যপ্রবাহে বেগ কমে যাওয়ার ফলে নদী ধীর গতিতে চলতে থাকে। এই অবস্থায় সামান্য বাধা এলে নদী আঁকাবাঁকা পথ সৃষ্টি করে চলতে থাকে। একে মিয়েন্ডার বা নদী বাঁক বলে।

105.নিত্যবহ নদী কাদের বলে?

উত্তর:- যে সব নদী উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে সৃষ্টি হয় তার জলের উৎস বেশির ভাগই বরফ গলা জল। এই নদীগুলিতে সারা বছর জল থাকে বলে এদের নিত্যবহ নদী বলে। যেমনঃ গঙ্গানদী।

106.অনিত্যবহ নদী কাদের বলে?

উত্তর:- মালভূমি বা অন্য কোনো কম উঁচু জায়গায় সৃষ্টি হওয়া নদীগুলির জলের উৎস বৃষ্টির জল। এই কারণে বর্ষাকাল ছাড়া এই নদীগুলিতে সারা বছর জল থাকে না। তাই এই নদীগুলিকে অনিত্যবহ নদী বলে। যেমনঃ ময়ূরাক্ষী নদী।

107.কীভাবে নদী জলচক্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠে?

উত্তর:- বৃষ্টির জল নদীর মধ্য দিয়ে সাগরে গিয়ে পড়ে। সেই সাগরের জল বাষ্পীভূত হয়ে আবার বৃষ্টিরূপে নদীতে ফিরে আসে। এভাবেই নদী জলচক্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠে।

সপ্তম শ্রেণীর থেকে সপ্তম শ্রেণীর শ্রেণী পর্যন্ত নোটস

সপ্তম শ্রেণীর থেকে সপ্তম শ্রেণীর শ্রেণী পর্যন্ত নোটস
সপ্তম শ্রেণীরপড়ুন
অষ্টম শ্রেণীপড়ুন
নবম শ্রেণীপড়ুন
দশম শ্রেণিপড়ুন
একাদশ শ্রেণীপড়ুন
দ্বাদশপড়ুন

Dear student

“সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল – নদী প্রশ্ন ও উত্তর” পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। BengaliStudy.in ওয়েবসাইটে তোমাকে  প্রশ্ন উত্তর দিয়ে সাহায্য করবে। তোমরা ভালো করে পড়বে তাহলে পরীক্ষা অনেক প্রশ্ন উত্তর কমন পাবে। আর এই লিংক টা নিজের স্কুলের বন্ধুদেরকে শেয়ার করে দেবে। ধন্যবাদ।

সপ্তম শ্রেণীর Geography Suggestion | West Bengal Class Class 7 (Class 7th) Geography Qustion and Answer Suggestion

” সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল –  নদী – প্রশ্ন উত্তর  “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক সপ্তম শ্রেণীর পরীক্ষা (West Bengal Class Class 7 | WB Class 7 | সপ্তম শ্রেণীর | Class 7 Exam | West Bengal Board of Secondary Education – WB Class 7 Exam | Class 7 Class 7th | WB Class 7 | Class 7 Pariksha  )

নদী প্রশ্ন ও উত্তর 

(সপ্তম শ্রেণীর Geography Suggestion / West Bengal Class 7 Question and Answer, Suggestion / সপ্তম শ্রেণীর Class 7th Geography Suggestion  / সপ্তম শ্রেণীর Geography Question and Answer  / Class 7 Geography Suggestion  / Class 7 Pariksha Suggestion  / সপ্তম শ্রেণীর Geography Exam Guide  / সপ্তম শ্রেণীর Geography Suggestion 2022, 2023, 2024, 2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030, 2021, 2020, 2019, 2017, 2016, 2015 / সপ্তম শ্রেণীর Geography Suggestion  MCQ , Short , Descriptive  Type Question and Answer.

নদী MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল

নদী MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | নদী সপ্তম শ্রেণীর Geography Question and Answer Suggestion  সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  – নদী MCQ প্রশ্ন উত্তর।

নদী SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | সপ্তম শ্রেণীর শ্রেণির ইতিহাস

West Bengal Class 7 Geography Suggestion  Download সপ্তম শ্রেণীর Class 7th Geography short question suggestion  . সপ্তম শ্রেণীর Geography Suggestion   download Class 7th Question Paper  Geography. WB Class 7 Geography suggestion and important question and answer. Class 7 Suggestion pdf.পশ্চিমবঙ্গ সপ্তম শ্রেণীর শ্রেণীর ইতিহাস পরীক্ষার সম্ভাব্য সাজেশন ও শেষ মুহূর্তের প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড। সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর।

সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল – নদী প্রশ্ন ও উত্তর | সপ্তম শ্রেণীর Geography Que stion and Answer


সবার আগে সমস্ত পরীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ নোটস এবং মকটেস্ট পেতে জয়েন করুন -

× close ad